আমাদের এই পৃথিবী তার অক্ষের (উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর সংযোগ রেখা) উপর ঘুরছে যাকে বলা হয় আহ্নিক গতি। এই আহ্নিক গতির কারণেই রাত দিন হয়। এই আহ্নিক গতির কারণেই সূর্য, চন্দ্র, তারা সব পূর্ব দিকে উদিত হয় এবং পশ্চিম দিকে অস্ত যায়।
কিন্তু, সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুযায়ী আজ থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ৮৬ হাজার বছর পূর্বে সূর্য, চন্দ্র, তারা সব পশ্চিম দিকে উদিত হতো এবং পূর্ব দিকে অস্ত যেত।
এর কারণ কি? পৃথিবীর আহ্নিক গতির দিক কি পরিবর্তন হয়েছে? না, তা হয়নি।
আহ্নিক গতির দিক পরিবর্তন হতে হলে প্রথমে আহ্নিক গতির বেগ কমতে হবে এবং কমতে কমতে এক সময় শূণ্য হয়ে যাবে অর্থাৎ, তখন পৃথিবী কিছু মূহুর্তের জন্য হলেও পুরোপুরি থেমে যাবে বা আহ্নিক গতি শূণ্য হয়ে যাবে। এর পর যদি আবার উলটো দিকে ঘুরতে শুরু করে তবেই আহ্নিক গতির দিক পরিবর্তন হবে। অনেকের ধারণা এমনই। পৃথিবীর আহ্নিক গতি ক্রমান্বয়ে ধীর হয়ে যাচ্ছে এবং একসময় তা সম্পূর্ণ থেমে যেয়ে বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করবে। কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। বরং, পৃথিবী একইভাবে ঘুরতে থাকে আর অক্ষরেখা ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যায়। তখন দেখে মনে হয় আপেক্ষিকভাবে বা পূর্বের অবস্থার স্বাপেক্ষে পৃথিবী বিপরীত দিকে ঘুরছে।
এই বিষয়টা বুঝার জন্য নিচে দুইটি ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো- যার প্রথমটি গাণিতিক ব্যাখ্যা আর দ্বিতীয়টি বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাখ্যা।
গাণিতিক ব্যাখ্যাঃ
এই বিষয়টা বুঝার জন্য থ্রিডি জ্যামিতির সাহায্য নিতে পারি যেখানে x অক্ষ, y অক্ষ ও z অক্ষ আছে। পৃথিবীর কেন্দ্র মূলবিন্দুতে অবস্থিত আর অক্ষরেখা z অক্ষ বরাবর অবস্থিত অর্থাৎ উত্তর মেরু ধনাত্বক z অক্ষের উপর আর দক্ষিণ মেরু ঋনাত্বক z অক্ষের উপর অবস্থিত এবং আহ্নিক গতির কারণে পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে(যদিও এই কথাটা শোনতে একটু কনফিউসিং)যা এই থ্রিডি মডেলে ধনাত্বক x অক্ষ থেকে ধনাত্বক y অক্ষের দিকে ঘুরছে। যদি উপর থেকে আমরা দেখি (ধনাত্বক z অক্ষকেই সাধারণত উপর দিক ধরা হয়)তাহলে পৃথিবী এই থ্রিডি মডেলে ধনাত্বক x অক্ষ থেকে ধনাত্বক y অক্ষের দিকে অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরছে। এখন পৃথিবীর এই ঘূর্ণনের পাশাপাশি(অর্থাৎ এই ঘূর্ণন বন্ধ না করে) যদি আরও একটি ঘূর্ণন পৃথিবীর উপর কাজ করে যেমন পৃথিবী x অক্ষকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যায়, তাহলে এবার উপর থেকে দেখলে দেখা যাবে যে, পৃথিবী ধনাত্বক y অক্ষ থেকে ধনাত্বক x অক্ষের দিকে অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরছে।
উপরের এই মডেলকে বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে আরও সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
ধরুন, একটি বিয়ারিং এর চাকার মধ্যে একটা এক হাত লম্বা লাঠি আটসাট করে ঢুকিয়ে দিয়ে লাঠিটাকে সামান্য মাটির মধ্যে খাড়া করে পুঁতে দিই। এবার বিয়ারিং এর চাকাকে ঘুরাতে শুরু করি। অনেক জোড়ে জোড়ে ঘুরায় যেন তা অনেক সময় ধরে ঘুরতে থাকে। ধরি, চাকাটি উপর থেকে দেখলে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরছে। এই ঘুরা অবস্থাতেই লাঠিকে মাটি থেকে উঠিয়ে ঘুরিয়ে লাঠির উপরের প্রান্ত এবার মাটিতে পুঁতে দিই আর নিচের যে প্রান্ত মাটিতে প্রোথিত ছিল তা এবার উপরে নিয়ে আসি। চাকা এখনও ঘুরছে এবং এবার উপর থেকে দেখলে দেখা যাবে যে, বিয়ারিং এর চাকা ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরছে। আমরা কিন্তু বিয়ারিং এর চাকাকে হাত দিয়ে থেমে দিয়ে বা বন্ধ করে উলটো দিকে ঘুরিয়ে দিই নাই। চাকা পূর্বেও যেভাবে ঘুরছিল এখনও সেভাবেই ঘুরছে। কিন্তু লাঠিকে ঘুরিয়ে দেয়ার কারণে উপর থেকে দেখলে যে চাকাকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘুরতে দেখা যাচ্ছিল তাকে এখন উপর থেকে দেখলে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরতে দেখা যাবে।
যখন এমন অবস্থা পৃথিবীতে হয় যে তার অক্ষরেখা ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যায় তখন যে সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠছে তা পশ্চিম দিক থেকে উঠা শুরু করবে।
এখন প্রশ্ন হলো কেন পৃথিবীর অক্ষরেখা ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যাবে?
যখন পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র পরিবর্তিত হয় অর্থাৎ ফ্লিপ করে তখন এমন অবস্থা হয়। বিজ্ঞানীদের দাবী যে, আজ থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ৮৬ হাজার বছর পূর্বে বা কেউ কেউ বলেছেন প্রায় ৭ বা ৮ লক্ষ বছর পূর্বে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল। Earth magnetic poles reversed. বিজ্ঞানীদের মতে প্রতি প্রায় ৫ লক্ষ বছর পর পর পৃথিবীর ম্যাগনেটিক পোল তাদের স্থান পরিবর্তন করে। সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্র পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র রিভার্স হয়ে গেলে সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে পৃথিবী সাম্যবস্থায় আসার জন্য পৃথিবীর অক্ষরেখা ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যায় আর সূর্যের উদিত হওয়ার দিক পূর্ব থেকে পশ্চিম অথবা পশ্চিম থেকে পূর্ব হয়ে যায়। শেষ বার প্রায় ৭ বা ৮ লক্ষ বছর পূর্বে এরকম একটা ঘটনায় সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠা শুরু করে এবং আজ পর্যন্ত এই নিয়মেই চলছে। নিয়ম মাফিক ও বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী পরবর্তী ১ হাজার বছরের মধ্যেই এরকম আরও একবার পৃথিবীর ম্যাগনেটিক পোলের রিভার্সের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে এবং সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে।
আর এই কথায় হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে বলেছেন যার মোটামুটি অর্থ এইরকম- ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত না হবে। যখন মানুষ এটা দেখবে তখন তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে। কিন্তু তখনকার বিশ্বাস কোন কাজে আসবে না। (সহীহ বুখারি)
সত্যান্বেষী মানুষেরা ইসলামের এই একটি বিষয়ের উপর চিন্তা ভাবনা করলেই তারা সত্য পেয়ে যাবে। এরকম অনেক নিদর্শন রয়েছে। সত্যকে সত্য জানার পরেও যদি কেউ অবজ্ঞা অবহেলা বা ঘৃণা বা হিংসা বা অহংকার বা বিলাসিতা বা দাম্ভিকতা বা লৌকিকতা বা ভয় করে সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে এর মাসুল একসময় তাকে চরমভাবে দিতে হবে। সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কোন কারণই শুভ হতে পারে না। সেটা একটা অশুভ শক্তি। পৃথিবীর মোহাচ্ছন্নতা তাদের বেখবর করে রেখেছে। এটা কিছু মানুষের অনেক বড় ভয়ানক একটা ব্যাধি যে সে সত্যকে জানার পরেও মিথ্যাকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে থাকবে। তারপরেও সত্য গ্রহণ করবে না। উলটো বরং বিভিন্ন বাহানা, বিভিন্ন যুক্তি দেখাতে শুরু করবে। তারা যে নিজেই নিজেদের কত বড় ভয়ংকর বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই ব্যাপারে তাদের কোন ধারণা নেই। যারা এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে তারা মানবতার কল্যাণে সারাজীবন ব্যয় করে দিয়েছে শুধুমাত্র এই সব মানুষদের আসন্ন ভয়ংকর এই মহাবিপদ থেকে রক্ষার জন্য।
লিখেছেনঃ মিজানুর রহমান মাসুম
কিন্তু, সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুযায়ী আজ থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ৮৬ হাজার বছর পূর্বে সূর্য, চন্দ্র, তারা সব পশ্চিম দিকে উদিত হতো এবং পূর্ব দিকে অস্ত যেত।
এর কারণ কি? পৃথিবীর আহ্নিক গতির দিক কি পরিবর্তন হয়েছে? না, তা হয়নি।
আহ্নিক গতির দিক পরিবর্তন হতে হলে প্রথমে আহ্নিক গতির বেগ কমতে হবে এবং কমতে কমতে এক সময় শূণ্য হয়ে যাবে অর্থাৎ, তখন পৃথিবী কিছু মূহুর্তের জন্য হলেও পুরোপুরি থেমে যাবে বা আহ্নিক গতি শূণ্য হয়ে যাবে। এর পর যদি আবার উলটো দিকে ঘুরতে শুরু করে তবেই আহ্নিক গতির দিক পরিবর্তন হবে। অনেকের ধারণা এমনই। পৃথিবীর আহ্নিক গতি ক্রমান্বয়ে ধীর হয়ে যাচ্ছে এবং একসময় তা সম্পূর্ণ থেমে যেয়ে বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করবে। কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। বরং, পৃথিবী একইভাবে ঘুরতে থাকে আর অক্ষরেখা ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যায়। তখন দেখে মনে হয় আপেক্ষিকভাবে বা পূর্বের অবস্থার স্বাপেক্ষে পৃথিবী বিপরীত দিকে ঘুরছে।
এই বিষয়টা বুঝার জন্য নিচে দুইটি ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো- যার প্রথমটি গাণিতিক ব্যাখ্যা আর দ্বিতীয়টি বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাখ্যা।
গাণিতিক ব্যাখ্যাঃ
এই বিষয়টা বুঝার জন্য থ্রিডি জ্যামিতির সাহায্য নিতে পারি যেখানে x অক্ষ, y অক্ষ ও z অক্ষ আছে। পৃথিবীর কেন্দ্র মূলবিন্দুতে অবস্থিত আর অক্ষরেখা z অক্ষ বরাবর অবস্থিত অর্থাৎ উত্তর মেরু ধনাত্বক z অক্ষের উপর আর দক্ষিণ মেরু ঋনাত্বক z অক্ষের উপর অবস্থিত এবং আহ্নিক গতির কারণে পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে(যদিও এই কথাটা শোনতে একটু কনফিউসিং)যা এই থ্রিডি মডেলে ধনাত্বক x অক্ষ থেকে ধনাত্বক y অক্ষের দিকে ঘুরছে। যদি উপর থেকে আমরা দেখি (ধনাত্বক z অক্ষকেই সাধারণত উপর দিক ধরা হয়)তাহলে পৃথিবী এই থ্রিডি মডেলে ধনাত্বক x অক্ষ থেকে ধনাত্বক y অক্ষের দিকে অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরছে। এখন পৃথিবীর এই ঘূর্ণনের পাশাপাশি(অর্থাৎ এই ঘূর্ণন বন্ধ না করে) যদি আরও একটি ঘূর্ণন পৃথিবীর উপর কাজ করে যেমন পৃথিবী x অক্ষকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যায়, তাহলে এবার উপর থেকে দেখলে দেখা যাবে যে, পৃথিবী ধনাত্বক y অক্ষ থেকে ধনাত্বক x অক্ষের দিকে অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরছে।
উপরের এই মডেলকে বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে আরও সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
ধরুন, একটি বিয়ারিং এর চাকার মধ্যে একটা এক হাত লম্বা লাঠি আটসাট করে ঢুকিয়ে দিয়ে লাঠিটাকে সামান্য মাটির মধ্যে খাড়া করে পুঁতে দিই। এবার বিয়ারিং এর চাকাকে ঘুরাতে শুরু করি। অনেক জোড়ে জোড়ে ঘুরায় যেন তা অনেক সময় ধরে ঘুরতে থাকে। ধরি, চাকাটি উপর থেকে দেখলে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরছে। এই ঘুরা অবস্থাতেই লাঠিকে মাটি থেকে উঠিয়ে ঘুরিয়ে লাঠির উপরের প্রান্ত এবার মাটিতে পুঁতে দিই আর নিচের যে প্রান্ত মাটিতে প্রোথিত ছিল তা এবার উপরে নিয়ে আসি। চাকা এখনও ঘুরছে এবং এবার উপর থেকে দেখলে দেখা যাবে যে, বিয়ারিং এর চাকা ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরছে। আমরা কিন্তু বিয়ারিং এর চাকাকে হাত দিয়ে থেমে দিয়ে বা বন্ধ করে উলটো দিকে ঘুরিয়ে দিই নাই। চাকা পূর্বেও যেভাবে ঘুরছিল এখনও সেভাবেই ঘুরছে। কিন্তু লাঠিকে ঘুরিয়ে দেয়ার কারণে উপর থেকে দেখলে যে চাকাকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘুরতে দেখা যাচ্ছিল তাকে এখন উপর থেকে দেখলে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরতে দেখা যাবে।
যখন এমন অবস্থা পৃথিবীতে হয় যে তার অক্ষরেখা ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যায় তখন যে সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠছে তা পশ্চিম দিক থেকে উঠা শুরু করবে।
এখন প্রশ্ন হলো কেন পৃথিবীর অক্ষরেখা ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যাবে?
যখন পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র পরিবর্তিত হয় অর্থাৎ ফ্লিপ করে তখন এমন অবস্থা হয়। বিজ্ঞানীদের দাবী যে, আজ থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ৮৬ হাজার বছর পূর্বে বা কেউ কেউ বলেছেন প্রায় ৭ বা ৮ লক্ষ বছর পূর্বে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল। Earth magnetic poles reversed. বিজ্ঞানীদের মতে প্রতি প্রায় ৫ লক্ষ বছর পর পর পৃথিবীর ম্যাগনেটিক পোল তাদের স্থান পরিবর্তন করে। সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্র পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র রিভার্স হয়ে গেলে সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে পৃথিবী সাম্যবস্থায় আসার জন্য পৃথিবীর অক্ষরেখা ১৮০ ডিগ্রী কোণে ঘুরে যায় আর সূর্যের উদিত হওয়ার দিক পূর্ব থেকে পশ্চিম অথবা পশ্চিম থেকে পূর্ব হয়ে যায়। শেষ বার প্রায় ৭ বা ৮ লক্ষ বছর পূর্বে এরকম একটা ঘটনায় সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠা শুরু করে এবং আজ পর্যন্ত এই নিয়মেই চলছে। নিয়ম মাফিক ও বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী পরবর্তী ১ হাজার বছরের মধ্যেই এরকম আরও একবার পৃথিবীর ম্যাগনেটিক পোলের রিভার্সের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে এবং সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে।
আর এই কথায় হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে বলেছেন যার মোটামুটি অর্থ এইরকম- ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত না হবে। যখন মানুষ এটা দেখবে তখন তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে। কিন্তু তখনকার বিশ্বাস কোন কাজে আসবে না। (সহীহ বুখারি)
সত্যান্বেষী মানুষেরা ইসলামের এই একটি বিষয়ের উপর চিন্তা ভাবনা করলেই তারা সত্য পেয়ে যাবে। এরকম অনেক নিদর্শন রয়েছে। সত্যকে সত্য জানার পরেও যদি কেউ অবজ্ঞা অবহেলা বা ঘৃণা বা হিংসা বা অহংকার বা বিলাসিতা বা দাম্ভিকতা বা লৌকিকতা বা ভয় করে সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে এর মাসুল একসময় তাকে চরমভাবে দিতে হবে। সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কোন কারণই শুভ হতে পারে না। সেটা একটা অশুভ শক্তি। পৃথিবীর মোহাচ্ছন্নতা তাদের বেখবর করে রেখেছে। এটা কিছু মানুষের অনেক বড় ভয়ানক একটা ব্যাধি যে সে সত্যকে জানার পরেও মিথ্যাকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে থাকবে। তারপরেও সত্য গ্রহণ করবে না। উলটো বরং বিভিন্ন বাহানা, বিভিন্ন যুক্তি দেখাতে শুরু করবে। তারা যে নিজেই নিজেদের কত বড় ভয়ংকর বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই ব্যাপারে তাদের কোন ধারণা নেই। যারা এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে তারা মানবতার কল্যাণে সারাজীবন ব্যয় করে দিয়েছে শুধুমাত্র এই সব মানুষদের আসন্ন ভয়ংকর এই মহাবিপদ থেকে রক্ষার জন্য।
লিখেছেনঃ মিজানুর রহমান মাসুম
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: