Sunday, August 16, 2015

যে কারণে বিধর্মীদের ধর্ষণ করা হয়, ব্যাখ্যা দিল আইএস সদস্য

ছোট্ট মেয়েটি কাকুতি-মিনতি করেছিল অনেক। বলেছিল, ‘কষ্ট হয়’। আরও জানিয়েছিল, ‘ওই কাজ করলে তার পাপ হবে।’ ‘পাপ’ এর কথা শুনেই যেন থেমে গিয়েছিল ‘জীবন্ত জল্লাদ।’ কিন্তু, তা বলে ছাড়া পায়নি ছোট্ট মেয়েটি। উলটো, ধর্ষণের আগে জানানো হয়েছিল, কেন তাকে রক্তাক্ত করা হবে। যা শুনে শিউরে উঠেছিল, বছর ১২র ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ছোট্ট মেয়েটি।
সিরিয়া এবং ইরাকের বেশ কিছু অংশে হত্যালীলা শুরু করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। ইসলামবিরোধীদের নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, যৌন ক্রীতদাসী নারীদের ওপর করা হচ্ছে নির্মম অত্যাচার। সেই অত্যাচারের তালিকা থেকে বাদ পড়ছে না কিশোরীরাও। আইএসের কবল থেকে পালিয়ে আসা এমন ২ কিশোরীর ওপর কিভাবে অত্যাচার করেছিল আইএস, তা শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও।
আইএসের কবল থেকে পালিয়ে আসা বছর ১২র এক কিশোরী জানিয়েছে, অপহরণের পর প্রায় ১১ মাস পর সে আইএসের কবল থেকে পালিয়ে এসেছে। অপহরণের পর প্রতিরাতে তাকে ধর্ষণ করা হতো। ইচ্ছা অনুযায়ী, তার ওপর নির্যাতন চালাত আইএস। ধর্ষণের আগে একদিন সে এক জঙ্গির কাছে আকুতি, মিনতি করেছিল। মেয়েটির আর্তনাদ শুনে কিছুটা থেমেছিল ওই জঙ্গি। জানিয়েছিল, কেন সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে? কারণ হিসেবে বলেছিল, ‘ইসলামে বিশ্বাসী নয়, এমন মেয়েদের ধর্ষণ করলে সৃষ্টিকর্তার আরও কাছে পৌঁছানো যায়।’ আর সেই কারণেই ধর্ষণের আগে ও পরে প্রতিদিন প্রার্থনা করেই, ওই জঙ্গি মেয়েটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত।’ খাটের সঙ্গে হাত, পা বেঁধে চলত অত্যাচার।
আইএসের কবল থেকে পালিয়ে আসা বছর ১৫র আর আরও এক কিশোরী জানিয়েছে, ধর্ষণের আগে প্রার্থনা করত আইএস জঙ্গিরা। বাধা দিয়েছিল মেয়েটি। জানিয়েছিল, ‘তুমি যা করছ, সেটা ভুল। এটা তোমায় সৃষ্টিকর্তার কাছে পৌঁছে দেবে না।’ কিন্তু, শোনেনি ওই জঙ্গি। জানিয়েছিল, সে ঠিকই করছে। একে হালাল বলে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর থেকে এ পর্যন্ত আইসিস ৫,২৭০ জন ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষকে অপহরণ করে আটক করে রেখেছে। যার মধ্যে রয়েছে অনেক যৌন ক্রীতদাসী। তাদের ওপর ইচ্ছেমতো পাশবিক অত্যাচার চালায় আইএস। বাধা দিলে, চলে নৃশংস অত্যাচার। এমনকি, খোলা বাজারে দর হেকেও মহিলাদের বিক্রি করে আইএস। সম্প্রতি, ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ২১ জন নারী আইএসের কবল থেকে পালিয়ে এসেছেন। সেই দলে ছিল ওই ২ কিশোরীও।

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি

Share This
Previous Post
Next Post

0 comments: