Sunday, October 11, 2015

নতুন প্রজন্মের যারা আছো তাদের জন্য এই পোস্ট টি

নতুন প্রজন্মের যারা আছো তাদের জন্য এই পোস্ট টি। পশ্চিমা এবং ইসরাইল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার কারনে আমাদের প্রজন্মের এবং আমাদের পূর্বের প্রজন্মের মস্তিস্কে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বিষয়ে যে অজ্ঞতার আবরন পড়ে গেছে আমি চাই তা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্ত হোক। এ পর্যায়ে পশ্চিমা মিডিয়া দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড এক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন জয়নুল আবু মাহদী যিনি জয় বিডি নামে সবার কাছে পরিচিত। প্রশ্নকারির প্রশ্ন এবং জয় বিডির উত্তর হুবহু তুলে ধরছি তোমরা অবশ্যই পড়বে। আমাদের এবং পূর্ববর্তী প্রজন্মের কাউকে এই পোস্ট পড়ার রিকুএস্ট করছিনা কারন যাদের ব্রেইন ওয়াশড হয়ে গেছে তাদের কাছে যুক্তির কোন দাম নেই। অযৌক্তিক হলেও আত্মপক্ষ সমর্থন করে যাবে। সঠিক কে সঠিক এবং ভুল কে ভুল বলার মত মানুষিকতা না থাকলে বৃথা পড়ে লাভ নেই।
প্রশ্ন কারির প্রশ্ন ; //(১) সাদ্দামকে যখন আমেরিকা ক্ষমতা থেকে নামিয়ে সেখানে শিয়াদের ক্ষমতায়ন করেছে, তখন আপনারা তাদেরকে সমর্থন করেছেন! কিন্তু তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নী সিরিয়াতে আসাদ বিরোধীদের মানতে পারছেন না?//
জয় বিডি র উত্তর ; এখানে সাদ্দামের বিরোধিতা না করাটাই বরং অস্বাভাবিক। কারনটা ঐতিহাসিক, সাদ্দাম এই আমেরিকার সহযোগীতা নিয়ে ইরানের উপর অন্যায় আগ্রাসন করে যে আগ্রাসন ৮ বছর যাবত চলেছিলো। অতঃপর নিজের এম্পায়ার হারানর অবস্থায় পউছুলে আমেরিকা থেকে ক্যামিকেল অস্ত্র নিয়ে তা কাপুরুষের মতো প্রয়োগ করেছিলো ইরানি বেশামরিক লোকদের উপর যাতে একদিনে প্রায় ৭ লাখ মানুষ নিহত হয়। সুতরাং এখানে ইরানের সাথে সাদ্দাম বিরোধিতা টা ই স্বাভাবিক। কিন্তু, পরে সাদ্দামের উপর আমেরিকার আগ্রাশনের সময় সৌদি ই সরাসরি সাহায্য করেছিলো আমেরিকাকে। সৌদির ভূমি ব্যাবহার করেছিলো আমেরিকা। ইরান নিজের ভুমি ব্যাবহার করতে দেয় নি উপরুন্তু পলিটিক্যালি আমেরিকান আগ্রাশনের বিরোধিতা করেছিলো এবং বরাবর ই বলেছিলো 'মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা মধ্যপ্রাচ্যের সরকারগুলোই সমাধান করবে, আমেরিকা নয়।এবং আমরাও সাদ্দামের উপর ওই সময় আমেরিকান হামলার বিরোধিতা করেছিলাম। আর সাদ্দাম কে হটিয়ে আরেক দালাল কে বসিয়েছিলো যার সাথে ইরানের ততোক্ষন পর্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিলোনা যতক্ষন পর্যন্ত ওই সরকার আমেরিকার দালালি করেছিলো এবং, একটা সময় থেকে ইরান, ইরাকের সে সর০অকার কে নিজেদের দিকে টানতে পেরেছিলো ফলে সে সরকার ধীরে ধীরে আমেরিকা সৌদির পাপেট অবস্থান থেকে স্বাধীনভাবে স্বশাশনের অবস্থানে দড়ায়। এর ফলেই ইরাকে আমেরিকা আই এস প্রতিষ্ঠিত করে। ইরাকের সরকার আমেরিকার দালালি না ছাড়লে আই এস প্রতিষ্ঠার দরকার হতোনা সেখানে। সব মিলিয়ে এখানে যদি শিয়া সুন্নি ইস্যু ই বড় হবে, তাহলে সাদ্দাম পতনের সময় সৌদির ভূমি কেনো ব্যাবহারিত হলো? ইরানের ভূমি কিন্তু ব্যাবহার করতে দেয়নি ইরান। (১ নাম্মমাব্র প্রশ্নের সমাধান। আপনার প্রশ্নটাই অজ্ঞতা প্রসূত, তা' প্রমাণিত।)
প্রশ্ন কারির প্রশ্ন ; //(২) যদি আমেরিকার মদদে ইরাকে শিয়ারা ক্ষমতায় গেলে সমস্যা হয় না, তাহলে কেনো আমেরিকার মদদে সিরিয়ার আসাদ বিরোধী সুন্নীরা ক্ষমতায় গেলে সেটা খারাপ হয়ে যায় কেনো?//
জয় বিডি র উত্তর ; আমেরিকার মদদে শিয়া রা ক্ষমতায় যায়নি বরং সাদ্দামবিরোধী একটা শক্তি ক্ষমতায় গিয়েছিলো শিয়া সুন্নি সমন্বয় করে আর এ শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে আমেরিকাকে সবথেকে বেশী সাহায্য করেছে সৌদি। এখানেও আপনার প্রশ্নটা অজ্ঞতা প্রসূত, কারন সৌদি নিজের ভূমি ও অর্থ খরচ করে কখনোই কণো 'শিয়া সরকার' কে ক্ষমতায় আনবেনা। আপনার মন্তব্য অনুযায়ী ই এটা প্রমাণিত। বরং তাঁরা তখন ইরাক্বে তাঁদের একটা পাপেট সরকার কে বসিয়েছিল।
প্রশ্ন কারির প্রশ্ন ; //৩) সিরিয়ার সরকার বিরোধীরা যদি খারাপ হয়, তাহলে ইয়েমেনের হুথী বিদ্রোহীরা কেনো এত ভালো??//
জয় বিডির উত্তর ; উত্তরঃ সিরিয়া সরকারবিরোধিরা এজন্য ই খারাপ কারন, (১) আসাদের বিরুদ্ধে তদের 'সুন্নি বিরোধী অভিযোগ' ই ভুয়া। আসাদ সরকারের সব গুরুত্বপূর্ন স্বরাস্ট্র-পররাস্ট্র সহ আরো অনেক পদ, এমনকি সিরিয়ার গ্র্যান্ড মুফতিও সুন্নি। (২) এদের সবাই আমেরিকান ব্যাকড। সিরিয়ায় আসাদের পক্ষে জনমত বেশী, সন্ত্রাশিদের পক্ষে নয়। তার প্রমান, আসাদের বিরুদ্ধে সবরকমের চেস্টার পরেও আমেরিকা সৌদি জোট তাঁকে ফেলতে পারছেনা। যেখানে সাদ্দাম বা তালিবানের মতো বড় শক্তিকে ফুঁৎকারে ফেলে দিয়েছিলো। এছাড়াও, আসাদ সরকার ই একমাত্র আরব সরকার যেটা হচ্ছে ইজ্রায়েলি ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে প্রথম ফ্রনটলাইন। সিরিয়ার অলরেডি তেলসমৃদ্ধ গোলান হাইট ইজ্রায়েলের দখলে। আসাদ সরকার পড়ে গেলে, ইজ্রায়েল এ অঞ্চলে আরো ভূমি দখল করবে আর তখন কথিত আরব সুন্নি সরকারগুলো নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকবে সেটা হতে দেয়া যায়না। এখানেও শিয়া সুন্নি কোনো ইস্যু নয় বরং শিয়া সুন্নি দ্বন্ধ দিয়ে বিচার করাটা আপনার অজ্ঞতাপ্রসূত।
৩ নাম্বার প্রশ্নের দ্বিতীয় পার্ট (ইয়েমেনের হুথি) ; ইয়েমেনে ও শিয়া সুন্নি দ্বন্ধ নয় বরং আমেরিকান দালালের বিরুদ্ধে জনতার বিপ্লব। এটা এজন্যই জনতার বিপ্লব এবং হাদি সরকারের কোনো জনসমর্থন ছিলোনা, কারন, আমেরিকা সৌদি জোট এর ব্যাকয়াপ থাকার পরেও একটা সরকার কে তখুনি দেশ ছেড়ে পালাতে হয় যখন তার জনসমর্থন প্রায় জিরো তে চলে আসে। এখানে সৌদির আগ্রাসন যদি শিয়া সুন্নি দ্বন্ধ হোতো তাহলে আগের ৩৪ বছরের আলী আবদুল্লাহ সালেহি (শিয়া) প্রেসিডেন্ট এর সরকার এর সাথে সৌদি আমেরিকার ভালো সম্পর্ক থাকতোনা।
প্রশ্ন কারির প্রশ্ন ; //(৪) বাহরাইনে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া হলেও যদি সুন্নীরা ক্ষমতায় থাকার দরুন সেটা অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে কেনো সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নী দেশ সিরিয়াতে শিয়াপন্থী আসাত ক্ষমতায় থাকাটা অন্যায়???//
জয় বিডির উত্তর ; বাহরাইনে সুন্নি ক্ষমতায় থাকার কারনে শিয়া বিদ্রোহ হচ্ছেনা। বরং মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি রাজতান্ত্রিক আমেরিকা ইজ্রায়েলি বন্ধুভাবাপন্ন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হবে। বাহরাইন দিয়ে শুরু হলো আরবের প্রত্যেকটি রাজতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ চলবে। খোদ সউদিতে শুরু করা হবে। অপেক্ষা করুন। এগুলোকে শিয়া সুন্নি দ্বন্ধ ট্যাগ লাগিয়ে দালাল রাজাগুলোকে সুন্নি নামধারি ওহাবিরা এবং আমেরিকা বাঁচাতে পারবেনা। খোদ আমেরিকা নিজেই এখন কলাপ্স করার পথে রয়েছে। সো, যে বা যারাই আমেরিকান শক্তির উপর ভরশা রেখে নিজেদের অন্ধতার দরুন অবৈধ রাজতান্ত্রিক রাজাগুলোর বিরুদ্ধে জনতার বিদ্রোহো কে শিয়া সুন্নি দ্বন্দ আক্ষ্যায়িত করে পাল্টা গেম খেলার স্বপ্ন দেখছেন তাঁদের প্রতি এডবাইস, নিজেদের কে পাল্টে ফেলুন। লাভ হবেনা কিছুই। আর সিরিয়ায় আসাদ ই থাকবে কারন, আসাদের জনসমর্থন ব্যাপক। তার পরমান দুনিয়া দেখেছে বিশেষ করে এই ৪ বছরে। আসাদ কে আমেরিকা সৌদি ফেলতে পারবেনা, ৩ বছর আগেও বলেছি, এখনো বলছি। (লিখে রাখুন) আসাদ গেলেও সন্ত্রাসিদের শেষ করার পরেই যাবে এবং পরের সরকারপ্রধান ও অবশ্যই তাকেই নির্বাচিত করা হবে যে ইজ্রায়েলের কাছ থকে গোলান হাইট উদ্ধারের কাজে বদ্ধপরিকর থাকবে এবং ইজ্রায়েল বিরোধী রেজিস্ট্যান্স কে সহায়তা করে যাবে। দালাল কেউ সিরিয়ায় ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবেনা। ইন্সহাল্লাহ ।
এবার আপনি আমাকে উত্তর দেবেনঃ সমস্যাগুলো যদি শিয়া সুন্নি হয়, তবে (১) সাদ্দামের পতনের সময় কেনো সৌদি নিজের ভূমি ব্যাবহার করতে দিয়েছিলো এবং সাদ্দামের পতনের পক্ষে কাজ করেছিলো?
(২) শিয়া সুন্নি দ্বন্দ ই যদি ইস্যু হয়, তবে মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড সরকার কে ফেলে দিতে কেনো সৌদি কাড়ি কাড়ি অর্থ দিয়েছিলো এবং সহায়তা করেছিলো সবদিক থেকে?
(৩) ইয়েমেনে হাদির আগে ৩৪ বছরের শিয়া আলী আবদুল্লাহ সালেহী সরকারের সাথে কেনো সৌদির কোনো শত্রুতা ছিলোনা?
আমাদের সমস্যা শিয়া সুন্নি ইস্যু নয়। তার প্রমান আজারবাইজানের শিয়া সরকারের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক নেই। একমাত্র রিজন এইযে আজারি শিয়া সরকার ইজ্রায়েল পন্থী।

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি

Share This
Previous Post
Next Post

0 comments: