প্রিয় বোন, আপনার স্বামী আপনার প্রিয়তম জীবন সাথী। তার হাতে হাত রেখে পাড়ি দিতে হবে জীবনের যত সুখ যত দুংখ। আপনি হলেন স্বামীর হৃদয় রাজ্যের রানী।তার অন্তরের রাজত্ব করার অধিকার আপনারি। দাম্পত্য জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সামান্য ভুলের কারণে যেন সুখের এই আলোকিত জগত দুঃখের আঁধারে ছেয়ে না যায়।
আপনি যদি এই বৈশিষ্ট্য গুলো অর্জন করতে পারেন, ইনশাআল্লাহ মধুর দাম্পত্য জীবন লাভ করবেন।
❑. প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো সুমিষ্ট ভাষার অধিকারী হওয়া:
সর্বদা মুচকি হেসে তাকে আপনার ভুবনে স্বাগত জানান আর প্রাণখোলা হাসির মাঝেই তাকে বিদায় দিন। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার খোঁজ নিন তবে তার ব্যক্তিগত কাজকর্মে নাগগলানোর চেষ্টা না করাই নিরাপদ।
সুমিষ্ট ভাষায় তার সঙ্গে কথা বলুন। কথায় কথায় তার প্রতি আপনার দূর্বলতার দিকটি ফুটিয়ে তুলুন।
তার প্রতি আপনার হৃদয়ে লালিত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা তাকে বুঝতে দিন।
ঝগড়া হলে একটু সবর করুন কয়েক ঘণ্টা কিংবা কয়েক দিন তারপর মতো বিরোধ এমনিতেই মিটে যাবে। শরীয়ার সীমানার ভিতরে থেকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলুন।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
إذا صلت المرءة خمسها وصامت شهرها وحفظت فرجها وأطاع الزوجها؛قيل لها أدخل الجنة من أى أبواب الجنة شيت.
অর্থ: নারীরা যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজানের সওম পালন করে, নিজের লজ্জা স্থান হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, কেয়ামতের দিন তাকে বলা হবে জান্নাতের যে, দরজা দিয়ে তোমার ইচ্ছা প্রবেশ কর।
❑. দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হলো প্রিয়তমের সুরক্ষা:
প্রিয় বোন, আপনি স্বামীর গোপন বিষয়গুলোর সংরক্ষণকারী হোন। ভিতরের কোনো কথা যেন ঘরের বাইরে না যায়। একবার যদি অবিশ্বাসের বীজ বপন করে ফেলেন তবে মনে রাখবেন সেটি সংশোধন করার শক্তি আপনার নাই।
বোন আমার: খুব সতর্ক থাকুন,খুব সতর্ক থাকুন।
কখনো ঝগড়ার সময় তার দুর্বল পয়েন্ট তুলে খুচা দিতে যাবেন না। এতে তার চোখে আপনি এমন ঘৃণিত হবেন যার কোনো চিকিৎসা নেই। তার সম্মান, মর্যাদা, সম্পদ ও ঘরবাড়ির হেফাজত করুন।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
فَالصّٰلِحٰتُ قٰنِتٍٰتٌ حٰفظٰتٌ لِّلْغَيْب بِمَا حَفِظَ اللّٰهُ
অর্থ: নেককার নারীরা স্বামীদের অনুগত হয় এবং তাদের অনুপস্থিতিতে ও আল্লাহ যা রক্ষা করতে বলেছেন তা রক্ষা করে।
❑. তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলো ইবাদত ও যিকির:
আল্লাহর যিকিরের কথা কখনো বিস্রিত হবেন না। টেলিভিশন মোবাইল ল্যাপটপ ইত্যাদির অপব্যবহার আপনার হৃদয়কে মেরে ফেলবে। ফরজ ইবাদতগুলোতে কখনো অবহেলা যেন না হয়। প্রিয়তম কে সালাতের কথা স্বরণ করিয়ে দিন তার সামনে সালাত আদায় করুন যাতে সেও উদ্বুদ্ধ হয়। আল্লাহর ইবাদত ও স্বামীর আনুগত্যে কোনো ত্রুটি যেন না হয়।
❑. চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হলো সুগন্ধীয় পোশাক:
সুন্দর মনকাড়া পোশাক পরে স্বামীর সামনে আবির্ভূত হন। মিষ্টি কোন সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
পুরুষ তাদের স্ত্রীদের সুন্দর অবয়ব দেখতে ভালোবাসে। তার প্রিয় রঙের পোশাকে নিজেকে মোহনীয় করে তুলুন। নিজেকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ও আকর্ষণীয় করে রাখুন। যাতে আপনার প্রিয়তম সবসময় আপনার সান্নিধ্যে পাওয়ার প্রত্যাশায় থাকে।
❑. পঞ্চম বৈশিষ্ট্য হলো স্বামীর পরিচর্যা:
স্বামীর প্রয়োজনগুলোর কথা মনে রাখুন যথাসময়ে চাওয়ার আগেই হাজির করুন।তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও লেবাস পোশাকের পরিচ্ছন্নতার দিকেও খেয়াল রাখুন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন উপলক্ষে তার পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ান। অসুস্থ হলে মন প্রাণ দিয়ে তার সেবা করুন।
প্রিয় বোন: এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে যদি আপনার চরিত্রের অংশ বানাতে পারেন তবে আল্লাহর রহমতে আপনি সুখময় দাম্পত্য জীবন লাভ করবেন।
দোয়া করি, আল্লাহ সকল মুমিন বোনকে সুখময় দাম্পত্য জীবন দান করুন।
কিভাবে জয় করবেন প্রিয়তমের হৃদয়
প্রিয় বোন, দাম্পত্য জীবনের সুখের জন্য এখানে মাত্র পাঁচটি বৌশিষ্টের আলোচনা করা যাক।আপনি যদি এই বৈশিষ্ট্য গুলো অর্জন করতে পারেন, ইনশাআল্লাহ মধুর দাম্পত্য জীবন লাভ করবেন।
❑. প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো সুমিষ্ট ভাষার অধিকারী হওয়া:
সর্বদা মুচকি হেসে তাকে আপনার ভুবনে স্বাগত জানান আর প্রাণখোলা হাসির মাঝেই তাকে বিদায় দিন। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার খোঁজ নিন তবে তার ব্যক্তিগত কাজকর্মে নাগগলানোর চেষ্টা না করাই নিরাপদ।
সুমিষ্ট ভাষায় তার সঙ্গে কথা বলুন। কথায় কথায় তার প্রতি আপনার দূর্বলতার দিকটি ফুটিয়ে তুলুন।
তার প্রতি আপনার হৃদয়ে লালিত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা তাকে বুঝতে দিন।
ঝগড়া হলে একটু সবর করুন কয়েক ঘণ্টা কিংবা কয়েক দিন তারপর মতো বিরোধ এমনিতেই মিটে যাবে। শরীয়ার সীমানার ভিতরে থেকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলুন।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
إذا صلت المرءة خمسها وصامت شهرها وحفظت فرجها وأطاع الزوجها؛قيل لها أدخل الجنة من أى أبواب الجنة شيت.
অর্থ: নারীরা যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজানের সওম পালন করে, নিজের লজ্জা স্থান হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, কেয়ামতের দিন তাকে বলা হবে জান্নাতের যে, দরজা দিয়ে তোমার ইচ্ছা প্রবেশ কর।
❑. দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হলো প্রিয়তমের সুরক্ষা:
প্রিয় বোন, আপনি স্বামীর গোপন বিষয়গুলোর সংরক্ষণকারী হোন। ভিতরের কোনো কথা যেন ঘরের বাইরে না যায়। একবার যদি অবিশ্বাসের বীজ বপন করে ফেলেন তবে মনে রাখবেন সেটি সংশোধন করার শক্তি আপনার নাই।
বোন আমার: খুব সতর্ক থাকুন,খুব সতর্ক থাকুন।
কখনো ঝগড়ার সময় তার দুর্বল পয়েন্ট তুলে খুচা দিতে যাবেন না। এতে তার চোখে আপনি এমন ঘৃণিত হবেন যার কোনো চিকিৎসা নেই। তার সম্মান, মর্যাদা, সম্পদ ও ঘরবাড়ির হেফাজত করুন।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
فَالصّٰلِحٰتُ قٰنِتٍٰتٌ حٰفظٰتٌ لِّلْغَيْب بِمَا حَفِظَ اللّٰهُ
অর্থ: নেককার নারীরা স্বামীদের অনুগত হয় এবং তাদের অনুপস্থিতিতে ও আল্লাহ যা রক্ষা করতে বলেছেন তা রক্ষা করে।
❑. তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলো ইবাদত ও যিকির:
আল্লাহর যিকিরের কথা কখনো বিস্রিত হবেন না। টেলিভিশন মোবাইল ল্যাপটপ ইত্যাদির অপব্যবহার আপনার হৃদয়কে মেরে ফেলবে। ফরজ ইবাদতগুলোতে কখনো অবহেলা যেন না হয়। প্রিয়তম কে সালাতের কথা স্বরণ করিয়ে দিন তার সামনে সালাত আদায় করুন যাতে সেও উদ্বুদ্ধ হয়। আল্লাহর ইবাদত ও স্বামীর আনুগত্যে কোনো ত্রুটি যেন না হয়।
❑. চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হলো সুগন্ধীয় পোশাক:
সুন্দর মনকাড়া পোশাক পরে স্বামীর সামনে আবির্ভূত হন। মিষ্টি কোন সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
পুরুষ তাদের স্ত্রীদের সুন্দর অবয়ব দেখতে ভালোবাসে। তার প্রিয় রঙের পোশাকে নিজেকে মোহনীয় করে তুলুন। নিজেকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ও আকর্ষণীয় করে রাখুন। যাতে আপনার প্রিয়তম সবসময় আপনার সান্নিধ্যে পাওয়ার প্রত্যাশায় থাকে।
❑. পঞ্চম বৈশিষ্ট্য হলো স্বামীর পরিচর্যা:
স্বামীর প্রয়োজনগুলোর কথা মনে রাখুন যথাসময়ে চাওয়ার আগেই হাজির করুন।তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও লেবাস পোশাকের পরিচ্ছন্নতার দিকেও খেয়াল রাখুন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন উপলক্ষে তার পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ান। অসুস্থ হলে মন প্রাণ দিয়ে তার সেবা করুন।
প্রিয় বোন: এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে যদি আপনার চরিত্রের অংশ বানাতে পারেন তবে আল্লাহর রহমতে আপনি সুখময় দাম্পত্য জীবন লাভ করবেন।
দোয়া করি, আল্লাহ সকল মুমিন বোনকে সুখময় দাম্পত্য জীবন দান করুন।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: