সুরা বাকারা,আয়াত# ২৫৯,( পিতার বয়স ৫০,ছেলের বয়স ১০০)
“অথবা এমন ব্যক্তির(প্রতি লক্ষ্য করনি) যে এক জনপদ(১) দিয়ে অতিক্রম করেছিল যা এমনই বিধ্বস্ত হয়েছিল যে,এর ছাদ সমুহের উপর ভেঙ্গে পড়েছিল,(তা দেখে) সে বলল, ‘আল্লাহ এর(এদের) ইন্তেকালের পর একে(এদেরকে) কিরুপে জীবিত করবেন’? অতপর আল্লাহ তাকে(ইন্তেকাল দান করলেন এবং ) শত বছর পর্যন্ত মৃত রাখলেন;পরে তাকে পুরুথথান করে বললেন, ‘তুমি কতকাল অবস্থান করেছ’? সে বলল, ‘একদিন বা একদিনের কিয়দংশ’।তিনি বললেন,’বরং তুমি শত বছর অবস্থান করেছ’......”
তাফসীরঃ (১)
তাফসীরকারকদের মধ্যে এ বিষয়ে মতভেদ আছে যে, সে জনপদটি কোনটি এবং সেই ব্যক্তি কে ছিলেন। অনেকের মতে তিনি হযরত উযায়ের(আঃ) ছিলেন এবং জনপদটি বায়তুল মোকাদ্দাসের নিকটবর্তী বা সঙ্গলগ্ন ছিল। এক ভুমিকম্প তাদের ঘরগুলোকে ধ্বংশ করে দিল, আর তাদের লাশ গুলো পশুরা খেয়ে ফেললো। হযরত উযায়ের(আঃ) ঘটনাক্রমে ঐ স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং এ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে বলে উঠলেন,
‘আল্লাহ এদেরকে ইন্তেকালের পর কিভাবে জীবিত করবেন?’ তখন আল্লাহ তাঁর রুহ কবজ করেলেন এবং শত বছরব্যাপী তাকে মৃত রাখলেন এবং তাঁর দুশসহ অন্যান্য খাদ্য যা তাঁর সঙ্গে ছিল তা মোটেই নষ্ট হল না;তার দেহকে কীট-পতঙ্গের আক্রমন থেকে রক্ষা করলেন লোকজনের চোহের আড়ালে রাখলেন। যখন তিনি আবার জীবিত হলেন এবং তাঁর গাধাও জীবিত হল তখন বায়তুল মোকাদ্দাসে নতুন লোকবসতি গড়ে উঠেছে!
যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসলেন তখন তাঁর পৌত্রদের বৃদ্ব অবস্থায় পেলেন, কিন্তু তিনি (হযরত উযায়ের আঃ) যুবক ছিলেন। কেউ তাঁর এ ব্যাপার বিশ্বাস করছিলেন না। এমতাবস্থায় তিনি তাঁর রেখে যাওয়া ২০ বছরের দাসী-যার বর্তমান বয়স ১২০ এবং সে অন্দ্ব হয়ে গিয়েছিল,তাকে দোয়া করে দৃষ্টি দান করলেন এবং নিজ ছেলে যাকে মায়ের পেটে থাকাবস্থায় ছেড়ে গিয়েছিলেন তাকে নিজের শনাক্তকারী চিনহ কাধের তিল যা খুবই দর্শনীয় ছিল তা দেখালেন। তখন মানুষের বিশ্বাস হল যে, তিনিই উযায়ের। আল্লাহর কত মহিমা যে,তার বয়স ৫০ বছর, আর তাঁর ছেলের বয়স ১০০ বছর।এজন্যই আল্লাহ বললেন, ‘আমি তোমাকে নিদর্শন করলাম(আমার ক্ষমতার নমুনা বানালাম)’।
কোন কোন মুফাসসীর বলেছেন,হযরত উযায়ের এর প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে,’এমন ধ্বংশ প্রাপ্ত বস্তিও কিভাবে আবার বসবাসযোগ্য হতে পারে?’ কিন্তু এ মত সঠিক নয়। কারন আল্লাহ একদিকে স্বয়ং তাকে ১০০ বছর মৃত অবস্থায় রাখার পর জীবিত করেছেন, আবার তাকে তাঁর মৃত গাধা জীবিত করার প্রক্রিয়াও প্রত্যক্ষ করিয়েছেন যা পুনরুথানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাকে অবহিত করার উদ্দেশ্যেকেই প্রমান করে। তদুপরি ধ্বংশ প্রাপ্ত বসতি বসবাসযোগ্য হওয়া ও তাতে নতুন বসতি স্থাপিত হওয়া আশ্চর্য কোন বিষয় নয়। আয়াতটি মহান আল্লাহ পাক যে কত উচ্চতর কোন উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে মৃত মানুষদের পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন,তারও সাক্ষ্য বহন করে।
“অথবা এমন ব্যক্তির(প্রতি লক্ষ্য করনি) যে এক জনপদ(১) দিয়ে অতিক্রম করেছিল যা এমনই বিধ্বস্ত হয়েছিল যে,এর ছাদ সমুহের উপর ভেঙ্গে পড়েছিল,(তা দেখে) সে বলল, ‘আল্লাহ এর(এদের) ইন্তেকালের পর একে(এদেরকে) কিরুপে জীবিত করবেন’? অতপর আল্লাহ তাকে(ইন্তেকাল দান করলেন এবং ) শত বছর পর্যন্ত মৃত রাখলেন;পরে তাকে পুরুথথান করে বললেন, ‘তুমি কতকাল অবস্থান করেছ’? সে বলল, ‘একদিন বা একদিনের কিয়দংশ’।তিনি বললেন,’বরং তুমি শত বছর অবস্থান করেছ’......”
তাফসীরঃ (১)
তাফসীরকারকদের মধ্যে এ বিষয়ে মতভেদ আছে যে, সে জনপদটি কোনটি এবং সেই ব্যক্তি কে ছিলেন। অনেকের মতে তিনি হযরত উযায়ের(আঃ) ছিলেন এবং জনপদটি বায়তুল মোকাদ্দাসের নিকটবর্তী বা সঙ্গলগ্ন ছিল। এক ভুমিকম্প তাদের ঘরগুলোকে ধ্বংশ করে দিল, আর তাদের লাশ গুলো পশুরা খেয়ে ফেললো। হযরত উযায়ের(আঃ) ঘটনাক্রমে ঐ স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং এ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে বলে উঠলেন,
‘আল্লাহ এদেরকে ইন্তেকালের পর কিভাবে জীবিত করবেন?’ তখন আল্লাহ তাঁর রুহ কবজ করেলেন এবং শত বছরব্যাপী তাকে মৃত রাখলেন এবং তাঁর দুশসহ অন্যান্য খাদ্য যা তাঁর সঙ্গে ছিল তা মোটেই নষ্ট হল না;তার দেহকে কীট-পতঙ্গের আক্রমন থেকে রক্ষা করলেন লোকজনের চোহের আড়ালে রাখলেন। যখন তিনি আবার জীবিত হলেন এবং তাঁর গাধাও জীবিত হল তখন বায়তুল মোকাদ্দাসে নতুন লোকবসতি গড়ে উঠেছে!
যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসলেন তখন তাঁর পৌত্রদের বৃদ্ব অবস্থায় পেলেন, কিন্তু তিনি (হযরত উযায়ের আঃ) যুবক ছিলেন। কেউ তাঁর এ ব্যাপার বিশ্বাস করছিলেন না। এমতাবস্থায় তিনি তাঁর রেখে যাওয়া ২০ বছরের দাসী-যার বর্তমান বয়স ১২০ এবং সে অন্দ্ব হয়ে গিয়েছিল,তাকে দোয়া করে দৃষ্টি দান করলেন এবং নিজ ছেলে যাকে মায়ের পেটে থাকাবস্থায় ছেড়ে গিয়েছিলেন তাকে নিজের শনাক্তকারী চিনহ কাধের তিল যা খুবই দর্শনীয় ছিল তা দেখালেন। তখন মানুষের বিশ্বাস হল যে, তিনিই উযায়ের। আল্লাহর কত মহিমা যে,তার বয়স ৫০ বছর, আর তাঁর ছেলের বয়স ১০০ বছর।এজন্যই আল্লাহ বললেন, ‘আমি তোমাকে নিদর্শন করলাম(আমার ক্ষমতার নমুনা বানালাম)’।
কোন কোন মুফাসসীর বলেছেন,হযরত উযায়ের এর প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে,’এমন ধ্বংশ প্রাপ্ত বস্তিও কিভাবে আবার বসবাসযোগ্য হতে পারে?’ কিন্তু এ মত সঠিক নয়। কারন আল্লাহ একদিকে স্বয়ং তাকে ১০০ বছর মৃত অবস্থায় রাখার পর জীবিত করেছেন, আবার তাকে তাঁর মৃত গাধা জীবিত করার প্রক্রিয়াও প্রত্যক্ষ করিয়েছেন যা পুনরুথানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাকে অবহিত করার উদ্দেশ্যেকেই প্রমান করে। তদুপরি ধ্বংশ প্রাপ্ত বসতি বসবাসযোগ্য হওয়া ও তাতে নতুন বসতি স্থাপিত হওয়া আশ্চর্য কোন বিষয় নয়। আয়াতটি মহান আল্লাহ পাক যে কত উচ্চতর কোন উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে মৃত মানুষদের পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন,তারও সাক্ষ্য বহন করে।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: