এই যে রমযান মাসের তারাবীর নামায, এইখানেও দেশ ভেদে রাকআতের ভিন্নতা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশী মুসলমানরা জানি ২০ রাকআত। আবার কোন কোন দেশে ৮ রাকআত। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নিচে কিছু উদাহরন দিলাম। উল্লেখ্য যে আমি শুধু এখানে নামাযের ভিতর দাঁড়ানো,উঠা,বসা ইত্যাদি সংক্ষেপে বলবো এবং সবগুলা দেশই সুন্নীহ শ্রেনীর ভিতর।
১।মরক্কোর (হতে পারে আশে পাশের দেশেরও) কাসাব্লাঙ্কার মসজিদে মুসলমানেরা নামায শেষে শুধু একদিকে সালাম(তাসলীম) ফেরায়।
২।সংযুক্ত আরব আমীরাত এ (দুবাই,শারজাহ,আল-আইন শহরের মসজিদ এ দেখেছি)রুকুতে যাবার আগে এবং রুকু থেকে দাঁড়িয়ে কাঁধ বরাবর ২ বার হাত ঊঠায়।
৩।ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানেরা ফযরের নামাযে শেষ রাকআতে রুকু করার আগে এবং সেজদা'র আগে দোয়া কুনুত পড়ে।
৪।ইন্দোনেশিয়ায় গতবছর ঈদের নামায পড়তে দেখি ১১/১৩ বার তকবীর বলতে শুনেছি।
৫।মালয়েশিয়ার মসজিদে নামায পড়তে গেলে দেখবেন পূরুষ/মহিলা সবাই বুকের ঊপর হাত রেখে নিয়ত বেঁধে নামায পড়তেছে,যেখানে আমাদের দেশে পূরুষ নাভির বরাবর,মহিলা বুকের উপর হাত বেঁধে নামায পড়ার নিয়ম।
৫।ইরানের কিশ আইল্যন্ডে একবার নামায দেখার সুযোগ হয়েছিল। শেষবেলায় জোহর আর আসর একত্রে পড়ে। এবং মাগরিব এশা একসাথে পড়ে মানে জোহর নামাজ শেষ করে ৫ মিনিট পরেই আবার আছর ঠিক তেমনি মাগরিব পড়া শেষ করে আবার এশা পরে ।
৬। সৌদী আরবে বিতর নামায দুই বা এক রাকআত পড়ে। এবং জামাত এর ভিতর হাঁটাহাঁটি (সব মসজিদে করে কিনা জানিনা) করে, আর আরবীরাতো জোব্বার পকেট থেকে মেসোয়াক এর লাঠি বের করে নামাযের মধ্যেই দাঁত ডলা শুরু করতে দেখেছি।
সবদেশে কমন যে জিনিষটা দেখলাম, টুপি পরে নামাজ পড়তে কেমন যেন উদাসিনতা, এমন কী ইমামেরও।
আর মহিলাদের নামাজ পড়তে কোন বাঁধা নেই আলাদা কাতারে এক জামাতে। (শুধু আমাদের দেশ ব্যতিক্রম)।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: