Sunday, November 1, 2015

দোয়া’য়ে ইয়াসতাশির

দোয়া ইয়াসতাশির এর ফজিলত:
সাইয়্যেদ ইবনে তাউস তার ‘মুহাজ আদ-দাওয়াত’ এবং কাফআমি তার কিতাব ‘মিসবাহ’-তে এ দোয়াটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) থেকে এবং তিনি তা শিখেছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন এ দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করার জন্য
―হোক সমৃদ্ধির সময়ে অথবা দারিদ্রে―মৃত্যু পর্যন্ত; কারণ এটি সৃষ্টির রহস্য এবং ঐশী পরিকল্পনাকে উম্মোচন করে। এর মূল্য ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।  কোন বুদ্ধিমানই এর অর্থগুলো বর্ণনা করে শেষ করতে পারে না। যখনই কেউ তা পাঠ করতে শুরু করে, তখন সর্বক্ষমতাবান আল্লাহ তাঁর নেয়ামত পাঠান এবং তাঁর দয়া তাকে পরিবেষ্টন করে এবং শান্তি ও স্বস্তি তার ওপর অবতীর্ণ হয়। এ দোয়ার আওয়াজ আরশের দিকে এবং এর চারদিকে ঘোরে―যা এর সরাসরি গন্তব্য।
দোয়াকারীর সব আশাগুলো পূরণ করা হয়। তার প্রয়োজনগুলো মেটানো হয়। সে তার চাহিদা থেকে স্বাধীন হয়ে যায় এবং তাকে দুঃখ-কষ্ট ও দুর্ভাগ্য থেকে নিরাপদ রাখা হয়। পাগল ব্যক্তির সামনে পাঠ করলে মস্তিস্ক বিকৃতি থেকে আরোগ্য লাভ করে।   সন্তান প্রসব আসন্ন এমন নারীর সামনে পাঠ করলে প্রসব বেদনা থেকে মুক্ত হয়। চল্লিশ শুক্রবার তা পাঠ করলে সব গুনাহ ক্ষমা করা হয়। এটি অসুস্থতা থেকে আরোগ্য দেয় এবং দুঃখসমূহ দূর করে দেয়। যে দোয়াটি ঘুমানোর আগে পাঠ করে, তার জন্য আল্লাহ এক হাজার ফেরেশতাকে নিয়োজিত করেন যারা সকাল পর্যন্ত দোয়া করে। যে এটি পাঠ করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইন্তেকাল করে তাকে শহীদ হিসাবে গণ্য করা হয়। এখানে উল্লিখিত ‘দোয়া’য়ে ইয়াসতাশির’-টি প্রখ্যাত আলেম আল্লামা শেইখ আববাস কুম্মী-র ‘‘মাফাতিহুল জিনান’’ [বেহেশতের চাবিগুলো] গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।


দোয়া’য়ে ইয়াসতাশির



আল্লাহর নামে যিনি সর্বদয়ালু ও সর্বমমতাময়
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ
সব প্রশংসা আল্লাহর,
لَا إِلـٰهَ إِلاَّ هُوَ
যিনি ছাড়া আর কোন খোদা নেই,
اَلْمَلِكُ الْحَقُّ الْمُبِيْنُ
যিনি সুস্পষ্টভাবে প্রকৃত বাদশাহ,
اَلْمُدَبِرُّ  بِلَا وَزِيْرٍ
তিনিই মহাপরিচালক ―কোন মন্ত্রী ছাড়াই,
وَلاَ خَلْقٍ مِنْ عِبَادِهِ يَسْتَشِيْرُ،
এবং তাঁর কোন দাসের সাথে পরামর্শ ছাড়াই।
اَلْأَوَّلُ غَيْرُ مَوْصُوْفٍ،
তিনিই সর্বপ্রথম―যাকে বর্ণনা করা যায় না।
وَالْبَاقِيْ بَعْدَ فَنَاءِ الْخَلْقِ،
তিনি থাকবেন সব সৃষ্টি বিলীন হয়ে যাওয়ার পরও।
الْعَظِيْمُ الرُّبُوْبِيَّةِ،
তিনিই লালন-পালনে সবচেয়ে বড়,
نُوْرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرَضِيْنَ
এবং আকাশগুলো ও পৃথিবীগুলোর আলো,
وَفَاطِرُهُمَا وَمُبْتَدِعُهُمَا
এবং তাদের উভয়ের সৃষ্টিকর্তা ও উভয়ের উদ্ভাবক;
بِغَيْرِ عَمَدٍ خَلَقَهُمَا
কোন স্তম্ভ ছাড়াই যিনি উভয়কে সৃষ্টি করেছেন
وَفَتَقَهُمَا فَتْقاً
এবং তাদেরকে আলাদা করেছেন পুরোপুরি আলাদা করে।
فَقَامَتِ السَّمَاوَاتُ طَائِعَاتٍ بِأَمْرِهِ
এরপর আকাশগুলো স্থির হয়ে গিয়েছিলো তাঁর আদেশের আনুগত্যে
وَاسْتَقَرَّتِ الْأَرَضُوْنَ بِأَوْتَادِهَا فَوْقَ الْمَاءِ،
এবং পৃথিবীগুলো তাদের পেরেকগুলোর সাহায্যে স্থির হয়ে গিয়েছিলো পানির উপরিভাগে।
ثُمَّ عَلَا رَبُّنَا فِيْ السَّمَاوَاتِ الْعُلىٰ
এরপর আমাদের প্রভু উঁচু আকাশগুলোকে পরাভূত করলেন
اَلرَّحْمٰنُ عَلَىٰ الْعَرْشِ اسْتَوىٰ،
এবং সর্বদয়ালু মহাপরিচালকের আসনে সুদৃঢ়।
لَهُ مَا فِيْ السَّمَاوَاتِ
তাঁরই হলো সব যা আছে আকাশগুলোতে
وَمَا فِي الْأَرْضِ
ও যা আছে পৃথিবীতে
وَمَا بَيْنَهُمَا
এবং যা আছে এ দুইয়ের মাঝে
وَمَا تَحْتَ الثَّرَىٰ،
এবং যা আছে মাটির নীচে।
فَأَنَا أَشْهَدُ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللهُ
তাই, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনিই আল্লাহ―
لَا رَافِعَ لِمَا وَضَعْتَ،
এমন কেউ নেই যে তা উচুঁ করে যা আপনি নিচু করেন,
وَلَا وَاضِعَ لِمَا رَفَعْتَ،
এবং কেউ নেই যে তা নিচু করে যা আপনি উঁচু করেন,
وَلَا مُعِزَّ لِمَنْ أَذْلَلْتَ،
এবং কেউ নেই যে তাকে সম্মানিত করে যাকে আপনি অপমানিত করেন,
وَلَا مُذِلَّ لِمَنْ أَعْزَزْتَ،
এবং কেউ নেই যে তাকে অপমানিত করে যাকে আপনি সম্মানিত করেন,
وَلَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ،
এবং কেউ নেই তাকে বাধা দিবে যাকে আপনি আনুকূল্য দেন,
وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ
এবং কেউ নেই তাকে আনূকুল্য দিবে যাকে আপনি বাধা দেন।
وَأَنْتَ اللهُ لَا إِلـٰهَ إِلاّ أَنْتَ
আর আপনিই আল্লাহ, কোন খোদা নেই আপনি ছাড়া,
كُنْتَ إِذْ لَمْ تَكُنْ سَمَاءٌ مَبْنِيَّةٌ
আপনি ছিলেন যখন না ছিল কোন দৃঢ় আকাশ,
وَلَا أَرْضٌ مَدْحِيَّةٌ
না ছিল বিস্তৃত পৃথিবী,
وَلَا شَمْسٌ مُضِيْـئَةٌ
না ছিল উজ্জ্বল সূর্য,
وَلَا لَيْلٌ مُظْلِمٌ
না ছিল অন্ধকার রাত,
وَلَا نَهَارٌ مُضِيْـىءٌ،
না ছিল আলোকিত দিন,
وَلَا بَحْرٌ لُجّـِيٌّ
না ছিল প্রমত্ত সমূদ্র,
وَلَا جَبَلٌ رَاسٍ،
না ছিল সুদৃঢ় পর্বত,
وَلَا نَجْمٌ سَارٍ،
না ছিল ঘূর্ণায়মান নক্ষত্র,
وَلَا قَمَرٌ مُنِيْرٌ،
না ছিল আলো দানকারী চাঁদ,
وَلَا رِيْحٌ تَهُبُّ،
না ছিল প্রবহমান বায়ু,
وَلَا سَحَابٌ يَسْكُبُ،
না ছিল বৃষ্টি দানকারী মেঘ,
وَلَا بَرْقٌ يَلْمَعُ،
না ছিল বিদ্যুৎ যা চমকায়,
وَلَا رَعْدٌ يُسَبّـِحُ،
না ছিল তাসবীহ ঘোষণাকারী কোন বজ্রধ্বনী,
وَلَا رُوْحٌ تَنَفَّسُ،
না ছিল নিঃশ্বাস গ্রহণকারী কোন আত্মা,
وَلَا طَائِرٌ يَطِيْرُ،
না কোন পাখি যা উড়ে,
وَلَا نَارٌ تَتَوَقَّدُ،
না কোন প্রজ্বলিত আগুন,
وَلَا مَاءٌ يَطَّرِدُ
আর না কোন প্রবহমান পানি।
كُنْتَ قَبْلَ كُلِّ شَيْءٍ
আপনি ছিলেন সবকিছুর অস্তিত্বের আগে
وَكَوَّنْتَ كُلَّ شَيْءٍ
এবং আপনিই সবকিছু অস্তিত্বে এনেছেন
وَقَدَرْتَ عَلىٰ كُلِّ شَيْءٍ
এবং সব সম্ভাবনার ওপর আপনি শক্তিমান
وَابْتَدَعْتَ كُلَّ شَيْءٍ
এবং সবকিছুর উদ্ভব ঘটিয়েছেন।
وَأَغْنَيْتَ وَأَفْقَرْتَ
আপনি [কিছুকে] সমৃদ্ধ করেছেন এবং [কিছুকে] দরিদ্র করেছেন,
وَأَمَتَّ وَأَحْيَيْتَ
[কিছুকে] মৃত্যু দিয়েছেন এবং [কিছুকে] জীবন দিয়েছেন,
وَأَضْحَكْتَ وَأَبْكَيْتَ
এবং [কিছুকে] খুশী করেছেন এবং [কিছুকে] কাঁদিয়েছেন।
وَعَلَىٰ الْعَرْشِ اسْتَوَيْتَ
আর আপনি মহাপরিচালকের আসনে সুদৃঢ়।
فَتَبَارَكْتَ يَا اَللهُ وَتَعَالَيْتَ،
তাই আপনি বরকতময়, হে আল্লাহ আপনি সবকিছুর ওপরে।
أَنْتَ اللهُ الَّذِيْ لَا إِلـٰهَ إِلاَّ أَنْتَ
আপনিই আল্লাহ যিনি ছাড়া কোন খোদা নেই।
الْخَلاَّقُ الْمُعِيْنُ
[আপনিই] সৃষ্টিকর্তা― সাহায্যকারী।
أَمْرُكَ غَالِبٌ
আপনার আদেশ সবার ওপরে
وَعِلْمُكَ نَافِذٌ،
এবং আপনার জ্ঞানই বাস্তবায়িত হয়।
وَكَيْدُكَ غَرِيْبٌ،
আর আপনার কৌশল হলো তুলনাহীন;
وَوَعْدُكَ صَادِقٌ،
এবং আপনার প্রতিশ্রুতি সত্য;
وَقَوْلُكَ حَقٌّ
এবং আপনার কথা সত্য;
وَحُكْمُكَ عَدْلٌ،
এবং আপনার আদেশ হলো ন্যায়সঙ্গত;
وَكَلَامُكَ هُدَىً،
এবং আপনার কথাই হলো সঠিক পথনির্দেশ;
وَوَحْيُكَ نُوْرٌ،
এবং আপনার ওহী হলো আলো;
وَرَحْمَتُكَ وَاسِعَةٌ،
এবং আপনার দয়া হলো সুবিস্তৃত;
وَعَفْوُكَ عَظِيْمٌ،
এবং ক্ষমায় আপনি সুমহান;
وَفَضْلُكَ كَثِيْرٌ،
এবং আপনার অনুগ্রহ প্রচুর;
وَعَطَاؤُكَ جَزِيْلٌ،
এবং আপনার উপহার অসংখ্য;
وَحَبْلُكَ مَتِيْنٌ،
এবং আপনার রশি দৃঢ়;
وَإِمْكَانُكَ عَتِيْدٌ،
এবং আপনার শক্তি সবসময় প্রস্ত্তত;
وَجَارُكَ عَزِيْزٌ،
এবং আপনার আশ্রয়প্রাপ্তরা হলো সম্মানিত;
وَبَأْسُكَ شَدِيْدٌ،
এবং আপনার ক্রোধ হলো ভয়ানক;
وَمَكْرُكَ مَكِيْدٌ
এবং আপনার কৌশল হলো ফাঁদপূর্ণ;
أَنْتَ يَا رَبِّ مَوْضِعُ كُلِّ شَكْوَىٰ
আপনিই হে আমার প্রভু, যার কাছে সব অভিযোগ করা হয়।
حَاضِرُ كُلِّ مَلاَءٍ
উপস্থিত আছেন সব সমাবেশে
وَشَاهِدُ كُلِّ نَجْوٰى،
এবং সব গোপন বিষয়গুলোর প্রত্যক্ষদর্শী,
مُنْتَهىٰ كُلِّ حَاجَةٍ
এবং সব প্রয়োজনের সর্বশেষ লক্ষ্য,
مُفَرّ ِجُ كُلِّ حُزْنٍ
সব শোক দূরকারী,
غِنىٰ كُلِّ مِسْكِيْنٍ
প্রত্যেক অভাবীর প্রাচুর্য,
حِصْنُ كُلِّ هَارِبٍ
প্রত্যেক শরণার্থীর দুর্গ,
أَمَانُ كُلِّ خَائِفٍ،
প্রত্যেক ভীত ব্যক্তির নিরাপত্তা,
حِرْزُ الضُّعَفَاءِ
দুর্বলদের ঢাল,
كَنْزُ الْفُقَرَاءِ،
নিঃস্বদের ধনভান্ডার,
مُفَرِّجُ الْغَمَّاءِ
দুঃখসমূহ দূরকারী,
مُعِيْنُ الصَّالِحِيْنَ،
নৈতিক গুণসম্পন্নদের সাহায্যকারী।
ذٰلِكَ اللهُ رَبُّنَا لَا إِلـٰهَ إِلاَّ هُوَ،
এরকমই হলেন আল্লাহ― আমাদের প্রভু, কোন খোদা নেই তিনি ছাড়া।
تَكْفِيْ مِنْ عِبَادِكَ مَنْ تَوَكَّلَ عَلَيْكَ
আপনি যথেষ্ট হয়ে যান আপনার দাসদের মধ্যে তার জন্য যে আপনারই ওপর ভরসা করে।
وَأَنْتَ جَارُ مَنْ لَاذَ بِكَ
আপনি তার আশ্রয়দাতা যে আপনার সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত আছে
وَتَضَرَّعَ إِلَيْكَ
এবং [যে] আপনার সামনে নিজেকে বিনীত করে,
عِصْمَةُ مَنِ اعْتَصَمَ بِكَ
এবং ঢাল তার জন্য যে আপনার কাছে আশ্রয় চায়,
نَاصِرُ مَنِ انْتَصَرَ بِكَ
সাহায্যকারী তার জন্য যে আপনার কাছে সাহায্য চায়,
تَغْفِرُ الذُّنُوبَ لِمَنِ اسْتَغْفَرَكَ،
তার গুনাহ ক্ষমা করেন যে আপনার কাছে ক্ষমা চায়,
جَبَّارُ الْجَبَابِرَةِ،
অত্যাচারীদের পরাভূতকারী,
عَظِيْمُ الْعُظَمَاءِ
মহানদের চেয়ে মহান,
كَبِيْرُ الْكُبَرَاءِ،
বড়দের চেয়ে বড়,
سَيِّـدُ السَّادَاتِ
সর্দারদের সর্দার,
مَوْلَىٰ الْمَوَالِيْ
অভিভাবকদের অভিভাবক,
صَرِيْخُ الْمُسْتَصْرِخِيْنَ
সান্ত্বনাহীনদের সান্ত্বনা,
مُنَفِّسٌ عَنِ الْمَكْرُوْبِيْنَ
তাদের সাহায্যকারী যারা দুঃখ-কষ্টে আছে,
مُجِيْبُ دَعْوَةِ الْمُضْطَرِّيْنَ
দুর্দশাগ্রস্তদের ডাকে সাড়া দানকারী,
أَسْمَعُ السَّامِعِيْنَ
শ্রোতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শ্রোতা,
أَبْصَرُ النَّاظِرِيْنَ
পর্যবেক্ষণকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিশক্তির অধিকারী,
أَحْكَمُ الْحَاكِمِيْنَ
বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক,
أَسْرَعُ الْحَاسِبِيْنَ
হিসাব গ্রহণকারীদের মধ্যে দ্রুততম,
أَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ
মমতাময়দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মমতাময়,
خَيْرُ الْغَافِرِيْنَ،
ক্ষমাকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী,
قَاضِيْ حَوَائِجِ الْمُؤْمِنِيْنَ
বিশ্বাসীদের প্রয়োজনগুলো পূরণকারী,
مُغِيْثُ الصَّالِحِيْنَ
নৈতিক গুণসম্পন্নদের আবেদনে সাহায্যকারী।
أَنْتَ اللهُ لاَ إِلـٰهَ إِلاَّ أَنْتَ
আপনিই আল্লাহ, কোন খোদা নেই আপনি ছাড়া―
رَبُّ الْعَالَمِيْنَ،
আপনি জগতসমূহের প্রভু।
أَنْتَ الْخَالِقُ وَأَنَا الْمَخْلُوْقُ
আপনি সৃষ্টিকর্তা―আর আমি হলাম সৃষ্ট;
وَأَنْتَ الْمَالِكُ وَأَنَا الْمَمْلُوْكُ
আপনি মালিক―আর আমি হলাম গোলাম;
وَأَنْتَ الرَّبُّ وَأَنَا الْعَبْدُ
আপনি প্রভু―আর আমি হলাম দাস,
وَأَنْتَ الرَّازِقُ وَأَنَا الْمَرْزُوْقُ
আপনি রিয্ক্ব দানকারী―আর আমি হলাম সে যাকে রিয্ক্ব দেয়া হয়,
وَأَنْتَ الْمُعْطِيْ وَأَنَا السَّائِلُ
আপনি প্রদানকারী―আর আমি হলাম ভিক্ষুক,
وَأَنْتَ الْجَوَادُ وَأَنَا الْبَخِيْلُ،
আপনি সর্বউদার―আর আমি হলাম কৃপণ,
وَأَنْتَ الْقَوِيُّ وَأَنَا الضَّعِيْفُ
আপনি মহাশক্তিধর―আর আমি হলাম দুর্বল,
وَأَنْتَ الْعَزِيْزُ وَأَنَا الذَّلِيْلُ،
আপনি মহাসম্মানিত―আর আমি হলাম মর্যাদাহীন,
وَأَنْتَ الْغَنِيُّ وَأَنَا الْفَقِيْرُ،
আপনি সর্বধনী―আর আমি হলাম নিঃস্ব,
وَأَنْتَ السَّيِّدُ وَأَنَا الْعَبْدُ،
আপনি প্রভু―আর আমি হলাম দাস,
وَأَنْتَ الْغَافِرُ وَأَنَا الْمُسِـيْئُ
আপনি ক্ষমাকারী―আর আমি হলাম গুনাহগার,
وَأَنْتَ الْعَالِمُ وَأَنَا الْجَاهِلُ،
আপনি সর্বজ্ঞানী―আর আমি হলাম অজ্ঞ,
وَأَنْتَ الْحَلِيْمُ وَأَنَا الْعَجُوْلُ،
আপনি ধৈর্যশীল―আর আমি হলাম তাড়াহুড়াকারী,
وَأَنْتَ الرَّحْمٰنُ وَأَنَا الْمَرْحُوْمُ،
আপনি সর্বদয়ালু―আর আমি হলাম সে যাকে দয়া করা হয়,
وَأَنْتَ الْمُعَافِيْ وَأَنَا الْمُبْتَلىٰ،
আপনি মুক্তি দানকারী―আর আমি হলাম দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত;
وَأَنْتَ المُجِيْبُ وَأَنَا الْمُضْطَرُّ،
আপনি সাড়া দানকারী―আর আমি হলাম দুর্দশাগ্রস্ত।
وَأَنَا أَشْهَدُ بِأنَّكَ أَنْتَ اللهُ
আর আমি সাক্ষ্য দেই যে, নিশ্চয়ই আপনিই আল্লাহ―
لاَ إِلـٰهَ إِلاَّ أَنْتَ
কোন খোদা নেই আপনি ছাড়া।
الْمُعْطِيْ عِبَادَكَ بِلاَ سُؤَالٍ،
আপনি আপনার দাসদের আনুকূল্য দান করেন তাদের চাওয়া ছাড়াই।
وَأَشْهَدُ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللهُ
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনিই আল্লাহ―
الْوَاحِدُ الْأَحَدُ
এক, অদ্বিতীয়,
الْمُتَفَرِّدُ الصَّمَدُ الْفَرْدُ
একমাত্র, স্বনির্ভর, একা,
وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ،
এবং আপনার দিকেই হলো প্রত্যাবর্তন।
وَصَلَّىٰ اللهُ عَلىٰ مُحَمَّدٍ وَأَهْلِ بَيْتِهِ الطَّيِّبِيْنَ الطَّاهِرِيْنَ
আর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ এবং তার উত্তম ও পবিত্র পরিবারের ওপর।
وَاغْفِرْ لِيْ ذُنُوْبِيْ
[হে আমার প্রভু,] আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন,
وَاسْتُرْ عَلَيَّ عُيُوْبِيْ
এবং আমার দোষ-ত্রুটিগুলো ঢেকে দিন,
وَافْتَحْ لِيْ مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً
এবং আমার প্রতি খুলে দিন আপনার বিশেষ দয়া,
وَرِزْقاً وَاسِعاً
এবং প্রশস্ত রিয্ক্ব;
يا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
হে মমতাময়দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মমতাময়!
وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ  الْعَالَمِيْنَ
সব প্রশংসা আল্লাহর যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক,
وَحَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلُ
এবং আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং শ্রেষ্ঠ অভিভাবক;
وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ
এবং কোন ক্ষমতা নেই ও কোন শক্তি নেই শুধু আল্লাহর কাছে ছাড়া―
الْعَلِيِّ  الْعَظِيْمِ .
যিনি সর্বোচ্চ, মহিমান্বিত।

[এখন আপনার প্রয়োজনগুলো বলুন। সবশেষে আবার দরুদ পড়ুন]

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি

Share This
Previous Post
Next Post

0 comments: