Wednesday, October 14, 2015

যে দোয়া পড়লে রিজিক বৃদ্ধি পায়

যে দোয়া পড়লে রিজিক বৃদ্ধি পায়
প্রতি ওয়াক্ত সালাতে দ্বিতীয় রাকাতে সূরা আল ইমরান এর নিম্নোক্ত ২৬ ও ২৭ নম্বর আয়াত দুটো পরে দেখুন। খুবই শক্তিশালী আয়াত। ইনশাল্লাহ আপনার সকল সমস্যা ও দারিদ্রতা আল্লাহর রহমতে দূর হয়ে যাবে। আমি ভীষণ উপকার পেয়েছি। পড়ার সময় এক মনে পড়বেন। আর কখনই আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে নিরাশায় ভুগবেন না। মনে পূর্ণ বিশ্বাস রাখবেন যে আল্লাহ্‌ যা করেন এবং যা করবেন তা আপনার ভাল'র জন্যই করবেন।

قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاء وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاء وَتُعِزُّ مَن تَشَاء وَتُذِلُّ مَن تَشَاء بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَىَ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।

تُولِجُ اللَّيْلَ فِي الْنَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الَمَيَّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَن تَشَاء بِغَيْرِ حِسَابٍ

তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর।

ডাউনলোড করুন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপঃ রিজিক বৃদ্ধির দোয়া

Tuesday, October 6, 2015

দৈনিক আমল যে সকল সুরা পাঠ করা উচিৎ

দৈনিক আমল সম্পর্কে জেনে নিন। আজকে আমরা জানবো প্রতিদিন আমল করা উচিৎ এমন কয়েকটি সুরার নাম ও সংক্ষিপ্ত ফজিলত সম্পর্কে।

১. সুরা ফাতেহা- এর উপর আর কোন দোয়া নাই। যদি বাংলা অর্থটা জেনে পড়েন দেখবেন মন ছুয়ে যাবে। আল্লাহু আকবার।
২. সুরা বাকারার প্রথম ৪ আয়াত + আয়তুল কুরসীসহ পরের দুই আয়াত (সুরা বাকারার ২৫৫, ২৫৬, ২৫৭) + সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত
(লিল্লাহে মা-ফিসসামাওয়াতি থেকে শেষ পর্যন্ত) সকালে ১ বার সন্ধ্যায় ১ বার.
৩. সুরা ইমরানের আয়াত ১৮, ১৯ ‘সাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা---ছারীউ’ল হিছাব’+ আয়াত ২৫, ২৬ “কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি ---বিগইরি হিসাব”।
৪. সুরা আনআমের প্রথম তিন আয়াত।
৫. সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত।
৭. সুরা কাহফ শুক্রবার দিন পড়ার জন্য।
৮. সুরা মুলক (একে সুরা তাবারাকাল্লাজি ও বলে)- কবরে ঢাল হিসাবে সুরক্ষার জন্য ।
৯. সুরা মুজজাম্মিল ।
১০. প্রত্যেক দিন মাগরেব থেকে এশার মধ্যবর্তী সময়ে সুরা ওয়াকেয়া এবং সুরা সাজদা (একে সুরা আলিফ-লাম-মিম সাজদা ও বলে) পড়লে শবে কদরের রাতে সারা রাত ইবাদত করার সোওয়াব পাওয়া যায়।
১১. সুরা ইয়াসিন
১২. সুরা আর রাহমান
১৩. সুরা তাকাছুর- একবার পড়লে হাজার আয়াত পড়ার সোওয়াব পাওয়া যায়।
১৪. ”আউযুবিল্লাহিস সামিউল আলিম মিনাশশাইতানির রাজিম (৩ বার), বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (১ বার) + সুরা হাশরের শেষ ৪ আয়াত হুয়াল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা থেকে শেষ পর্যন্ত” সকালে ১ বার সন্ধ্যায় ১ বার।
১৫. সুরা ফালাক ও নাস- সকল প্রকার অনিষ্ট (বিশেষভাবে জ্বীন, তাবিজ টোনা, ইত্যাদি) থেকে সুরক্ষার জন্য।
১৬. চার ক্বুল (কাফেরুন, ইখলাস, ফালাক, নাস)

দৈনিক আমল


সকাল ও সন্ধ্যায় এই ৪টি দোয়া আমল করুন

সকাল ও সন্ধ্যায় এই ৪টি দোয়া আমল করুন
মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ফরয ইবাদতের পাশাপাশি বহু ধরণের নফল ইবাদত করে থাকেন। কিন্তু আবার অনেকেই দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত থাকায় কারণে ফরয ইবাদত করলেও সময়ের অভাবে নফল ইবাদত করতে চায় না। ধর্মপ্রাণ সকল ধরণের মুসলমান ভাই ও বোনের জন্য ৫টি বিশেষ আমল নিচে উল্লেখ করা হলো-
সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার দোয়া
১. হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হু আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম। (যাদুল মাআদ) অর্থাৎ- আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তারই উপর নির্ভর করছি, আর তিনি হচ্ছেন মহান আরশের অধিপতি।
ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল এবং সন্ধ্যায় এ দুআ’টি ৭ বার পড়বে, দুনিয়া ও আখিরাতের সব চিন্তা-ভাবনার জন্য  আল্লাহই যথেষ্ট হবেন।
২. বিছমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআ’ছমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস্সামাই ওয়া হুয়াচ্ছামীয়ুল আলিম।(তিরমিযী, যাদুল মাআদ) অর্থাৎ আল্লাহর নামে (আমি এই দিন বা রাত শুরু করছি)- যার নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কেউ কোন ক্ষতি করতে সক্ষম নয়। তিনি সব শুনেন ও জানেন।
ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় এ দুআ’ ৩ বার করে পাঠ করেন, আল্লাহ তাআলা তাকে সর্বপ্রকার ক্ষতি থেকেই হিফাজত করা হয়।
৩. আল্লাহুম্মা ইন্নি আছবাহ্তু আশহাদুকা, আশহাদু জুমলাতা আরশিকা ওয়া মালাইকাতিকা, ওয়া জামীআ খালক্বিকা, ইন্নাকা আনতাল্লাহুল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রাসুলুক। অর্থাৎ হে আল্লাহ্ আমি সকাল করছি আপনাকে সাক্ষ্য রেখে, আরশবাহী ফিরিশতাদের সাক্ষ্য রেখে, সমস্ত সৃষ্টি জগতকে সাক্ষ্য রেখে – নিশ্চয়ই আপনিই সেই সত্বা যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার বান্দা ও রাসুল। মাগরিবের পর উপরোক্ত দোয়ায় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আছবাহতু’ এর স্থলে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আমছাইতু’ অর্থাৎ ‘সকাল করছি’ এর বদলে ‘সন্ধ্যা করছি’ বলবে।
ফজিলত : যে ব্যক্তি এ দু’আ ৪ বার উল্লেখিত নিয়মে পড়বে, ১ বার পড়ার পর তার দেহের এক চতুর্থাংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে দ্বিতীয় বার পাঠের পর অর্ধাংশ, তৃতীয়বার পাঠের পর তিন চতুর্থাংশ ও চতুর্থবার পাঠের পর সম্পূর্ণ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। (যাদুল মাআদ)
৪. রাদ্বি-তু বিল্লা-হি রাব্বাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বিনাও ওয়া বি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলািইহি ওয়া সাল্লাম নাবিইয়্যাও ওয়া রাসূলা। (তিরমিজি)। অর্থাৎ আমি সন্তুষ্ট আছি আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামকে নবী হিসাবে পেয়ে।
ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় (অর্থাৎ ফজর ও মাগরিবের পর) এ দোয়াটি ৩ বার করে পাঠ করবে তার উপর সন্তুষ্ট হওয়া আল্লাহর উপর দায়ীত্ব হয়ে যায়। (তিরমিজি)
৫. সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার- আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বি লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্তা খালাক্বতানি ওয়া আনা আ’বদুকা, ওয়া আনা আ’লা আ’হ্দিকা, ওয়া ওয়া’দিকা মাছত্বোয়াতাতু, আ’উযুবিকা মিন শাররি মা ছানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ লাকা বিজাম্বি, ফাগফিরলী। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লাহ আন্তা।(যাদুল মাআদ)। অর্থাৎ হে আল্লাহ্ তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার বান্দা। আর আমি সাধ্যমত তোমার অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতির উপর কায়েম আছি। আমি মন্দ যা করেছি তা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। আমার উপর তোমার প্রদত্ত নেয়ামতের স্বীকৃতি দিচ্ছি। আর আমার গুনাহ্গুলো স্বীকার করছি। অতএব আমাকে ক্ষমা কর। কারণ তুমি ছাড়া গুনাহ্ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।
ফজিলত : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ এ কথাগুলো সন্ধ্যা বেলায় বললে, অতপর সকাল হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। অনুরূপভাবে তোমাদের কেউ তা সন্ধ্যা বেলায় বললে, অতপর সকালের আগেই তার মৃত্যু হলে তার জন্যও জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (বুখারী, তিরমিজি)

মনোবাসনা পূরণের শ্রেষ্ঠ আমল

মনোবাসনা পূরণের শ্রেষ্ঠ আমল
অনেক সময় আমাদের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, ব্যবসায়ীক জীবন, অর্থনৈতিক জীবন, সাংস্কৃতিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন তথা জীবনের সকল ক্ষেত্রে সকল প্রকার কাজকর্ম সব কিছুই আল্লাহর জন্য। যদি এই নিয়তই মানুষের থাকে তবে সকল কাজ মানুষের সহজ হয়ে যাবে, প্রতি শ্বাস-প্রশ্বাস মানুষের ইবাদতে পরিণত হবে। আল্লাহ বলেন-
ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
অর্থ : আমার নামাজ, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ সকল কিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য।
কেননা মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ও শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আর শয়তান আল্লাহর দুশমন। আল্লাহ কুরআনে দুই ধরনের শয়তানের কথা উল্লেখ করেছেন। এক শ্রেণির শয়তান হচ্ছে মানুষ; আর এক শ্রেণির শয়তান হচ্ছে জ্বীন (সুরা নাস)। তাইতো আমাদের ভালো ও মন্দের জন্য এই দুই শ্রেণির শয়তানই দায়ী। আমরা শয়তানের সকল প্রকার কুমন্ত্রণা ও খারাবি থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর সাহায্য প্রত্যাশী।
তাই তো আল্লাহ তাআলা মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য, প্রিয় মানুষকে আরও প্রিয় করে নেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার আপদ-বিপদ তথা বালা-মুসিবতের মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন।
উপরন্তু আল্লাহ তাআলা ও তাঁর প্রিয় হাবীব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে তার কাছে আপদ-বিপদ, বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে তথা মনের নেক মাকসুদ হাসিলে আল্লাহর দরবারে কিভাবে ধরনা দিতে হবে তা কুরআন ও হাদীসে উল্লেখ করেছেন-
কুরআন ও হাদীসের আমলগুলি এই-
১. আল্লাহ বলেন-
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা ওয়া লা- তাহ্মিল আ’লাইনা- ইসরান কামা- হামালতাহু আ’লাল্লাজিনা মিন ক্বাবলিনা- রাব্বানা ওয়া লা- তাহ্মিলনা- মা- লা- ত্বা-ক্বাতা লানা- বিহি- ওয়াআ’ফু আন্না- ওয়াগফিরলানা- ওয়ারহামনা- আন্তা মাওলা-না- ফানছুরনা- আ’লাল কাওমিল কা-ফিরি-না’। (সূরা বাকারা আয়াত-২৮৬)।
অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের ওপর ভারী ও কঠিন কাজের বোঝা অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর অর্পণ করেছিলে। হে আমাদের প্রভু! আমাদের উপর এমন কঠিন দায়িত্ব দিও না, যা সম্পাদন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন করো, আমাদের ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি দয়া করো। তুমি আমাদের প্রভু! সুতরাং অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করো।
উৎস : হযরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের বেলায় সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে তা তার জন্য যথেষ্ট। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)।
২. আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেছেন-
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা- আতিনা মিল্লাদুনকা রাহমাতাও ওয়া হাইয়্যিই লানা- মিন আমরিনা রাশাদা। (সূরা কাহ্ফ : আয়াত ১০)।
অর্থ : হে আমদের রব! আমাদেরকে আপনার নিকট থেকে রহমাত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করার তাওফিক দান করুন।
উৎস : তাফসিরে ইবনে কাছীরে এই আয়াতের ব্যাখ্যা এসেছে-
আছহাবে কাহাফের গুহাবাসীগণ যখন বাদশার অত্যাচার নির্যাতনে ঘর-বাড়ি, সমাজ ছেড়ে গুহায় আশ্রয় নিচ্ছিলেন তখন যেন তারা আল্লাহর হুকুম সঠিকভাবে পালন করতে পারেন সে কারণে উক্ত দোয়া করেছিলেন।
৩. তাছাড়া বিপদে মুসিবতে পড়লে আমরা এই আমলটিও সব সময় করতে পারি। আল্লাহ বলেন-
ইন্না-লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলাইহি রা-জিউন। (সূরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৬)।
অর্থ : আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমাদের সবাইকে তাঁর সান্নিধ্যে ফিরে যেতে হবে।
এ দোয়াটি পাঠ করলে একদিকে যেমন অসীম সওয়াব পাওয়া যায় আবার অর্থের দিকে খেয়াল করলে বিপদের সময় আন্তরিক প্রশান্তি লাভ করা যায় এবং তা থেকে উত্তরণ সহজ হয়।
সুতরাং মানুষ তার মনের একান্ত সৎ কামনা বাসনা, চাওয়া-পাওয়া তথা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য আল্লাহর শিখানো ভাষায় ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জবান মুবারকের হাদীসের বর্ণনায় আমল করলে আল্লাহ তাআলা মানুষের সকল প্রকার নেক মাকসেদ পূরণ করতে পারেন।
৪. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ-
সর্বোপরি মানুষের জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই দোয়াটি সর্বাবস্থায় আমল করবে-
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আ’যিমুল হালি-ম, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আ’রশিল আ’জি-মি, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরযি রাব্বুল আরশিল কারীম।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে লোক চিন্তা-ভাবনা, পেরেশানী কিংবা কোনো জটিল বিষয়ের সম্মুখীন হবে তার পক্ষে উপরোল্লেখিত বাক্যগুলি পড়া উচিত। তাতে সমস্ত জটিলতা সহজ হয়ে যাবে। (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম; মেশকাত হাদীছ নং ২৩০৫)
সহিহ বুখারী ও ফাতহুল বারীতে এসেছে-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি- আউ’যুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়াল আ’ঝজি ওয়াল কিসলি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া যাল্লাআ’দ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজালি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থণা করছি (সকল প্রকার) চিন্তা-ভাবনা, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা এবং কাপুরুষতা থেকে, অধিক ঋণ থেকে ও দুষ্টু লোকের প্রাধান্য থেকে।