সুন্নি মাযহাবের অন্যতম হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা , ইমাম আবু হানিফা নন- সংক্ষেপে জেনে নেই , কে এই আবু হানিফা ?
ওনার প্রকৃত নাম - নোমান ইবনে সাবিত ,
পিতা - সাবিত ইবনে যুতী্
কুন্নিয়ত - আবু হানিফা ,
জন্ম - ৮০ , হিজরি
মৃত্যু - ১৫০ , হিজরি
জন্মস্থান - কুফা , ইরাক ।
মহানবী (সাঃ) এর যমানায় উনি জন্মগ্রহন করেন নি ।
সে সূত্রে ওনার নামে প্রচলিত হানাফী মাযহাব নবীজী (সাঃ) কতৃক সম্পূর্ন অনুমোদনহীন একটি মাযহাব ।
নবীজী (সাঃ) এর ওফাত বা ইন্তেকালের ৬৯ বছর পরে নোমান ওরফে আবু হানিফার জন্ম হয়েছে ।
যাহোক মূল প্রসংগে আসি -
আব্বাসীয়া খেলাফতের যুগটা ছিল নানা দিক দিয়েই গুরুত্বপুর্ণ ও বিতর্কিত । এই আমলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষ কতৃক সৃষ্ট বিভিন্ন মতবাদ প্রচার ও প্রসার লাভ করে । সুফি ও শরিয়তের ইমামগণ আত্নপ্রকাশ করতে থাকেন । জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন
অনুবাদ হয় । আরবীতে গ্রিক দর্শন ইসলামি চিন্তার উপর গভীর ও সুদুর প্রসারী
প্রভাব বিস্তার করে । এই সময়ের মধ্যেই ইসলামি সমাজ ,রাষ্ট ও চিন্তা রুপ
পরিগ্রহ করে , তাকে অনুসরন করেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুসলমান যুগের
প্রবাহে ভেসে চলে ।
২য় আব্বাসীয় খলিফার সময় ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ইসলামের অবিকৃ্ত রুপ ও তার সমাজ-ব্যবস্থার পরিবর্তনের উপর মত প্রকাশ করেন । তৎকালীন সময় আবু হানিফার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব দেখে মনসুর তাকে নিজের কুক্ষিগত করার প্রয়াসে বাগদাদের প্রধান বিচারপতির পদ প্রদান করেন । আবু হানিফা এই প্রস্তাব অস্বীকার করায় মনসুর তাকে কারারুদ্ব করেন । এবং বন্দী অবস্থায় কারাগারেই আবু হানিফার মৃত্যু হয় ।
এখানে উল্লেখ্য যে , সুন্নি মতবাদের আর একজন প্রচারক ইমাম মালিক (রঃ) কেও বেত্রাঘাতে মারাত্মক ভাবে জর্জরিত করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় । এভাবে কোরআন ও রাসুল (সাঃ) এর অনুসারী দুজন শরিয়তের ইমামের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয় ।
এই দুইজন মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কতৃক নির্বাচিত ও অনুমোদিত ষষ্ঠ ইমাম ইমাম জাফর সাদিক এর ছাত্র ছিলেন । তৎকালীন অাব্বাসীয় খলীফার প্রচন্ড রোষানলের মধ্যে থেকেও মদীনায় খাঁটি ইসলামি চিন্তার দার্শনিক ও মর্মগত দিক ব্যাখ্যা করে চলেছেন ইমাম জাফর সাদিক । হজরত আলী এর প্রপৌত্রের এমন ধর্ম ব্যাখ্যা মনসুরকে খুবই বিচলিত করল ।
মনসুর জাফর সাদেক (আঃ) কে রাজসভায় আহবান করে তাঁকে হত্যা করার সংকল্প করলেন । কিন্ত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) এর সঙ্গে কথা বলে খলিফা মনসুর যখন বুঝতে পারলেন যে , সাধকের প্রচেষ্টা প্রধানত সামাজিক নয় , ব্যাক্তিক আত্নিক উতকরষেরই তিনি প্রচারক । তখন ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) কে তাঁর অবস্থার উপর ছেড়ে দেয়াই তার কাছে যুক্তিযুক্ত বলে বিবেচিত হয় । তবে মনসুর একথাও বুঝতে পারলেন যে , তার রাজবংশের স্থায়িত্বের জন্য প্রয়োজন এক সুদৃঢ় মতবাদের । অর্থাৎ আল্লাহ কতৃক নির্বাচিত " বার ইমামীয়া " মতবাদের সমান্তরাল আরেকটি মতবাদের জন্ম দিতে হবে । যাতে করে রাষ্ট্রীয় পেশী শক্তি ও অর্থ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আল্লাহ কতৃক মনোনীত বার ইমামীয়া মতবাদকে সব সময়ের জন্য পরাভূত করা যায় । সেই পুরানো নোংরা রাজনৈতিক কৌশল , যেটার সূত্রপাত হয়েছিল বনু সকীফা থেকে বিশেষ করে মহানবী (সাঃ) এর ওফাতের সাথে সাথেই ।
অাল্লাহ কতৃক মনোনীত বার ইমামীয়া পদ্বতিকে পরাভূত করার জন্য ক্ষমতাসীনদের স্বার্থের অনুকুলে সৃষ্ট মতবাদ কোরআন ও সুন্নাহকে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করবে যা তার স্বার্থের প্রতিকুল নয় । তেমন মতবাদ তিনি তার আইনজ্ঞদের দ্বারা করিয়ে নিলেন ও সেই মতবাদের নাম দিলেন সুন্নী মতবাদ বা হানাফী মাযহাব ।
উদ্দেশ্য শুধু একটাই , বার ইমামীয়া মতবাদকে দমিয়ে রাখা ।
সুচতুর খলীফা তখনকার জনপ্রিয় আবু হানিফার নামে মাযহাবের নামকরন করলেন - আবু হানাফীয়া মাযহাব । এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে এই মাযহাবকে স্বীকৃতও দেয়া হল । এ সবই করা হল , আবু হানিফার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র জনগনকে বিভ্রান্ত করার জন্য । জনগন জানতেই পারলেন না যে , হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আবু হানিফা নন । অনেকটা সাপও মরল , কিন্ত লাঠিও ভাংগলো না ! এতে করে ক্ষমতাসীনদের না হয় কুৎসিত রাজনীতির ইহকালীন বিজয় হল ।
কিন্ত আমি ও আমার পূর্বপুরুষগন কেয়ামতের মাঠে আল্লাহর প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারিব কি ?
আমরা কি একবারও আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কতৃক ঘোষিত , মনোনীত ও নির্বাচিত মতবাদ তথা " বার ইমামীয়া " পদ্বতি সম্বন্ধে অবহিত হতে চেষ্টা করেছি ?
পবিত্র কোরআন ও একটি হাদিস পেশ করেই আপাতত বিদায় -
"-- থামাও তাদের , কারন তাদের অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে --- " ।
সুরা - সাফফাত / ২৪ ।
হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বর্ননা করেন যে , তাহাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হইবে - অর্থাৎ হযরত আলী বিন আবু তালিব (আঃ) এর বেলায়েত তথা বার ইমামীয়া ইমামতের ব্যাপারে ।
ইহা আবু সাঈদ খুদরী , মুনযীল আনদী , সাঈদ বিন যোবাইরও বর্ননা করেছেন ।
সূত্র - তাফসীরে কুমি , ২য় খন্ড , পৃ-২২২ /
তাফসীরে ফুরাত , পৃ- ১৩১ /
ফুসুলুল মোহিম্মা , পৃ-১৩ /
নুরুল আবসার , পৃ-১৩ /
তাফসীরে আলুসী , ২৩ তম খন্ড , পৃ-৭৪ /
মুরাজেয়াত , পৃ-৫৮ /
শাওয়াহেদুত তানযিল , ২য় খন্ড , পৃ- ১০৬ /
কেফাইয়াতুত তালিব , পৃ- ২৪৭ /
গায়াতুল মোরাম , পৃ- ২৫৯ ।
বিবেক আপনার সিদ্বান্ত আপনার - শুধু, সাধু সাবধান ।
সদা মঙ্গলময় থাকুন এই কামনায় ...
আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজহুম ।
আল্লাহুম্মাল আন কাতালাহ আমিরিল মুমিনিন (আঃ) ।
লেখাটি সংগৃহীত ।
ওনার প্রকৃত নাম - নোমান ইবনে সাবিত ,
পিতা - সাবিত ইবনে যুতী্
কুন্নিয়ত - আবু হানিফা ,
জন্ম - ৮০ , হিজরি
মৃত্যু - ১৫০ , হিজরি
জন্মস্থান - কুফা , ইরাক ।
মহানবী (সাঃ) এর যমানায় উনি জন্মগ্রহন করেন নি ।
সে সূত্রে ওনার নামে প্রচলিত হানাফী মাযহাব নবীজী (সাঃ) কতৃক সম্পূর্ন অনুমোদনহীন একটি মাযহাব ।
নবীজী (সাঃ) এর ওফাত বা ইন্তেকালের ৬৯ বছর পরে নোমান ওরফে আবু হানিফার জন্ম হয়েছে ।
যাহোক মূল প্রসংগে আসি -
আব্বাসীয়া খেলাফতের যুগটা ছিল নানা দিক দিয়েই গুরুত্বপুর্ণ ও বিতর্কিত । এই আমলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষ কতৃক সৃষ্ট বিভিন্ন মতবাদ প্রচার ও প্রসার লাভ করে । সুফি ও শরিয়তের ইমামগণ আত্নপ্রকাশ করতে থাকেন । জ্ঞান-বিজ্ঞানের
২য় আব্বাসীয় খলিফার সময় ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ইসলামের অবিকৃ্ত রুপ ও তার সমাজ-ব্যবস্থার পরিবর্তনের উপর মত প্রকাশ করেন । তৎকালীন সময় আবু হানিফার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব দেখে মনসুর তাকে নিজের কুক্ষিগত করার প্রয়াসে বাগদাদের প্রধান বিচারপতির পদ প্রদান করেন । আবু হানিফা এই প্রস্তাব অস্বীকার করায় মনসুর তাকে কারারুদ্ব করেন । এবং বন্দী অবস্থায় কারাগারেই আবু হানিফার মৃত্যু হয় ।
এখানে উল্লেখ্য যে , সুন্নি মতবাদের আর একজন প্রচারক ইমাম মালিক (রঃ) কেও বেত্রাঘাতে মারাত্মক ভাবে জর্জরিত করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় । এভাবে কোরআন ও রাসুল (সাঃ) এর অনুসারী দুজন শরিয়তের ইমামের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয় ।
এই দুইজন মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কতৃক নির্বাচিত ও অনুমোদিত ষষ্ঠ ইমাম ইমাম জাফর সাদিক এর ছাত্র ছিলেন । তৎকালীন অাব্বাসীয় খলীফার প্রচন্ড রোষানলের মধ্যে থেকেও মদীনায় খাঁটি ইসলামি চিন্তার দার্শনিক ও মর্মগত দিক ব্যাখ্যা করে চলেছেন ইমাম জাফর সাদিক । হজরত আলী এর প্রপৌত্রের এমন ধর্ম ব্যাখ্যা মনসুরকে খুবই বিচলিত করল ।
মনসুর জাফর সাদেক (আঃ) কে রাজসভায় আহবান করে তাঁকে হত্যা করার সংকল্প করলেন । কিন্ত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) এর সঙ্গে কথা বলে খলিফা মনসুর যখন বুঝতে পারলেন যে , সাধকের প্রচেষ্টা প্রধানত সামাজিক নয় , ব্যাক্তিক আত্নিক উতকরষেরই তিনি প্রচারক । তখন ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) কে তাঁর অবস্থার উপর ছেড়ে দেয়াই তার কাছে যুক্তিযুক্ত বলে বিবেচিত হয় । তবে মনসুর একথাও বুঝতে পারলেন যে , তার রাজবংশের স্থায়িত্বের জন্য প্রয়োজন এক সুদৃঢ় মতবাদের । অর্থাৎ আল্লাহ কতৃক নির্বাচিত " বার ইমামীয়া " মতবাদের সমান্তরাল আরেকটি মতবাদের জন্ম দিতে হবে । যাতে করে রাষ্ট্রীয় পেশী শক্তি ও অর্থ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আল্লাহ কতৃক মনোনীত বার ইমামীয়া মতবাদকে সব সময়ের জন্য পরাভূত করা যায় । সেই পুরানো নোংরা রাজনৈতিক কৌশল , যেটার সূত্রপাত হয়েছিল বনু সকীফা থেকে বিশেষ করে মহানবী (সাঃ) এর ওফাতের সাথে সাথেই ।
অাল্লাহ কতৃক মনোনীত বার ইমামীয়া পদ্বতিকে পরাভূত করার জন্য ক্ষমতাসীনদের স্বার্থের অনুকুলে সৃষ্ট মতবাদ কোরআন ও সুন্নাহকে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করবে যা তার স্বার্থের প্রতিকুল নয় । তেমন মতবাদ তিনি তার আইনজ্ঞদের দ্বারা করিয়ে নিলেন ও সেই মতবাদের নাম দিলেন সুন্নী মতবাদ বা হানাফী মাযহাব ।
উদ্দেশ্য শুধু একটাই , বার ইমামীয়া মতবাদকে দমিয়ে রাখা ।
সুচতুর খলীফা তখনকার জনপ্রিয় আবু হানিফার নামে মাযহাবের নামকরন করলেন - আবু হানাফীয়া মাযহাব । এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে এই মাযহাবকে স্বীকৃতও দেয়া হল । এ সবই করা হল , আবু হানিফার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র জনগনকে বিভ্রান্ত করার জন্য । জনগন জানতেই পারলেন না যে , হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আবু হানিফা নন । অনেকটা সাপও মরল , কিন্ত লাঠিও ভাংগলো না ! এতে করে ক্ষমতাসীনদের না হয় কুৎসিত রাজনীতির ইহকালীন বিজয় হল ।
কিন্ত আমি ও আমার পূর্বপুরুষগন কেয়ামতের মাঠে আল্লাহর প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারিব কি ?
আমরা কি একবারও আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কতৃক ঘোষিত , মনোনীত ও নির্বাচিত মতবাদ তথা " বার ইমামীয়া " পদ্বতি সম্বন্ধে অবহিত হতে চেষ্টা করেছি ?
পবিত্র কোরআন ও একটি হাদিস পেশ করেই আপাতত বিদায় -
"-- থামাও তাদের , কারন তাদের অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে --- " ।
সুরা - সাফফাত / ২৪ ।
হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বর্ননা করেন যে , তাহাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হইবে - অর্থাৎ হযরত আলী বিন আবু তালিব (আঃ) এর বেলায়েত তথা বার ইমামীয়া ইমামতের ব্যাপারে ।
ইহা আবু সাঈদ খুদরী , মুনযীল আনদী , সাঈদ বিন যোবাইরও বর্ননা করেছেন ।
সূত্র - তাফসীরে কুমি , ২য় খন্ড , পৃ-২২২ /
তাফসীরে ফুরাত , পৃ- ১৩১ /
ফুসুলুল মোহিম্মা , পৃ-১৩ /
নুরুল আবসার , পৃ-১৩ /
তাফসীরে আলুসী , ২৩ তম খন্ড , পৃ-৭৪ /
মুরাজেয়াত , পৃ-৫৮ /
শাওয়াহেদুত তানযিল , ২য় খন্ড , পৃ- ১০৬ /
কেফাইয়াতুত তালিব , পৃ- ২৪৭ /
গায়াতুল মোরাম , পৃ- ২৫৯ ।
বিবেক আপনার সিদ্বান্ত আপনার - শুধু, সাধু সাবধান ।
সদা মঙ্গলময় থাকুন এই কামনায় ...
আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজহুম ।
আল্লাহুম্মাল আন কাতালাহ আমিরিল মুমিনিন (আঃ) ।
লেখাটি সংগৃহীত ।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: