Wednesday, September 7, 2016

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কখনই কোন দাইয়ের দুধ পান করেন নি

আসুন জেনে নেই রাসুল সাঃ কি সত্যিই কোন দাইয়ের দুধ পান করেছেন নাকি তার নামে মিথ্যাচার করা হয়, মহানবী (সাঃ) এর পিতার নাম - আবদুল্লাহ (আঃ) , এবং মাতার নাম - বিবি আমেনা (সাঃআঃ)।

আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ও আমাদের বিশ্বাস মতে হযরত হাওয়া (আঃ) থেকে বিবি আমেনা (সাঃআঃ) পর্যন্ত কেউই মুশরিক বা কাফের ছিলেন না ।

প্রচলিত ইসলামের ইতিহাসে বলা হয়ে থাকে যে , হালিমা নামক এক বেদুইন মহিলার দুধ পান করে মহানবী (সাঃ) লালিত পালিত হয়েছেন । কতটুকু সত্য ???

আল্লাহ কোন নবী রাসুলকেই দাইয়ের বা কোন মুশরিক মহিলার দুধ পান করান নি । সেখানে শ্রেষ্ঠ নবীকে (সাঃ) কেন তিনি দাইয়ের দুধ পান করাবেন !

এটা নবীজী (সাঃ) তথা ইসলামের শত্রুদের দ্বারা রচনা করা ভ্রান্ত ইতিহাস । এবং এটা কোরআনের বক্তব্যের সাথেও সম্পূর্ন পরিপন্থী ।

কারন হযরত মুসা (আঃ) কে আল্লাহ অন্য কোন দাইয়ের দুধ পান করতে দেন নি ।
সূত্র - সুরা কাসাস - ১২ ।

সেখানে সৈয়দুল মুরছালিন শ্রেষ্ঠ নবী (সাঃ) কে কি করে দাইয়ের দুধ পান করাবেন ?

এছাড়া পবিত্র কোরআনে পরিষ্কার বলা আছে , দুই বৎসর পর্যন্ত শিশু তার মায়ের দুধ পান করবে, এবং মা আমেনা সুস্থ্য শরীরে নবীজী (সাঃ) এর ছয় বৎসর পর্যন্ত বেঁঁচে ছিলেন ।

সেখানে কোন দুঃখে আমাদের নবীজী (সাঃ) অসুস্থ দাই মা হালিমার ঘরে গেলেন । যেখানে ঐতিহাসিকগনের মতে বিবি হালিমা একজন জন্মগতভাবে বিকলাঙ্গ মহিলা ছিলেন ।

নবীজী (সাঃ) এর মাতা বিবি আমেনা ওনার জন্মের পরেও ছয় বছর পর্যন্ত সুস্থভাবে জীবিত ছিলেন এবং কোরআনের সিদ্বান্ত অনুযায়ী দুই বছর পর্যন্ত শিশু তার মায়ের দুধ পান করবে । সেখানে নবীজী ( সাঃ) এর বেলায় প্রচারিত এই কেচ্ছা কাহিনী পুরোপুরি ভাবেই ওনার মান সম্মান এবং কোরআনের বিধানের সাথেও সংগতিপূর্ন নয় ।

ঐতিহাসিকগন বলেন যে , সে সময় দাইয়ের দুধ খাওয়ানাটা আরবের প্রচলিত প্রথা ছিল । যদি তাই হয়ে থাকে তবে হযরত আব্বাস (আঃ) , হামজা (রাঃ) , জাফর (রাঃ) , আবু তালেব (আঃ) , আবদুল মোতালেব (আঃ) সহ আরও নামকরা ব্যক্তিদের বেলায় এই রকম দাইয়ের দুধ খাওয়ানোর ইতিহাস শোনা যায় না কেন ?

তারা যদি বলেন সেটা নবীর আমলের আগের ঘটনা ।
তবে নবীর পরে যেমন হযরত আলী (আঃ) , ইমাম হাসান (আঃ) , ইমাম হোসেন (আঃ) সহ অন্যদের বেলায় এই সব কেচ্ছা কাহিনী জানা যায় না কেন ?

তাছাড়া ছয় বছর পর্যন্ত নবীজী (সাঃ) এর মাতা সুস্থ শরীরে বেঁচে ছিলেন ।
তারপর ওনার মাতার ইন্তেকালের পর ওনারই চাচা আবু তালেব (আঃ) এবং চাচি ফাতেমা বিনতে আসাদের অপার স্নেহ মমতায় উনি পরম আদরে লালিত পালিত হয়েছেন । তো এখানে দাই মা এর এই গল্পের কোন যৌক্তিক কারন বোধগম্য নয় ।

এগুলো সবই ওনার মান সম্মানকে খাটো করার হীন প্রয়াস থেকে ওনারই শত্রুদের রচনা করা মিথ্যা ইতিহাস ।

এইরকম আরো পড়ুন:
১/ শিয়ারা কি মুসলিম ?
২/ শিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো কি সত্য ?
৩/ আহলে বাইতের নামের শেষে আঃ কেন বলা হয় ?


ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি

Share This
Previous Post
Next Post

0 comments: