বইঃ ইমামিয়া বিশ্বাসের সনদ, লেখকঃআয়াতুল্লাহ জাফর সুবহানী
(তারাবীর নামাজ) রাসুলের(সাঃ) অনুসরনে আদায় করা মুস্তাহাবে মুয়াক্কাদাহ বলে পরিগনিত।কুরান ও নবী পরিবারের(আঃ) অনুসারী ১২ ইমামিয়া শিয়াদের ফেকাহ মোতাবেক রমযান মাসের রাতগুলোতে মোট ১০০০ রাকাত নামাজ পড়া মুস্তাহাব,কিন্তু এ নামাজগুলো জামায়াতে আদায় করা বেদাআত। অবশ্যই এ নামাজগুলো একাকী (ফোরাদা) মসজিদে এবং অধিকাংশ সময় ঘরে আদায় করতে হবে।
যায়েদ ইবনে সাবেত রাসুল(সাঃ) থেকে বর্ননা করেছেন, কোন ব্যক্তির জন্যে ঘরে নামাজ আদায় করা মসজিদে নামাজ আদায় করার চেয়ে উত্তম, যদি না তা ওয়াজিব/ফরজ নামাজ হয়। কেননা ওয়াজিব/ফরজ নামাজগুলো মসজিদে আদায় করা মুস্তাহাব।(তুসী,খেলাফ কিতাবুস সালাত,মাসয়ালা-২৬৮)
রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ৫ম ইমাম বাকের(আঃ) বলেন,মুস্তাহাব নামাজগুলো জামায়াতে পড়া যাবে না এবং দ্বীনের ক্ষেত্রে যে কোন প্রকার বেদায়াতই পথভ্রষ্টতা যার পরিনতি হল আগুন।(সাদুক খেসাল ২/১৫২)।
রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ৮ম ইমাম রেজা(আঃ) ও স্বীয় রেসালা যা ‘একজন মুসলমানের আকাইদ ও আমল’ শিরোনামে লেখা হয়েছে,তাতে উল্লেখ করেছেন যে, মুস্তাহাব নামাজগুলোকে জামায়াতে আদায় করা যাবে না এবং এমনটি করা হল বেদায়াত।(সাদুক,উয়ুনে আখবারে রেজা(আঃ),খঃ২,পাতা-১২৪)।
জামায়াতবদ্ব হয়ে তারাবীর নামাজ আদায় করার ব্যাপারটি (যা আহলে সুন্নাতের মধ্যে প্রচলিত) পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ব্যক্তিগত মতের ( ইজতিহাদ বে রায়) মাধ্যমে বৈধতা দান করা হয়েছে। সত্য পিপাসুরা পাদটিকায় উল্লেখিত দলীল গুলো দেখতে পারেন।(কাসতালানী এরশাদুস সারী ৩/২২৬,আইন উমাদাতুল কারী ১১০/১২৬,শাতেবী,আল এ’তেশাম ২/২৯১)।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: