Tuesday, July 21, 2015

সালাতুল তাসবীহ পড়ার নিয়ম

সালাতুল তাসবীহ নামায পড়ার নিয়ম- হযরত ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) হযরত ইবনে আব্বাস(রাঃ) কে বলেন, “হে আব্বাস, আমার চাচা আমি কি আপনাকে একটি দান বা বকশিশ দিব, আপনার সামনে একটি তফফা পেশ করব, আমি কি আপনাকে এমন একটি আমল বলে দিব যা পালন করলে আপনি ১০ টি উপকার লাভ করবেন অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আপনার অতিত- ভবিষ্যতের, নতুন-পুরাতন, ভুলে বা জেনেশুনে, ছোট–বড়, গোপনে বা প্রকাশে করা সকল গুনাহ এ মাফ করে দিবেন।
সেই আমল হল আপনি ৪ (চার) রাকাত সালাতুল তাসবিহ আদায় করবেন। যদি আপনার দ্বারা সম্ভব হয় তবে প্রতিদিন একবার এই নামাজ পরবেন, যদি প্রতিদিন পরতে না পারেন তবে প্রত্যেক জুমার দিন, আর সেটাও সম্ভব না হলে বছরে একবার এই নামাজ পরবেন। আর সেটাও সম্ভব না হলে জীবনে একবার হলেও পরে নেবেন”।

সালাতুল তাসবিহ পড়ার নিয়ম – হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক(রাঃ) ও অন্যান্য ওলামা হতে এই নামাজের
ফজিলত নকল করা হয়েছে এবং তাদের নিকট হতে এই তরিকা বর্ণনা করা হয়েছে- “ছানা পড়ার পর এই কালেমা
গুলি ১৫ বার – সুবহানাল্লহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর পরবেন,
অতঃপর আউজুবিল্লাহ, বিছমিল্লাহ, সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে ১০বার পরবেন, রুকুতে গিয়ে ১০বার পরবেন, রুকু থেকে উঠে ১০বার, সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবিহ পড়ার পর ১০ বার,বসে ১০ বার এবং আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবিহ পড়ার পর ১০ বার পরবেন, এভাবে ৭৫ বার পড়া হয়ে গেল, তারপর দাড়িয়ে সুরা ফাতিহা পড়ার পূর্বে ১৫ বার পরে পূর্বের নিয়মে পরে হবে।
যদি কোন জায়গায় সংখ্যা কম হয়ে যায় বা ভুলে যাওয়া হয় তবে পরবর্তী রুকুনে তা আদায় করতে হবে। আর ২ সিজদার মাঝখানে বা রুকু থেকে উঠে দাঁড়ানোর পর দাড়িয়ে ভুলে যাওয়া তাসবিহ আদায় না করা। যদি নামাজে
সহু সিজদাহ দিতে হয় তবে সহু সিজদার মাঝে এই তাসবিহ গুলা পড়া লাগবেনা। তবে যদি কোন কিছুর রাকাত ভুলে যাওয়া হয় তবে সেখানে আদায় করলে চলবে। এই তাসবিহ গুলা পড়ার সময় আঙ্গুলে গোনা যাবেনা। তবে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে সংখ্যা কে মনে রাখা যেতে পারে।

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি

Share This
Previous Post
Next Post

0 comments: