Sunday, November 3, 2019

যে দোয়া ৭০ বার পড়লেই রিযিকের সব দরজা খুলে যাবে ইনশাআল্লাহ

যে দোয়া ৭০ বার পড়লেই রিযিকের সব দরজা খুলে যাবে ইনশাআল্লাহ
রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, কে না চায় তার জন্য উত্তম রিজিক বৃদ্ধি করে দেওয়া হোক ? আমরা সবাই চাই আমাদের রিজিক যেন বৃদ্ধি পায়। কুরআনের মানুষের সব সমাধান রয়েছে। কুরআনের বিধান পালনের সঙ্গে সঙ্গে কুরআনি আমল করাও মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ইবাদাত কবুলের পূর্বশর্তই হলো হালাল জীবিকা উপার্জন করা। তাই হালাল রিযিক লাভের কুরআনি আমল তুলে ধরা হলো।

উচ্চারণ: আল্লাহু লাতিফুম্ বি-ই’বাদিহি ইয়ারযুকু মাইঁয়্যাশায়ু, ওয়া হুয়াল কাওইয়্যুল আজিজ।

অর্থ: আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী। (সুরা শুরা : আয়াত ১৯)

আমল: প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে, একনিষ্ঠতার সঙ্গে ৭০ বার এ আয়াত পড়া। যে বা যারা নিয়মিত এ আমল করবে; আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির রিযিকের দরজা খুলে দেবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর বিধি-বিধান পালনের সঙ্গে সঙ্গে কুরআনের উল্লেখিত আয়াতে আমলটি নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Thursday, May 31, 2018

মাহে রমজানের ৩০ রোজার দোয়া

অর্থসহ মাহে রমজানের ৩০ রোজার দোয়া, ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) রমজান মাসে এই দোয়াগুলো পড়তেন। ‘আলবালাদুল আমিন’ ও ‘মিসবাহুল কাফআমি’ নামক গ্রন্থে রয়েছে এই দোয়াগুলো।

মাহে রমজানের ৩০ রোজার দোয়া


সবগুলো দোয়া একসাথে এন্ড্রয়েড অ্যাপ আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন >> রমজানের ৩০ মোনাজাত ও দোয়া


মাহে রমজানের ৩০ রোজার দোয়া

১ম রোজার দোয়া

الیوم الاوّل : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِیامی فیهِ صِیامَ الصّائِمینَ، وَقِیامی فیهِ قیامَ الْقائِمینَ، وَنَبِّهْنی فیهِ عَنْ نَوْمَةِ الْغافِلینَ، وَهَبْ لى جُرْمی فیهِ یا اِلـهَ الْعالَمینَ، وَاعْفُ عَنّی یا عافِیاً عَنْ الُْمجْرِمینَ .


হে আল্লাহ ! আমার আজকের রোজাকে প্রকৃত রোজাদারদের রোজা হিসেবে গ্রহণ কর। আমার নামাজকে কবুল কর প্রকৃত নামাজীদের নামাজ হিসেবে। আমাকে জাগিয়ে তোলো গাফিলতির ঘুম থেকে। হে জগত সমূহের প্রতিপালক! এদিনে আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। ক্ষমা করে দাও আমার যাবতীয় অপরাধ। হে অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমাকারী।



২য় রোজার দোয়া

الیوم الثّانی : اَللّـهُمَّ قَرِّبْنی فیهِ اِلى مَرْضاتِکَ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ سَخَطِکَ وَنَقِماتِکَ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِقِرآءَةِ ایـاتِکَ بِرَحْمَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ .

হে আল্লাহ! তোমার রহমতের উসিলায় আজ আমাকে তোমার সন্তুষ্টির কাছাকাছি নিয়ে যাও। দূরে সরিয়ে দাও তোমার ক্রোধ আর গজব থেকে । আমাকে তৌফিক দাও তোমার পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করার । হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াময়।



৩য় রোজার দোয়া

الیوم الثّالث : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ الذِّهْنَ وَالتَّنْبیهَ، وَباعِدْنی فیهِ مِنَ السَّفاهَةِ وَالَّتمْویهِ، وَاجْعَلْ لى نَصیباً مِنْ کُلِّ خَیْر تُنْزِلُ فیهِ، بِجُودِکَ یا اَجْوَدَ الاَْجْوَدینَ .

হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর। আমাকে দূরে রাখ অজ্ঞতা , নির্বুদ্ধিতা ও ভ্রান্ত কাজ-কর্ম থেকে। এ দিনে যত ধরণের কল্যাণ দান করবে তার প্রত্যেকটি থেকে তোমার দয়ার উসিলায় আমাকে উপকৃত কর। হে দানশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম দানশীল।



৪র্থ রোজার দোয়া

الیوم الرّابع : اَللّـهُمَّ قَوِّنی فیهِ عَلى اِقامَةِ اَمْرِکَ، وَاَذِقْنی فیهِ حَلاوَةَ ذِکْرِکَ، وَاَوْزِعْنی فیهِ لاَِداءِ شُکْرِکَ بِکَرَمِکَ، وَاحْفَظْنی فیهِ بِحِفْظِکَ وَسَتْرِکَ، یا اَبْصَرَ النّاظِرینَ .

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার নির্দেশ পালনের শক্তি দাও। তোমার জিকিরের মাধুর্য আমাকে আস্বাদন করাও। তোমার অপার করুণার মাধ্যমে আমাকে তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত কর । হে দৃষ্টিমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিমান। আমাকে এ দিনে তোমারই আশ্রয় ও হেফাজতে রক্ষা কর।



৫ম রোজার দোয়া

الیوم الخامس : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنْ الْمُسْتَغْفِرینَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنْ عِبادِکَ الصّالِحینَ اْلقانِتینَ، وَاجْعَلنی فیهِ مِنْ اَوْلِیائِکَ الْمُقَرَّبینَ، بِرَأْفَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ .

হে আল্লাহ ! এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে । হে আল্লাহ ! মেহেরবানী করে আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান ।



৬ষ্ঠ রোজার দোয়া

الیوم السّادس : اَللّـهُمَّ لا تَخْذُلْنی فیهِ لِتَعَرُّضِ مَعْصِیَتِکَ، وَلاتَضْرِبْنی بِسِیاطِ نَقِمَتِکَ، وَزَحْزِحْنی فیهِ مِنْ مُوجِباتِ سَخَطِکَ، بِمَنِّکَ وَاَیادیکَ یا مُنْتَهى رَغْبَةِ الرّاغِبینَ .

হে আল্লাহ ! তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এ দিনে আমায় লাঞ্চিত ও অপদস্থ করোনা । তোমার ক্রোধের চাবুক দিয়ে আমাকে শাস্তি দিওনা । সৃষ্টির প্রতি তোমার অসীম অনুগ্রহ আর নিয়ামতের শপথ করে বলছি তোমার ক্রোধ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখো । হে আবেদনকারীদের আবেদন কবুলের চূড়ান্ত উৎস ।



৭ম রোজার দোয়া

الیوم السّابع : اَللّـهُمَّ اَعِنّی فِیهِ عَلى صِیامِهِ وَقِیامِهِ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ هَفَواتِهِ وَآثامِهِ، وَارْزُقْنی فیهِ ذِکْرَکَ بِدَوامِهِ، بِتَوْفیقِکَ یا هادِیَ الْمُضِلّینَ .

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে রোজা পালন ও নামাজ কায়েমে সাহায্য কর । আমাকে অন্যায় কাজ ও সব গুনাহ থেকে রক্ষা করো । তোমার তৌফিক ও শক্তিতে সবসময় আমাকে তোমার স্মরণে থাকার সুযোগ দাও । হে পথ হারাদের পথ প্রদর্শনকারী।



৮ম রোজার দোয়া

الیوم الثّامن : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ رَحْمَةَ الاَْیْتامِ، وَاِطْعامَ اَلطَّعامِ، وَاِفْشاءَ السَّلامِ، وَصُحْبَةَ الْکِرامِ، بِطَولِکَ یا مَلْجَاَ الاْمِلینَ .

হে আল্লাহ ! তোমার উদারতার উসিলায় এ দিনে আমাকে এতিমদের প্রতি দয়া করার, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ও সৎ ব্যক্তিদের সাহায্য লাভ করার তৌফিক দাও । হে আকাঙ্খাকারীদের আশ্রয়স্থল ।



৯ম রোজার দোয়া

الیوم التّاسع : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لی فیهِ نَصیباً مِنْ رَحْمَتِکَ الْواسِعَةِ، وَاهْدِنی فیهِ لِبَراهینِکَ السّاطِعَةِ، وَخُذْ بِناصِیَتی اِلى مَرْضاتِکَ الْجامِعَةِ، بِمَحَبَّتِکَ یا اَمَلَ الْمُشْتاقینَ .

হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর । আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে । হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল । তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও ।



১০ম রোজার দোয়া

الیوم العاشر : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُتَوَکِّلینَ عَلَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْفائِزینَ لَدَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُقَرَّبینَ اِلَیْکَ، بِاِحْسانِکَ یا غایَةَ الطّالِبینَ .

হে আল্লাহ ! তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর । তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করো সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নাও । হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য ।



১১তম রোজার দোয়া

الیوم الحادی عشر : اَللّـهُمَّ حَبِّبْ اِلَیَّ فیهِ الاِْحْسانَ، وَکَرِّهْ اِلَیَّ فیهِ الْفُسُوقَ وَالْعِصْیانَ، وَحَرِّمْ عَلَیَّ فیهِ السَّخَطَ وَالنّیرانَ بِعَوْنِکَ یا غِیاثَ الْمُسْتَغیثینَ .

হে আল্লাহ ! এ দিনে সৎ কাজকে আমার কাছে প্রিয় করে দাও আর অন্যায় ও নাফরমানীকে অপছন্দনীয় কর । তোমার অনুগ্রহের উসিলায় আমার জন্য তোমার ক্রোধ ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হারাম করে দাও । হে আবেদনকারীদের আবেদন শ্রবণকারী ।



১২ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّانی عشر : اَللّـهُمَّ زَیِّنّی فیهِ بِالسِّتْرِ وَالْعَفافِ، وَاسْتُرْنی فیهِ بِلِباسِ الْقُنُوعِ وَالْکَفافِ، وَاحْمِلْنی فیهِ عَلَى الْعَدْلِ وَالاِْنْصافِ، وَآمِنّی فیهِ مِنْ کُلِّ ما اَخافُ، بِعِصْمَتِکَ یا عِصْمَةَ الْخائِفینَ .

হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে আত্মিক পবিত্রতার অলঙ্কারে ভূষিত কর । অল্পে তুষ্টি ও পরিতৃপ্তির পোশাকে আবৃত্ত কর । ন্যায় ও ইনসাফে আমাকে সুসজ্জিত কর । তোমার পবিত্রতার উসিলায় আমাকে ভীতিকর সবকিছু থেকে নিরাপদে রাখ । হে খোদা ভীরুদের রক্ষাকারী ।



১৩ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّالث عشر : اَللّـهُمَّ طَهِّرْنی فیهِ مِنَ الدَّنَسِ وَالاَْقْذارِ، وَصَبِّرْنی فیهِ عَلى کائِناتِ الاَْقْدارِ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِلتُّقى وَصُحْبَةِ الاَْبْرارِ، بِعَوْنِکَ یا قُرَّةَ عَیْنِ الْمَساکینَ .

হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে কলুষতা ও অপবিত্রতা থেকে পবিত্র কর । যা কিছু তকদীর অনুযায়ী হয় তা মেনে চলার ধৈর্য আমাকে দান কর । তোমার বিশেষ অনুগ্রহে আমাকে তাকওয়া অর্জন এবং সৎ কর্মশীলদের সাহচর্যে থাকার তৌফিক দাও । হে অসহায়দের আশ্রয়দাতা।



১৪ তম রোজার দোয়া

الیوم الرّابع عشر : اَللّـهُمَّ لا تُؤاخِذْنی فیهِ بِالْعَثَراتِ، وَاَقِلْنی فیهِ مِنَ الْخَطایا وَالْهَفَواتِ، وَلا تَجْعَلْنی فیهِ غَرَضاً لِلْبَلایا وَالاْفاتِ، بِعِزَّتِکَ یا عِزَّ الْمُسْلِمینَ .

হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে আমার ভ্রান্তির জন্যে জিজ্ঞাসাবাদ করো না । আমার দোষ-ত্রুটিকে হিসেবের মধ্যে ধরো না ।তোমার মর্যাদার উসিলায় আমাকে বিপদ-আপদ ও দুর্যোগের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করো না । হে মুসলমানদের মর্যাদা দানকারী।



১৫ তম রোজার দোয়া

الیوم الخامس عشر : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ طاعَةَ الْخاشِعینَ، وَاشْرَحْ فیهِ صَدْری بِاِنابَةِ الُْمخْبِتینَ، بِاَمانِکَ یا اَمانَ الْخائِفینَ .

হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে তোমার বিনয়ী বান্দাদের মতো আনুগত্য করার তৌফিক দাও । তোমার আশ্রয় ও হেফাজতের উসিলায় আমার অন্তরকে প্রশস্ত করে খোদাভীরু ও বিনয়ী বান্দাদের অন্তরে পরিণত কর । হে খোদাভীরু মুত্তাকীদের আশ্রয়দাতা ।



১৬ তম রোজার দোয়া

الیوم السّادس عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّقْنی فیهِ لِمُوافَقَةِ الاَْبْرارِ، وَجَنِّبْنی فیهِ مُرافَقَةَ الاَْشْرارِ، وَآوِنی فیهِ بِرَحْمَتِکَ اِلى دارِ الْقَـرارِ، بِاِلهِیَّتِکَ یا اِلـهَ الْعالَمینَ .

হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে তোমার সৎবান্দাদের সাহচর্য লাভের তৌফিক দাও। আমাকে মন্দ লোকদের সাথে বন্ধুত্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখো। তোমার খোদায়ীত্বের শপথ করে বলছি, আমাকে তোমার রহমতের বেহেশতে স্থান দাও। হে জগতসমূহের প্রতিপালক।



১৭ তম রোজার দোয়া

الیوم السّابع عشر : اَللّـهُمَّ اهْدِنی فیهِ لِصالِحِ الاَْعْمالِ، وَاقْضِ لی فیهِ الْحَوائِجَ وَالاْمالَ، یا مَنْ لا یَحْتاجُ اِلَى التَّفْسیرِ وَالسُّؤالِ، یا عالِماً بِما فی صُدُورِ الْعالَمینَ، صَلِّ عَلى مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرینَ .

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে সৎকাজের দিকে পরিচালিত কর। হে মহান সত্ত্বা যার কাছে প্রয়োজনের কথা বলার ও ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার হয় না । আমার সব প্রয়োজন ও আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে দাও। হে তাবত দুনিয়ার রহস্যজ্ঞানী ! হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং তাঁর পবিত্র বংশধরদের ওপর রহমত বষর্ণ কর।



১৮ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّامن عشر : اَللّـهُمَّ نَبِّهْنی فیهِ لِبَرَکاتِ اَسْحارِهِ، وَنَوِّرْ فیهِ قَلْبی بِضیاءِ اَنْوارِهِ، وَخُذْ بِکُلِّ اَعْضائی اِلَى اتِّباعِ آثارِهِ، بِنُورِکَ یا مُنَوِّرَ قُلُوبِ الْعارِفینَ .

হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে সেহরীর বরকতের উসিলায় সচেতন ও জাগ্রত করে তোল। সেহরীর নূরের ঔজ্জ্বল্যে আমার অন্তরকে আলোকিত করে দাও। তোমার নূরের উসিলায় আমার প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে তোমার নূরের প্রভাব বিকশিত কর। হে সাধকদের অন্তর আলোকিতকারী!



১৯ তম রোজার দোয়া

الیوم التّاسع عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ فیهِ حَظّی مِنْ بَرَکاتِهِ، وَسَهِّلْ سَبیلی اِلى خَیْراتِهِ، وَلا تَحْرِمْنی قَبُولَ حَسَناتِهِ، یا هادِیاً اِلَى الْحَقِّ الْمُبینِ .

হে আল্লাহ! আমাকে এ মাসের বরকতের অধিকারী কর। এর কল্যাণ অজর্নের পথ আমার জন্য সহজ করে দাও। এ মাসের কল্যাণ লাভ থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না। হে স্পষ্ট সত্যের দিকে পথো নির্দেশকারী।



২০ তম রোজার দোয়া

الیوم العشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لی فیهِ اَبْوابَ الْجِنانِ، وَاَغْلِقْ عَنّی فیهِ اَبْوابَ النّیرانِ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِتِلاوَةِ الْقُرْآنِ، یا مُنْزِلَ السَّکینَةِ فى قُلُوبِ الْمُؤْمِنینَ .

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার জন্যে বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দাও এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দাও। আমাকে কোরআন তেলাওয়াতের তৌফিক দান কর। হে ঈমানদারদের অন্তরে প্রশান্তি দানকারী।



২১ তম রোজার দোয়া

الیوم الحادی والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لى فیهِ اِلى مَرْضاتِکَ دَلیلاً، وَلا تَجْعَلْ لِلشَّیْطانِ فیهِ عَلَیَّ سَبیلاً، وَاجْعَلِ الْجَنَّةَ لى مَنْزِلاً وَمَقیلاً، یا قاضِیَ حَوائِجِ الطّالِبینَ .

হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে তোমার সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত কর। শয়তানদের আমার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে দিওনা। জান্নাতকে আমার গন্তব্যে পরিণত কর। হে প্রার্থনাকারীদের অভাব মোচনকারী ।



২২ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّانی والعشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لى فیهِ اَبْوابَ فَضْلِکَ، وَاَنْزِلْ عَلَیَّ فیهِ بَرَکاتِکَ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِمُوجِباتِ مَرْضاتِکَ، وَاَسْکِنّی فیهِ بُحْبُوحاتِ جَنّاتِکَ، یا مُجیبَ دَعْوَةِ الْمُضْطَرّینَ .

হে আল্লাহ ! আজ তোমার করুণা ও রহমতের দরজা আমার সামনে খুলে দাও এবং বরকত নাজিল কর । আমাকে তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের তৌফিক দাও। তোমার বেহেশতের বাগানের মাঝে আমাকে স্থান করে দাও। হে অসহায়দের দোয়া কবুলকারী।



২৩ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّالث والعشرون : اَللّـهُمَّ اغْسِلْنی فیهِ مِنَ الذُّنُوبِ، وَطَهِّرْنی فیهِ مِنَ الْعُیُوبِ، وَامْتَحِنْ قَلْبی فیهِ بِتَقْوَى الْقُلُوبِ، یا مُقیلَ عَثَراتِ الْمُذْنِبینَ .

হে আল্লাহ ! আমার সকল গুনাহ ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে দাও। আমাকে সব দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র কর। তাকওয়া ও খোদাভীতির মাধ্যমে আমার অন্তরকে সকল পরিক্ষায় উত্তীর্ণ কর। হে অপরাধীদের ভুল-ত্রুটি মার্জনাকারী।



২৪ তম রোজার দোয়া

الیوم الرّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ اِنّی اَسْأَلُکَ فیهِ ما یُرْضیکَ، وَاَعُوذُبِکَ مِمّا یُؤْذیکَ، وَاَسْأَلُکَ التَّوْفیقَ فیهِ لاَِنْ اُطیعَکَ وَلا اَعْصیْکَ، یا جَوادَ السّائِلینَ .

হে আল্লাহ ! আজ তোমার কাছে ঐসব আবেদন করছি যার মধ্যে তোমার সন্তুষ্টি রয়েছে। যা কিছু তোমার কাছে অপছন্দনীয় তা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। তোমারই আনুগত্য করার এবং তোমার নাফরমানী থেকে বিরত থাকার তৌফিক দাও। হে প্রার্থীদের প্রতি দানশীল।



২৫ তম রোজার দোয়া

الیوم الخامس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مُحِبَّاً لاَِوْلِیائِکَ، وَمُعادِیاً لاَِعْدائِکَ، مُسْتَنّاً بِسُنَّةِ خاتَمِ اَنْبِیائِکَ، یا عاصِمَ قُلُوبِ النَّبِیّینَ .

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার বন্ধুদের বন্ধু এবং তোমার শত্রুদের শত্রু করে দাও। তোমার আখেরী নবীর সুন্নত ও পথ অনুযায়ী চলার তৌফিক আমাকে দান কর। হে নবীদের অন্তরের পবিত্রতা রক্ষাকারী।



২৬ তম রোজার দোয়া

الیوم السّادس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ سَعْیی فیهِ مَشْکُوراً، وَذَنْبی فیهِ مَغْفُوراً وَعَمَلی فیهِ مَقْبُولاً، وَعَیْبی فیهِ مَسْتُوراً، یا اَسْمَعَ السّامِعینَ .

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার প্রচেষ্টাকে গ্রহণ করে নাও। আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। আমার সব আমল কাজ কবুল করো এবং সব দোষ-ত্রু টি ঢেকে রাখ। হে সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রোতা।



২৭ তম রোজার দোয়া

الیوم السّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ فَضْلَ لَیْلَةِ الْقَدْرِ، وَصَیِّرْ اُمُوری فیهِ مِنَ الْعُسْرِ اِلَى الْیُسْرِ، وَاقْبَلْ مَعاذیری، وَحُطَّ عَنّیِ الذَّنْبَ وَالْوِزْرَ، یا رَؤوفاً بِعِبادِهِ الصّالِحینَ

হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে শবেকদরের ফজিলত দান কর। আমার কাজ কর্মকে কঠিন থেকে সহজের দিকে নিয়ে যাও। আমার অক্ষমতা কবুল কর এবং ক্ষমা করে দাও আমার সব অপরাধ। হে যোগ্য বান্দাদের প্রতি মেহেরবান।



২৮ তম রোজার দোয়া

الیوم الثّامن والعشرون : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ حَظّی فیهِ مِنَ النَّوافِلِ، وَاَکْرِمْنی فیهِ بِاِحْضارِ الْمَسائِلِ، وَقَرِّبْ فیهِ وَسیلَتى اِلَیْکَ مِنْ بَیْنِ الْوَسائِلِ، یا مَنْ لا یَشْغَلُهُ اِلْحـاحُ الْمُلِحّینَ .

হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে নফল এবাদতের পর্যাপ্ত সুযোগ দাও। ধর্মীয় শিক্ষার মর্যাদায় আমাকে ভূষিত কর। তোমার নৈকট্য লাভের পথকে আমার জন্যে সহজ করে দাও। হে পবিত্র সত্ত্বা ! যাকে, অনুরোধকারীদের কোন আবেদন নিবেদন , ন্যায়বিচার থেকে টলাতে পারে না।



২৯ তম রোজার দোয়া

الیوم التّاسع والعشرون : اَللّـهُمَّ غَشِّنی فیهِ بِالرَّحْمَةِ، وَارْزُقْنی فیهِ التَّوْفیقَ وَالْعِصْمَةَ، وَطَهِّرْ قَلْبی مِنْ غَیاهِبِ التُّهْمَةِ، یا رَحیماً بِعِبادِهِ الْمُؤْمِنینَ .

হে আল্লাহ ! আজ আমাকে তোমার রহমত দিয়ে ঢেকে দাও। গুনাহ থেকে মুক্তিসহ আমাকে সাফল্য দান কর। আমার অন্তরকে মুক্ত কর অভিযোগ ও সন্দেহের কালিমা থেকে । হে ঈমানদার বান্দাদের প্রতি দয়াবান।



৩০ তম রোজার দোয়া

الیوم الثلاثون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِیامى فیهِ بِالشُّکْرِ وَالْقَبُولِ عَلى ما تَرْضاهُ وَیَرْضاهُ الرَّسُولُ، مُحْکَمَةً فُرُوعُهُ بِالاُْصُولِ، بِحَقِّ سَیِّدِنا مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرینَ، وَالْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعالَمینَ .

হে আল্লাহ ! তুমি ও তোমার রাসুল ঠিক যেমনিভাবে খুশি হবে তেমনি করে আমার রোজাকে পুরস্কৃত কর এবং কবুল করে নাও। আমাদের নেতা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও তার পবিত্র বংশধরদের উসিলায় আমার সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমলকে মূল এবাদতের সাথে যোগ করে শক্তিশালী কর। আর সব প্রশংসা ও স্তুতি জগতসমূহের প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহর। #



Sunday, November 1, 2015

দোয়া’য়ে ইয়াসতাশির

দোয়া’য়ে ইয়াসতাশির
দোয়া ইয়াসতাশির এর ফজিলত:
সাইয়্যেদ ইবনে তাউস তার ‘মুহাজ আদ-দাওয়াত’ এবং কাফআমি তার কিতাব ‘মিসবাহ’-তে এ দোয়াটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) থেকে এবং তিনি তা শিখেছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন এ দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করার জন্য
―হোক সমৃদ্ধির সময়ে অথবা দারিদ্রে―মৃত্যু পর্যন্ত; কারণ এটি সৃষ্টির রহস্য এবং ঐশী পরিকল্পনাকে উম্মোচন করে। এর মূল্য ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।  কোন বুদ্ধিমানই এর অর্থগুলো বর্ণনা করে শেষ করতে পারে না। যখনই কেউ তা পাঠ করতে শুরু করে, তখন সর্বক্ষমতাবান আল্লাহ তাঁর নেয়ামত পাঠান এবং তাঁর দয়া তাকে পরিবেষ্টন করে এবং শান্তি ও স্বস্তি তার ওপর অবতীর্ণ হয়। এ দোয়ার আওয়াজ আরশের দিকে এবং এর চারদিকে ঘোরে―যা এর সরাসরি গন্তব্য।
দোয়াকারীর সব আশাগুলো পূরণ করা হয়। তার প্রয়োজনগুলো মেটানো হয়। সে তার চাহিদা থেকে স্বাধীন হয়ে যায় এবং তাকে দুঃখ-কষ্ট ও দুর্ভাগ্য থেকে নিরাপদ রাখা হয়। পাগল ব্যক্তির সামনে পাঠ করলে মস্তিস্ক বিকৃতি থেকে আরোগ্য লাভ করে।   সন্তান প্রসব আসন্ন এমন নারীর সামনে পাঠ করলে প্রসব বেদনা থেকে মুক্ত হয়। চল্লিশ শুক্রবার তা পাঠ করলে সব গুনাহ ক্ষমা করা হয়। এটি অসুস্থতা থেকে আরোগ্য দেয় এবং দুঃখসমূহ দূর করে দেয়। যে দোয়াটি ঘুমানোর আগে পাঠ করে, তার জন্য আল্লাহ এক হাজার ফেরেশতাকে নিয়োজিত করেন যারা সকাল পর্যন্ত দোয়া করে। যে এটি পাঠ করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইন্তেকাল করে তাকে শহীদ হিসাবে গণ্য করা হয়। এখানে উল্লিখিত ‘দোয়া’য়ে ইয়াসতাশির’-টি প্রখ্যাত আলেম আল্লামা শেইখ আববাস কুম্মী-র ‘‘মাফাতিহুল জিনান’’ [বেহেশতের চাবিগুলো] গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।


দোয়া’য়ে ইয়াসতাশির



আল্লাহর নামে যিনি সর্বদয়ালু ও সর্বমমতাময়
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ
সব প্রশংসা আল্লাহর,
لَا إِلـٰهَ إِلاَّ هُوَ
যিনি ছাড়া আর কোন খোদা নেই,
اَلْمَلِكُ الْحَقُّ الْمُبِيْنُ
যিনি সুস্পষ্টভাবে প্রকৃত বাদশাহ,
اَلْمُدَبِرُّ  بِلَا وَزِيْرٍ
তিনিই মহাপরিচালক ―কোন মন্ত্রী ছাড়াই,
وَلاَ خَلْقٍ مِنْ عِبَادِهِ يَسْتَشِيْرُ،
এবং তাঁর কোন দাসের সাথে পরামর্শ ছাড়াই।
اَلْأَوَّلُ غَيْرُ مَوْصُوْفٍ،
তিনিই সর্বপ্রথম―যাকে বর্ণনা করা যায় না।
وَالْبَاقِيْ بَعْدَ فَنَاءِ الْخَلْقِ،
তিনি থাকবেন সব সৃষ্টি বিলীন হয়ে যাওয়ার পরও।
الْعَظِيْمُ الرُّبُوْبِيَّةِ،
তিনিই লালন-পালনে সবচেয়ে বড়,
نُوْرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرَضِيْنَ
এবং আকাশগুলো ও পৃথিবীগুলোর আলো,
وَفَاطِرُهُمَا وَمُبْتَدِعُهُمَا
এবং তাদের উভয়ের সৃষ্টিকর্তা ও উভয়ের উদ্ভাবক;
بِغَيْرِ عَمَدٍ خَلَقَهُمَا
কোন স্তম্ভ ছাড়াই যিনি উভয়কে সৃষ্টি করেছেন
وَفَتَقَهُمَا فَتْقاً
এবং তাদেরকে আলাদা করেছেন পুরোপুরি আলাদা করে।
فَقَامَتِ السَّمَاوَاتُ طَائِعَاتٍ بِأَمْرِهِ
এরপর আকাশগুলো স্থির হয়ে গিয়েছিলো তাঁর আদেশের আনুগত্যে
وَاسْتَقَرَّتِ الْأَرَضُوْنَ بِأَوْتَادِهَا فَوْقَ الْمَاءِ،
এবং পৃথিবীগুলো তাদের পেরেকগুলোর সাহায্যে স্থির হয়ে গিয়েছিলো পানির উপরিভাগে।
ثُمَّ عَلَا رَبُّنَا فِيْ السَّمَاوَاتِ الْعُلىٰ
এরপর আমাদের প্রভু উঁচু আকাশগুলোকে পরাভূত করলেন
اَلرَّحْمٰنُ عَلَىٰ الْعَرْشِ اسْتَوىٰ،
এবং সর্বদয়ালু মহাপরিচালকের আসনে সুদৃঢ়।
لَهُ مَا فِيْ السَّمَاوَاتِ
তাঁরই হলো সব যা আছে আকাশগুলোতে
وَمَا فِي الْأَرْضِ
ও যা আছে পৃথিবীতে
وَمَا بَيْنَهُمَا
এবং যা আছে এ দুইয়ের মাঝে
وَمَا تَحْتَ الثَّرَىٰ،
এবং যা আছে মাটির নীচে।
فَأَنَا أَشْهَدُ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللهُ
তাই, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনিই আল্লাহ―
لَا رَافِعَ لِمَا وَضَعْتَ،
এমন কেউ নেই যে তা উচুঁ করে যা আপনি নিচু করেন,
وَلَا وَاضِعَ لِمَا رَفَعْتَ،
এবং কেউ নেই যে তা নিচু করে যা আপনি উঁচু করেন,
وَلَا مُعِزَّ لِمَنْ أَذْلَلْتَ،
এবং কেউ নেই যে তাকে সম্মানিত করে যাকে আপনি অপমানিত করেন,
وَلَا مُذِلَّ لِمَنْ أَعْزَزْتَ،
এবং কেউ নেই যে তাকে অপমানিত করে যাকে আপনি সম্মানিত করেন,
وَلَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ،
এবং কেউ নেই তাকে বাধা দিবে যাকে আপনি আনুকূল্য দেন,
وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ
এবং কেউ নেই তাকে আনূকুল্য দিবে যাকে আপনি বাধা দেন।
وَأَنْتَ اللهُ لَا إِلـٰهَ إِلاّ أَنْتَ
আর আপনিই আল্লাহ, কোন খোদা নেই আপনি ছাড়া,
كُنْتَ إِذْ لَمْ تَكُنْ سَمَاءٌ مَبْنِيَّةٌ
আপনি ছিলেন যখন না ছিল কোন দৃঢ় আকাশ,
وَلَا أَرْضٌ مَدْحِيَّةٌ
না ছিল বিস্তৃত পৃথিবী,
وَلَا شَمْسٌ مُضِيْـئَةٌ
না ছিল উজ্জ্বল সূর্য,
وَلَا لَيْلٌ مُظْلِمٌ
না ছিল অন্ধকার রাত,
وَلَا نَهَارٌ مُضِيْـىءٌ،
না ছিল আলোকিত দিন,
وَلَا بَحْرٌ لُجّـِيٌّ
না ছিল প্রমত্ত সমূদ্র,
وَلَا جَبَلٌ رَاسٍ،
না ছিল সুদৃঢ় পর্বত,
وَلَا نَجْمٌ سَارٍ،
না ছিল ঘূর্ণায়মান নক্ষত্র,
وَلَا قَمَرٌ مُنِيْرٌ،
না ছিল আলো দানকারী চাঁদ,
وَلَا رِيْحٌ تَهُبُّ،
না ছিল প্রবহমান বায়ু,
وَلَا سَحَابٌ يَسْكُبُ،
না ছিল বৃষ্টি দানকারী মেঘ,
وَلَا بَرْقٌ يَلْمَعُ،
না ছিল বিদ্যুৎ যা চমকায়,
وَلَا رَعْدٌ يُسَبّـِحُ،
না ছিল তাসবীহ ঘোষণাকারী কোন বজ্রধ্বনী,
وَلَا رُوْحٌ تَنَفَّسُ،
না ছিল নিঃশ্বাস গ্রহণকারী কোন আত্মা,
وَلَا طَائِرٌ يَطِيْرُ،
না কোন পাখি যা উড়ে,
وَلَا نَارٌ تَتَوَقَّدُ،
না কোন প্রজ্বলিত আগুন,
وَلَا مَاءٌ يَطَّرِدُ
আর না কোন প্রবহমান পানি।
كُنْتَ قَبْلَ كُلِّ شَيْءٍ
আপনি ছিলেন সবকিছুর অস্তিত্বের আগে
وَكَوَّنْتَ كُلَّ شَيْءٍ
এবং আপনিই সবকিছু অস্তিত্বে এনেছেন
وَقَدَرْتَ عَلىٰ كُلِّ شَيْءٍ
এবং সব সম্ভাবনার ওপর আপনি শক্তিমান
وَابْتَدَعْتَ كُلَّ شَيْءٍ
এবং সবকিছুর উদ্ভব ঘটিয়েছেন।
وَأَغْنَيْتَ وَأَفْقَرْتَ
আপনি [কিছুকে] সমৃদ্ধ করেছেন এবং [কিছুকে] দরিদ্র করেছেন,
وَأَمَتَّ وَأَحْيَيْتَ
[কিছুকে] মৃত্যু দিয়েছেন এবং [কিছুকে] জীবন দিয়েছেন,
وَأَضْحَكْتَ وَأَبْكَيْتَ
এবং [কিছুকে] খুশী করেছেন এবং [কিছুকে] কাঁদিয়েছেন।
وَعَلَىٰ الْعَرْشِ اسْتَوَيْتَ
আর আপনি মহাপরিচালকের আসনে সুদৃঢ়।
فَتَبَارَكْتَ يَا اَللهُ وَتَعَالَيْتَ،
তাই আপনি বরকতময়, হে আল্লাহ আপনি সবকিছুর ওপরে।
أَنْتَ اللهُ الَّذِيْ لَا إِلـٰهَ إِلاَّ أَنْتَ
আপনিই আল্লাহ যিনি ছাড়া কোন খোদা নেই।
الْخَلاَّقُ الْمُعِيْنُ
[আপনিই] সৃষ্টিকর্তা― সাহায্যকারী।
أَمْرُكَ غَالِبٌ
আপনার আদেশ সবার ওপরে
وَعِلْمُكَ نَافِذٌ،
এবং আপনার জ্ঞানই বাস্তবায়িত হয়।
وَكَيْدُكَ غَرِيْبٌ،
আর আপনার কৌশল হলো তুলনাহীন;
وَوَعْدُكَ صَادِقٌ،
এবং আপনার প্রতিশ্রুতি সত্য;
وَقَوْلُكَ حَقٌّ
এবং আপনার কথা সত্য;
وَحُكْمُكَ عَدْلٌ،
এবং আপনার আদেশ হলো ন্যায়সঙ্গত;
وَكَلَامُكَ هُدَىً،
এবং আপনার কথাই হলো সঠিক পথনির্দেশ;
وَوَحْيُكَ نُوْرٌ،
এবং আপনার ওহী হলো আলো;
وَرَحْمَتُكَ وَاسِعَةٌ،
এবং আপনার দয়া হলো সুবিস্তৃত;
وَعَفْوُكَ عَظِيْمٌ،
এবং ক্ষমায় আপনি সুমহান;
وَفَضْلُكَ كَثِيْرٌ،
এবং আপনার অনুগ্রহ প্রচুর;
وَعَطَاؤُكَ جَزِيْلٌ،
এবং আপনার উপহার অসংখ্য;
وَحَبْلُكَ مَتِيْنٌ،
এবং আপনার রশি দৃঢ়;
وَإِمْكَانُكَ عَتِيْدٌ،
এবং আপনার শক্তি সবসময় প্রস্ত্তত;
وَجَارُكَ عَزِيْزٌ،
এবং আপনার আশ্রয়প্রাপ্তরা হলো সম্মানিত;
وَبَأْسُكَ شَدِيْدٌ،
এবং আপনার ক্রোধ হলো ভয়ানক;
وَمَكْرُكَ مَكِيْدٌ
এবং আপনার কৌশল হলো ফাঁদপূর্ণ;
أَنْتَ يَا رَبِّ مَوْضِعُ كُلِّ شَكْوَىٰ
আপনিই হে আমার প্রভু, যার কাছে সব অভিযোগ করা হয়।
حَاضِرُ كُلِّ مَلاَءٍ
উপস্থিত আছেন সব সমাবেশে
وَشَاهِدُ كُلِّ نَجْوٰى،
এবং সব গোপন বিষয়গুলোর প্রত্যক্ষদর্শী,
مُنْتَهىٰ كُلِّ حَاجَةٍ
এবং সব প্রয়োজনের সর্বশেষ লক্ষ্য,
مُفَرّ ِجُ كُلِّ حُزْنٍ
সব শোক দূরকারী,
غِنىٰ كُلِّ مِسْكِيْنٍ
প্রত্যেক অভাবীর প্রাচুর্য,
حِصْنُ كُلِّ هَارِبٍ
প্রত্যেক শরণার্থীর দুর্গ,
أَمَانُ كُلِّ خَائِفٍ،
প্রত্যেক ভীত ব্যক্তির নিরাপত্তা,
حِرْزُ الضُّعَفَاءِ
দুর্বলদের ঢাল,
كَنْزُ الْفُقَرَاءِ،
নিঃস্বদের ধনভান্ডার,
مُفَرِّجُ الْغَمَّاءِ
দুঃখসমূহ দূরকারী,
مُعِيْنُ الصَّالِحِيْنَ،
নৈতিক গুণসম্পন্নদের সাহায্যকারী।
ذٰلِكَ اللهُ رَبُّنَا لَا إِلـٰهَ إِلاَّ هُوَ،
এরকমই হলেন আল্লাহ― আমাদের প্রভু, কোন খোদা নেই তিনি ছাড়া।
تَكْفِيْ مِنْ عِبَادِكَ مَنْ تَوَكَّلَ عَلَيْكَ
আপনি যথেষ্ট হয়ে যান আপনার দাসদের মধ্যে তার জন্য যে আপনারই ওপর ভরসা করে।
وَأَنْتَ جَارُ مَنْ لَاذَ بِكَ
আপনি তার আশ্রয়দাতা যে আপনার সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত আছে
وَتَضَرَّعَ إِلَيْكَ
এবং [যে] আপনার সামনে নিজেকে বিনীত করে,
عِصْمَةُ مَنِ اعْتَصَمَ بِكَ
এবং ঢাল তার জন্য যে আপনার কাছে আশ্রয় চায়,
نَاصِرُ مَنِ انْتَصَرَ بِكَ
সাহায্যকারী তার জন্য যে আপনার কাছে সাহায্য চায়,
تَغْفِرُ الذُّنُوبَ لِمَنِ اسْتَغْفَرَكَ،
তার গুনাহ ক্ষমা করেন যে আপনার কাছে ক্ষমা চায়,
جَبَّارُ الْجَبَابِرَةِ،
অত্যাচারীদের পরাভূতকারী,
عَظِيْمُ الْعُظَمَاءِ
মহানদের চেয়ে মহান,
كَبِيْرُ الْكُبَرَاءِ،
বড়দের চেয়ে বড়,
سَيِّـدُ السَّادَاتِ
সর্দারদের সর্দার,
مَوْلَىٰ الْمَوَالِيْ
অভিভাবকদের অভিভাবক,
صَرِيْخُ الْمُسْتَصْرِخِيْنَ
সান্ত্বনাহীনদের সান্ত্বনা,
مُنَفِّسٌ عَنِ الْمَكْرُوْبِيْنَ
তাদের সাহায্যকারী যারা দুঃখ-কষ্টে আছে,
مُجِيْبُ دَعْوَةِ الْمُضْطَرِّيْنَ
দুর্দশাগ্রস্তদের ডাকে সাড়া দানকারী,
أَسْمَعُ السَّامِعِيْنَ
শ্রোতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শ্রোতা,
أَبْصَرُ النَّاظِرِيْنَ
পর্যবেক্ষণকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিশক্তির অধিকারী,
أَحْكَمُ الْحَاكِمِيْنَ
বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক,
أَسْرَعُ الْحَاسِبِيْنَ
হিসাব গ্রহণকারীদের মধ্যে দ্রুততম,
أَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ
মমতাময়দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মমতাময়,
خَيْرُ الْغَافِرِيْنَ،
ক্ষমাকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী,
قَاضِيْ حَوَائِجِ الْمُؤْمِنِيْنَ
বিশ্বাসীদের প্রয়োজনগুলো পূরণকারী,
مُغِيْثُ الصَّالِحِيْنَ
নৈতিক গুণসম্পন্নদের আবেদনে সাহায্যকারী।
أَنْتَ اللهُ لاَ إِلـٰهَ إِلاَّ أَنْتَ
আপনিই আল্লাহ, কোন খোদা নেই আপনি ছাড়া―
رَبُّ الْعَالَمِيْنَ،
আপনি জগতসমূহের প্রভু।
أَنْتَ الْخَالِقُ وَأَنَا الْمَخْلُوْقُ
আপনি সৃষ্টিকর্তা―আর আমি হলাম সৃষ্ট;
وَأَنْتَ الْمَالِكُ وَأَنَا الْمَمْلُوْكُ
আপনি মালিক―আর আমি হলাম গোলাম;
وَأَنْتَ الرَّبُّ وَأَنَا الْعَبْدُ
আপনি প্রভু―আর আমি হলাম দাস,
وَأَنْتَ الرَّازِقُ وَأَنَا الْمَرْزُوْقُ
আপনি রিয্ক্ব দানকারী―আর আমি হলাম সে যাকে রিয্ক্ব দেয়া হয়,
وَأَنْتَ الْمُعْطِيْ وَأَنَا السَّائِلُ
আপনি প্রদানকারী―আর আমি হলাম ভিক্ষুক,
وَأَنْتَ الْجَوَادُ وَأَنَا الْبَخِيْلُ،
আপনি সর্বউদার―আর আমি হলাম কৃপণ,
وَأَنْتَ الْقَوِيُّ وَأَنَا الضَّعِيْفُ
আপনি মহাশক্তিধর―আর আমি হলাম দুর্বল,
وَأَنْتَ الْعَزِيْزُ وَأَنَا الذَّلِيْلُ،
আপনি মহাসম্মানিত―আর আমি হলাম মর্যাদাহীন,
وَأَنْتَ الْغَنِيُّ وَأَنَا الْفَقِيْرُ،
আপনি সর্বধনী―আর আমি হলাম নিঃস্ব,
وَأَنْتَ السَّيِّدُ وَأَنَا الْعَبْدُ،
আপনি প্রভু―আর আমি হলাম দাস,
وَأَنْتَ الْغَافِرُ وَأَنَا الْمُسِـيْئُ
আপনি ক্ষমাকারী―আর আমি হলাম গুনাহগার,
وَأَنْتَ الْعَالِمُ وَأَنَا الْجَاهِلُ،
আপনি সর্বজ্ঞানী―আর আমি হলাম অজ্ঞ,
وَأَنْتَ الْحَلِيْمُ وَأَنَا الْعَجُوْلُ،
আপনি ধৈর্যশীল―আর আমি হলাম তাড়াহুড়াকারী,
وَأَنْتَ الرَّحْمٰنُ وَأَنَا الْمَرْحُوْمُ،
আপনি সর্বদয়ালু―আর আমি হলাম সে যাকে দয়া করা হয়,
وَأَنْتَ الْمُعَافِيْ وَأَنَا الْمُبْتَلىٰ،
আপনি মুক্তি দানকারী―আর আমি হলাম দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত;
وَأَنْتَ المُجِيْبُ وَأَنَا الْمُضْطَرُّ،
আপনি সাড়া দানকারী―আর আমি হলাম দুর্দশাগ্রস্ত।
وَأَنَا أَشْهَدُ بِأنَّكَ أَنْتَ اللهُ
আর আমি সাক্ষ্য দেই যে, নিশ্চয়ই আপনিই আল্লাহ―
لاَ إِلـٰهَ إِلاَّ أَنْتَ
কোন খোদা নেই আপনি ছাড়া।
الْمُعْطِيْ عِبَادَكَ بِلاَ سُؤَالٍ،
আপনি আপনার দাসদের আনুকূল্য দান করেন তাদের চাওয়া ছাড়াই।
وَأَشْهَدُ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللهُ
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনিই আল্লাহ―
الْوَاحِدُ الْأَحَدُ
এক, অদ্বিতীয়,
الْمُتَفَرِّدُ الصَّمَدُ الْفَرْدُ
একমাত্র, স্বনির্ভর, একা,
وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ،
এবং আপনার দিকেই হলো প্রত্যাবর্তন।
وَصَلَّىٰ اللهُ عَلىٰ مُحَمَّدٍ وَأَهْلِ بَيْتِهِ الطَّيِّبِيْنَ الطَّاهِرِيْنَ
আর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ এবং তার উত্তম ও পবিত্র পরিবারের ওপর।
وَاغْفِرْ لِيْ ذُنُوْبِيْ
[হে আমার প্রভু,] আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন,
وَاسْتُرْ عَلَيَّ عُيُوْبِيْ
এবং আমার দোষ-ত্রুটিগুলো ঢেকে দিন,
وَافْتَحْ لِيْ مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً
এবং আমার প্রতি খুলে দিন আপনার বিশেষ দয়া,
وَرِزْقاً وَاسِعاً
এবং প্রশস্ত রিয্ক্ব;
يا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
হে মমতাময়দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মমতাময়!
وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ  الْعَالَمِيْنَ
সব প্রশংসা আল্লাহর যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক,
وَحَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلُ
এবং আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং শ্রেষ্ঠ অভিভাবক;
وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ
এবং কোন ক্ষমতা নেই ও কোন শক্তি নেই শুধু আল্লাহর কাছে ছাড়া―
الْعَلِيِّ  الْعَظِيْمِ .
যিনি সর্বোচ্চ, মহিমান্বিত।

[এখন আপনার প্রয়োজনগুলো বলুন। সবশেষে আবার দরুদ পড়ুন]

Wednesday, October 14, 2015

যে দোয়া পড়লে রিজিক বৃদ্ধি পায়

যে দোয়া পড়লে রিজিক বৃদ্ধি পায়
প্রতি ওয়াক্ত সালাতে দ্বিতীয় রাকাতে সূরা আল ইমরান এর নিম্নোক্ত ২৬ ও ২৭ নম্বর আয়াত দুটো পরে দেখুন। খুবই শক্তিশালী আয়াত। ইনশাল্লাহ আপনার সকল সমস্যা ও দারিদ্রতা আল্লাহর রহমতে দূর হয়ে যাবে। আমি ভীষণ উপকার পেয়েছি। পড়ার সময় এক মনে পড়বেন। আর কখনই আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে নিরাশায় ভুগবেন না। মনে পূর্ণ বিশ্বাস রাখবেন যে আল্লাহ্‌ যা করেন এবং যা করবেন তা আপনার ভাল'র জন্যই করবেন।

قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاء وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاء وَتُعِزُّ مَن تَشَاء وَتُذِلُّ مَن تَشَاء بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَىَ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।

تُولِجُ اللَّيْلَ فِي الْنَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الَمَيَّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَن تَشَاء بِغَيْرِ حِسَابٍ

তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর।

ডাউনলোড করুন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপঃ রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

Tuesday, October 6, 2015

দৈনিক আমল যে সকল সুরা পাঠ করা উচিৎ

দৈনিক আমল সম্পর্কে জেনে নিন। আজকে আমরা জানবো প্রতিদিন আমল করা উচিৎ এমন কয়েকটি সুরার নাম ও সংক্ষিপ্ত ফজিলত সম্পর্কে।

১. সুরা ফাতেহা- এর উপর আর কোন দোয়া নাই। যদি বাংলা অর্থটা জেনে পড়েন দেখবেন মন ছুয়ে যাবে। আল্লাহু আকবার।
২. সুরা বাকারার প্রথম ৪ আয়াত + আয়তুল কুরসীসহ পরের দুই আয়াত (সুরা বাকারার ২৫৫, ২৫৬, ২৫৭) + সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত
(লিল্লাহে মা-ফিসসামাওয়াতি থেকে শেষ পর্যন্ত) সকালে ১ বার সন্ধ্যায় ১ বার.
৩. সুরা ইমরানের আয়াত ১৮, ১৯ ‘সাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা---ছারীউ’ল হিছাব’+ আয়াত ২৫, ২৬ “কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি ---বিগইরি হিসাব”।
৪. সুরা আনআমের প্রথম তিন আয়াত।
৫. সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত।
৭. সুরা কাহফ শুক্রবার দিন পড়ার জন্য।
৮. সুরা মুলক (একে সুরা তাবারাকাল্লাজি ও বলে)- কবরে ঢাল হিসাবে সুরক্ষার জন্য ।
৯. সুরা মুজজাম্মিল ।
১০. প্রত্যেক দিন মাগরেব থেকে এশার মধ্যবর্তী সময়ে সুরা ওয়াকেয়া এবং সুরা সাজদা (একে সুরা আলিফ-লাম-মিম সাজদা ও বলে) পড়লে শবে কদরের রাতে সারা রাত ইবাদত করার সোওয়াব পাওয়া যায়।
১১. সুরা ইয়াসিন
১২. সুরা আর রাহমান
১৩. সুরা তাকাছুর- একবার পড়লে হাজার আয়াত পড়ার সোওয়াব পাওয়া যায়।
১৪. ”আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিম মিনাশশাইতানির রাজিম (৩ বার), বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (১ বার) + সুরা হাশরের শেষ ৪ আয়াত হুয়াল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা থেকে শেষ পর্যন্ত” সকালে ১ বার সন্ধ্যায় ১ বার।
১৫. সুরা ফালাক ও নাস- সকল প্রকার অনিষ্ট (বিশেষভাবে জ্বীন, তাবিজ টোনা, ইত্যাদি) থেকে সুরক্ষার জন্য।
১৬. চার ক্বুল (কাফেরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস)

দৈনিক আমল


সকাল ও সন্ধ্যায় এই ৪টি দোয়া আমল করুন

সকাল ও সন্ধ্যায় এই ৪টি দোয়া আমল করুন
মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ফরয ইবাদতের পাশাপাশি বহু ধরণের নফল ইবাদত করে থাকেন। কিন্তু আবার অনেকেই দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত থাকায় কারণে ফরয ইবাদত করলেও সময়ের অভাবে নফল ইবাদত করতে চায় না। ধর্মপ্রাণ সকল ধরণের মুসলমান ভাই ও বোনের জন্য ৫টি বিশেষ আমল নিচে উল্লেখ করা হলো-
সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার দোয়া
১. হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হু আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম। (যাদুল মাআদ) অর্থাৎ- আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তারই উপর নির্ভর করছি, আর তিনি হচ্ছেন মহান আরশের অধিপতি।
ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল এবং সন্ধ্যায় এ দুআ’টি ৭ বার পড়বে, দুনিয়া ও আখিরাতের সব চিন্তা-ভাবনার জন্য  আল্লাহই যথেষ্ট হবেন।
২. বিছমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআ’ছমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস্সামাই ওয়া হুয়াচ্ছামীয়ুল আলিম।(তিরমিযী, যাদুল মাআদ) অর্থাৎ আল্লাহর নামে (আমি এই দিন বা রাত শুরু করছি)- যার নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কেউ কোন ক্ষতি করতে সক্ষম নয়। তিনি সব শুনেন ও জানেন।
ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় এ দুআ’ ৩ বার করে পাঠ করেন, আল্লাহ তাআলা তাকে সর্বপ্রকার ক্ষতি থেকেই হিফাজত করা হয়।
৩. আল্লাহুম্মা ইন্নি আছবাহ্তু আশহাদুকা, আশহাদু জুমলাতা আরশিকা ওয়া মালাইকাতিকা, ওয়া জামীআ খালক্বিকা, ইন্নাকা আনতাল্লাহুল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রাসুলুক। অর্থাৎ হে আল্লাহ্ আমি সকাল করছি আপনাকে সাক্ষ্য রেখে, আরশবাহী ফিরিশতাদের সাক্ষ্য রেখে, সমস্ত সৃষ্টি জগতকে সাক্ষ্য রেখে – নিশ্চয়ই আপনিই সেই সত্বা যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার বান্দা ও রাসুল। মাগরিবের পর উপরোক্ত দোয়ায় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আছবাহতু’ এর স্থলে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আমছাইতু’ অর্থাৎ ‘সকাল করছি’ এর বদলে ‘সন্ধ্যা করছি’ বলবে।
ফজিলত : যে ব্যক্তি এ দু’আ ৪ বার উল্লেখিত নিয়মে পড়বে, ১ বার পড়ার পর তার দেহের এক চতুর্থাংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে দ্বিতীয় বার পাঠের পর অর্ধাংশ, তৃতীয়বার পাঠের পর তিন চতুর্থাংশ ও চতুর্থবার পাঠের পর সম্পূর্ণ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। (যাদুল মাআদ)
৪. রাদ্বি-তু বিল্লা-হি রাব্বাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বিনাও ওয়া বি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলািইহি ওয়া সাল্লাম নাবিইয়্যাও ওয়া রাসূলা। (তিরমিজি)। অর্থাৎ আমি সন্তুষ্ট আছি আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামকে নবী হিসাবে পেয়ে।
ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় (অর্থাৎ ফজর ও মাগরিবের পর) এ দোয়াটি ৩ বার করে পাঠ করবে তার উপর সন্তুষ্ট হওয়া আল্লাহর উপর দায়ীত্ব হয়ে যায়। (তিরমিজি)
৫. সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার- আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বি লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্তা খালাক্বতানি ওয়া আনা আ’বদুকা, ওয়া আনা আ’লা আ’হ্দিকা, ওয়া ওয়া’দিকা মাছত্বোয়াতাতু, আ’উযুবিকা মিন শাররি মা ছানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ লাকা বিজাম্বি, ফাগফিরলী। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লাহ আন্তা।(যাদুল মাআদ)। অর্থাৎ হে আল্লাহ্ তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার বান্দা। আর আমি সাধ্যমত তোমার অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতির উপর কায়েম আছি। আমি মন্দ যা করেছি তা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। আমার উপর তোমার প্রদত্ত নেয়ামতের স্বীকৃতি দিচ্ছি। আর আমার গুনাহ্গুলো স্বীকার করছি। অতএব আমাকে ক্ষমা কর। কারণ তুমি ছাড়া গুনাহ্ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।
ফজিলত : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ এ কথাগুলো সন্ধ্যা বেলায় বললে, অতপর সকাল হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। অনুরূপভাবে তোমাদের কেউ তা সন্ধ্যা বেলায় বললে, অতপর সকালের আগেই তার মৃত্যু হলে তার জন্যও জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (বুখারী, তিরমিজি)

মনোবাসনা পূরণের শ্রেষ্ঠ আমল

মনোবাসনা পূরণের শ্রেষ্ঠ আমল
অনেক সময় আমাদের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, ব্যবসায়ীক জীবন, অর্থনৈতিক জীবন, সাংস্কৃতিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন তথা জীবনের সকল ক্ষেত্রে সকল প্রকার কাজকর্ম সব কিছুই আল্লাহর জন্য। যদি এই নিয়তই মানুষের থাকে তবে সকল কাজ মানুষের সহজ হয়ে যাবে, প্রতি শ্বাস-প্রশ্বাস মানুষের ইবাদতে পরিণত হবে। আল্লাহ বলেন-
ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
অর্থ : আমার নামাজ, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ সকল কিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য।
কেননা মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ও শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আর শয়তান আল্লাহর দুশমন। আল্লাহ কুরআনে দুই ধরনের শয়তানের কথা উল্লেখ করেছেন। এক শ্রেণির শয়তান হচ্ছে মানুষ; আর এক শ্রেণির শয়তান হচ্ছে জ্বীন (সুরা নাস)। তাইতো আমাদের ভালো ও মন্দের জন্য এই দুই শ্রেণির শয়তানই দায়ী। আমরা শয়তানের সকল প্রকার কুমন্ত্রণা ও খারাবি থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর সাহায্য প্রত্যাশী।
তাই তো আল্লাহ তাআলা মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য, প্রিয় মানুষকে আরও প্রিয় করে নেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার আপদ-বিপদ তথা বালা-মুসিবতের মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন।
উপরন্তু আল্লাহ তাআলা ও তাঁর প্রিয় হাবীব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে তার কাছে আপদ-বিপদ, বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে তথা মনের নেক মাকসুদ হাসিলে আল্লাহর দরবারে কিভাবে ধরনা দিতে হবে তা কুরআন ও হাদীসে উল্লেখ করেছেন-
কুরআন ও হাদীসের আমলগুলি এই-
১. আল্লাহ বলেন-
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা ওয়া লা- তাহ্মিল আ’লাইনা- ইসরান কামা- হামালতাহু আ’লাল্লাজিনা মিন ক্বাবলিনা- রাব্বানা ওয়া লা- তাহ্মিলনা- মা- লা- ত্বা-ক্বাতা লানা- বিহি- ওয়াআ’ফু আন্না- ওয়াগফিরলানা- ওয়ারহামনা- আন্তা মাওলা-না- ফানছুরনা- আ’লাল কাওমিল কা-ফিরি-না’। (সূরা বাকারা আয়াত-২৮৬)।
অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের ওপর ভারী ও কঠিন কাজের বোঝা অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর অর্পণ করেছিলে। হে আমাদের প্রভু! আমাদের উপর এমন কঠিন দায়িত্ব দিও না, যা সম্পাদন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন করো, আমাদের ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি দয়া করো। তুমি আমাদের প্রভু! সুতরাং অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করো।
উৎস : হযরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের বেলায় সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে তা তার জন্য যথেষ্ট। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)।
২. আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেছেন-
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা- আতিনা মিল্লাদুনকা রাহমাতাও ওয়া হাইয়্যিই লানা- মিন আমরিনা রাশাদা। (সূরা কাহ্ফ : আয়াত ১০)।
অর্থ : হে আমদের রব! আমাদেরকে আপনার নিকট থেকে রহমাত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করার তাওফিক দান করুন।
উৎস : তাফসিরে ইবনে কাছীরে এই আয়াতের ব্যাখ্যা এসেছে-
আছহাবে কাহাফের গুহাবাসীগণ যখন বাদশার অত্যাচার নির্যাতনে ঘর-বাড়ি, সমাজ ছেড়ে গুহায় আশ্রয় নিচ্ছিলেন তখন যেন তারা আল্লাহর হুকুম সঠিকভাবে পালন করতে পারেন সে কারণে উক্ত দোয়া করেছিলেন।
৩. তাছাড়া বিপদে মুসিবতে পড়লে আমরা এই আমলটিও সব সময় করতে পারি। আল্লাহ বলেন-
ইন্না-লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলাইহি রা-জিউন। (সূরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৬)।
অর্থ : আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমাদের সবাইকে তাঁর সান্নিধ্যে ফিরে যেতে হবে।
এ দোয়াটি পাঠ করলে একদিকে যেমন অসীম সওয়াব পাওয়া যায় আবার অর্থের দিকে খেয়াল করলে বিপদের সময় আন্তরিক প্রশান্তি লাভ করা যায় এবং তা থেকে উত্তরণ সহজ হয়।
সুতরাং মানুষ তার মনের একান্ত সৎ কামনা বাসনা, চাওয়া-পাওয়া তথা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য আল্লাহর শিখানো ভাষায় ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জবান মুবারকের হাদীসের বর্ণনায় আমল করলে আল্লাহ তাআলা মানুষের সকল প্রকার নেক মাকসেদ পূরণ করতে পারেন।
৪. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ-
সর্বোপরি মানুষের জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই দোয়াটি সর্বাবস্থায় আমল করবে-
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আ’যিমুল হালি-ম, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আ’রশিল আ’জি-মি, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরযি রাব্বুল আরশিল কারীম।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে লোক চিন্তা-ভাবনা, পেরেশানী কিংবা কোনো জটিল বিষয়ের সম্মুখীন হবে তার পক্ষে উপরোল্লেখিত বাক্যগুলি পড়া উচিত। তাতে সমস্ত জটিলতা সহজ হয়ে যাবে। (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম; মেশকাত হাদীছ নং ২৩০৫)
সহিহ বুখারী ও ফাতহুল বারীতে এসেছে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি- আউ’যুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়াল আ’ঝজি ওয়াল কিসলি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া যাল্লাআ’দ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজালি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থণা করছি (সকল প্রকার) চিন্তা-ভাবনা, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা এবং কাপুরুষতা থেকে, অধিক ঋণ থেকে ও দুষ্টু লোকের প্রাধান্য থেকে।