বর্তমানের ছেলেমেয়েদের ফ্রেন্ড কালচারটা এমন, একটা ছেলে একটা মেয়ের সাথে হাত ধরাধরি করে হাটছে, একজনের অপরজনের কান মলে দিচ্ছে কিংবা মাথায় চিমটি কেটে দিচ্ছে । কখনও বা, 'দোস্ত তুই যা দুষ্টু রে..’ বলে পিঠে থাবা দিচ্ছে। মোট কথা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে 'জাস্ট ফ্রেন্ড' নামে 'হাতাহাতি' প্রথা চলছে।
আজ ক্লাসমেটের নাম করে ছেলে মেয়েরা একে অপরের গায়ে হাত দিচ্ছে, টাচ করছে, এর নাম প্রগতীশীলতা। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে আপনি হবেন রুচীহীন, হীন মন্য, ক্ষ্যাত, সেকেলে, ঋনাত্মকমনা। আবার অনেক মেয়ে তার ছেলে বন্ধু কে দিয়ে নিজের ফটো তুলাবার সময় কখনও ওড়না এভাবে নেয় তো কখনও ওভাবে নেয়, কখনও বা নেয়ই না।
কখনও বা শুয়ে, কখনও বসে গড়াগড়ি দিয়ে কত রকম পোজ দিচ্ছে ! একটুও বিবেক কাজ করেনা।
আর অন্যদিকে ছেলে ফ্রেন্ডটাও লেন্স হাতে ফোকাসের নামে কি ফোকাস বা জুম করছে আল্লাহ তায়ালা জানেন আর সে নিজে। আমরা আন্দাজ করতে পারি।
অনেকে আমার কথায় রাগ করবে। অনেকে এমনও বলেছে,
"ভাইয়া, হাত ধরা কি খারাপ কাজ? আমরা তো 'জাস্ট ফ্রেন্ড' হিসেবেই হাত ধরি"
এই 'জাস্ট ফ্রেন্ড' কালচার শুরুর উদ্দেশ্যই তো একটা-
হাতাহাতির 'বৈধতা'।
অর্থাৎ একটা মেয়ের গায়ে ইচ্ছা হলেই আপনি হাত দিতে পারবেন না, জাস্ট ফ্রেন্ড হলে সুবিধে টা দেখেন, আপনি কিন্তু আপনার ক্লাসের প্রায় সব মেয়ের গায়ে যখন তখন বিভিন্ন উছিলায় হাত দিতে পারবেন।
বয়ফ্রেন্ড হবার থেকে তাই জাস্ট ফ্রেন্ড হওয়া বেশি লাভের এক দিক দিয়ে। হাতাহাতি সুনির্দিষ্ট একজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল না। সবার সাথেই হলো। একটা পৈশাচিক আনন্দ...
ধরুন ক্লাসের একটি মেয়ের গায়ে আপনি হাত দিতে চাচ্ছেন, মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দরী, নিজের করে পেতে ইচ্ছে করছেন, স্বপ্নে কুবাসনা আঁকছেন কিন্তু তার সাথে আপনি প্রেম করতে পারছেন না।
এখন একটাই উপায় - 'জাস্ট ফ্রেন্ড'
জাস্টফ্রেন্ড হবার উছিলায় তার সাথে হ্যান্ডশেক করলেন। ব্যস, হাত ছোয়াছোয়ি হয়ে গেল।
তার হাতের ঘড়ি দেখার উছিলায় হাত ধরে বলবেন "তোর ঘড়িটা তো অনেক সুন্দর!" এরপরে মেয়েটির হাত ধরেই দশ মিনিট ধরে সেই ঘড়ি নিয়ে গবেষনা করতে পারবেন। কেউ বাঁধা দিবে না, মেয়েটিও না, মেয়েটিও তো মজা পাচ্ছে। সে বাঁধা দিবে কেন?
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তোমাদের মাঝে কি চলছে? সাথে সাথে অকপট জবাব, 'আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড'
আমাদের মধ্যে ওসব নোংরা কোন ফিলিংস কাজ করে না।
তাহলে প্রশ্ন উঠে,
আচ্ছা ভাই/আপু আপনি কি নপুংসক?
ফিলিংস কাজ করে না, মানে কি?
ধর্মীয় ইস্যু নাহয় সাময়িক ভাবে সাইডে রাখলাম। মনোবিজ্ঞান বা মেডিক্যালীয় থিওরী যেভাবেই যুক্তিতে যান, প্রমাণিত হবে,
[০১] আপনিএকজন ডাহা মিথ্যাবাদী না হয়
[০২] একজন খাঁটি নপুংসক ।
যেকোন একটা অপশন আপনাকে বেছে নিতে ই হবে।
উত্তর [১] হলে এইসব লুচ্চামি ছাড়ুন, আপনারও বোন আছে এভাবেই কেউ জাস্ট ফ্রেন্ড উছিলায় হাতাহাতি করবে, বোন না থাকলে ভবিষ্যতে মেয়ে আছে। পাপ কিন্তু ফিরে আসে কোন না কোন ভাবে। আল্লাহকে ভয় করুন৷ বিবেক প্রয়োগ করুন।
আর উত্তর [২] হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হউন। হারবাল চিকিৎসাও নিতে পারেন। প্রায় পোস্টারিং দেখি। আপনাদের জন্যই বেস্ট হবে ফাইল গুলো।
আফসোস এখানে যে, ছেলেরা তো মজা নিতেই চাইবে, মেয়েরাও মজা দিতে পছন্দ করে।
তোমাদের এই ফ্রেন্ডশিপ কালচারের প্রতি কেবলই ঘৃণা। ইয়া রব, ক্ষমা করো এবং রক্ষা করো আমাদেরকে এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকেও এই জাস্ট ফ্রেন্ড নামক জাহেলিয়াতি থেকে।
আজ ক্লাসমেটের নাম করে ছেলে মেয়েরা একে অপরের গায়ে হাত দিচ্ছে, টাচ করছে, এর নাম প্রগতীশীলতা। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে আপনি হবেন রুচীহীন, হীন মন্য, ক্ষ্যাত, সেকেলে, ঋনাত্মকমনা। আবার অনেক মেয়ে তার ছেলে বন্ধু কে দিয়ে নিজের ফটো তুলাবার সময় কখনও ওড়না এভাবে নেয় তো কখনও ওভাবে নেয়, কখনও বা নেয়ই না।
কখনও বা শুয়ে, কখনও বসে গড়াগড়ি দিয়ে কত রকম পোজ দিচ্ছে ! একটুও বিবেক কাজ করেনা।
আর অন্যদিকে ছেলে ফ্রেন্ডটাও লেন্স হাতে ফোকাসের নামে কি ফোকাস বা জুম করছে আল্লাহ তায়ালা জানেন আর সে নিজে। আমরা আন্দাজ করতে পারি।
অনেকে আমার কথায় রাগ করবে। অনেকে এমনও বলেছে,
"ভাইয়া, হাত ধরা কি খারাপ কাজ? আমরা তো 'জাস্ট ফ্রেন্ড' হিসেবেই হাত ধরি"
এই 'জাস্ট ফ্রেন্ড' কালচার শুরুর উদ্দেশ্যই তো একটা-
হাতাহাতির 'বৈধতা'।
অর্থাৎ একটা মেয়ের গায়ে ইচ্ছা হলেই আপনি হাত দিতে পারবেন না, জাস্ট ফ্রেন্ড হলে সুবিধে টা দেখেন, আপনি কিন্তু আপনার ক্লাসের প্রায় সব মেয়ের গায়ে যখন তখন বিভিন্ন উছিলায় হাত দিতে পারবেন।
বয়ফ্রেন্ড হবার থেকে তাই জাস্ট ফ্রেন্ড হওয়া বেশি লাভের এক দিক দিয়ে। হাতাহাতি সুনির্দিষ্ট একজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল না। সবার সাথেই হলো। একটা পৈশাচিক আনন্দ...
ধরুন ক্লাসের একটি মেয়ের গায়ে আপনি হাত দিতে চাচ্ছেন, মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দরী, নিজের করে পেতে ইচ্ছে করছেন, স্বপ্নে কুবাসনা আঁকছেন কিন্তু তার সাথে আপনি প্রেম করতে পারছেন না।
এখন একটাই উপায় - 'জাস্ট ফ্রেন্ড'
জাস্টফ্রেন্ড হবার উছিলায় তার সাথে হ্যান্ডশেক করলেন। ব্যস, হাত ছোয়াছোয়ি হয়ে গেল।
তার হাতের ঘড়ি দেখার উছিলায় হাত ধরে বলবেন "তোর ঘড়িটা তো অনেক সুন্দর!" এরপরে মেয়েটির হাত ধরেই দশ মিনিট ধরে সেই ঘড়ি নিয়ে গবেষনা করতে পারবেন। কেউ বাঁধা দিবে না, মেয়েটিও না, মেয়েটিও তো মজা পাচ্ছে। সে বাঁধা দিবে কেন?
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তোমাদের মাঝে কি চলছে? সাথে সাথে অকপট জবাব, 'আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড'
আমাদের মধ্যে ওসব নোংরা কোন ফিলিংস কাজ করে না।
তাহলে প্রশ্ন উঠে,
আচ্ছা ভাই/আপু আপনি কি নপুংসক?
ফিলিংস কাজ করে না, মানে কি?
ধর্মীয় ইস্যু নাহয় সাময়িক ভাবে সাইডে রাখলাম। মনোবিজ্ঞান বা মেডিক্যালীয় থিওরী যেভাবেই যুক্তিতে যান, প্রমাণিত হবে,
[০১] আপনিএকজন ডাহা মিথ্যাবাদী না হয়
[০২] একজন খাঁটি নপুংসক ।
যেকোন একটা অপশন আপনাকে বেছে নিতে ই হবে।
উত্তর [১] হলে এইসব লুচ্চামি ছাড়ুন, আপনারও বোন আছে এভাবেই কেউ জাস্ট ফ্রেন্ড উছিলায় হাতাহাতি করবে, বোন না থাকলে ভবিষ্যতে মেয়ে আছে। পাপ কিন্তু ফিরে আসে কোন না কোন ভাবে। আল্লাহকে ভয় করুন৷ বিবেক প্রয়োগ করুন।
আর উত্তর [২] হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হউন। হারবাল চিকিৎসাও নিতে পারেন। প্রায় পোস্টারিং দেখি। আপনাদের জন্যই বেস্ট হবে ফাইল গুলো।
আফসোস এখানে যে, ছেলেরা তো মজা নিতেই চাইবে, মেয়েরাও মজা দিতে পছন্দ করে।
তোমাদের এই ফ্রেন্ডশিপ কালচারের প্রতি কেবলই ঘৃণা। ইয়া রব, ক্ষমা করো এবং রক্ষা করো আমাদেরকে এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকেও এই জাস্ট ফ্রেন্ড নামক জাহেলিয়াতি থেকে।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: