এদিকে, ইরানের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বুঝতে পেরেছিল রাশিয়া খুব সম্ভবত ইসরাইলকে সিরিয়ান স্যামের সোর্স কোড দিয়েছে। কারণ এই কাজ রাশিয়া নতুন করে না অনেক আগে থেকেই করতো। ৮০ এর দশকে ইরাকের পরমাণু প্রকল্পে নিয়োজিত সোভিয়েত এয়ার ডিফেন্সের কোড ইসরাইলে পাচার করেছিল বলে অভিযোগ করেছিল ইরাক। তাই যখনই ইসরাইলি জেট টেকঅফ করত সিরিয়ান স্যাম জেটগুলোকে সিরিয়ান এয়ারফোর্স ভাবত। যখন ইসরাইল সিরিয়ায় স্ট্রাইক করে তা রাশিয়ান এয়ার ডিফেন্স রেন্জের বেশ ভালভাবেই ভেতরে থাকে কিন্তু রাশিয়ান এয়ার ডিফেন্সগুলো রেসপন্ড করেনা কারন এ নিয়ে ইসরাইলের সাথে আগেই গোপন চুক্তি আছে যখন রাশিয়া কোন এয়ার স্ট্রাইক করতে যায় আগেভাগেই ইসরাইলকে জানিয়ে দেয় আর যখন ইসরাইল কোন স্ট্রাইক করতে আসে তা আগে থেকেই রাশিয়াকে জানিয়ে দেয় আর শুধুমাত্র এ সংক্রান্ত খবর আদান প্রদানের জন্যই মস্কো তেলআবিব হটলাইন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সিরিয়ার এই ঘটনায় বুঝা যায় প্রয়োজনের সময় নিজ দেশের অস্ত্র কাজ করবে না (এখানে ইরান , ইরাক ও সিরিয়ার নয় ৮০ এর দশকে আজেন্টিনার অভিজ্ঞতা লক্ষ্যনীয়, আজেন্টিনা ও ব্রিটেনের মধ্যে ফকল্যান্ড নিয়ে ১৯৮৪ সালে যুদ্ধ বাধে আজেন্টিনার এক্সজোকেট মিসাইল হামলায় ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ও অত্যাধুনিক ড্রেস্ট্রয়ার ডুবে যায় ও আরও কিছু যুদ্ধ জাহাজ বিশাল ক্ষতিগ্রস্থ হয় । পরবর্তী সময়ে এক্সজোকেট মিসাইলের প্রস্তুতকারক দেশ ফ্রান্স ব্রিটেনকে তাঁদের তৈরি মিসাইলের গোপন কোড সরবরাহ করে ফলাফল পরে আজেন্টিনার একটি এক্সজোকেট মিসাইলও ব্রিটিশ জাহাজের বিরুদ্ধে কাজ করেনি ! এরপরে ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ইরাকী এক্সজোকেট মিসাইল হামলায় মার্কিন ড্রেস্ট্রয়ারের বিপুল ক্ষতিসাধন করে ও প্রায় ৫০ জনের মত মার্কিন নেভি ও অফিসার নিহত হয় এরপরে ফ্রান্স মার্কিনীদের মিসাইলের গোপন তথ্য সরবরাহ করে ফলে একটি এক্সজোকেট মিসাইলও মার্কিনীদের যুদ্ধ জাহাজের বিরুদ্ধে কাজ করেনি !
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: