Tuesday, September 1, 2015

ফাযায়েলে দুরুদের একটি ঘটনার ব্যাপারে আহলে হাদীসদের চরম মিথ্যাচার Part 2

পূর্বের আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে, শায়খ যাকারিয়া রহ. ফাযায়েলে দুরুদের উপর প্রথম কিতাব লেখেননি। তার পূর্বে প্রত্যেক যুগের বিখ্যাত মুহাদ্দিসগণ এই বিষয়ের উপর কিতাব লিখেছেন। পূর্বে যারা ফাযায়েলে দুরুদের উপর কিতাব লিখেছেন, তারা কোন পদ্ধতিতে কিতাব লিখেছেন? আজকের আলোচনায় ফাযায়েলে দুরুদের উপর লেখা পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
পূর্বের মুহাদ্দিসগণ কোন পদ্ধতিতে ফাযায়েলে দুরুদের উপর কিতাব লিখেছেন?

প্রথম পদ্ধতি:

উপর্যুক্ত কিতাবগুলোতে  রাসূল স. এর উপর দুরুদ পড়ার ফযীলত সংক্রান্ত সহীহ ও যয়ীফ উভয় ধরণের রিওয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে এক শ্রেণীর লোকের আবির্ভাব হয়েছে, যারা যয়ীফ হাদীসকে মওযু হাদীসে স্তরে নামিয়েছে এবং এগুলো ইসলাম বহির্ভূত মনে করতে শুরু করেছে। অথচ এরা হাদীস শাস্ত্রের পরিভাষা তো দূরে থাক,  হাদীস কেন সহীহ হয় এবং কেন যয়ীফ হয়, সে বিষয়টাও জানে না। যয়ীফ হাদীসের মধ্যে মারাত্মক পর্যায়ের যয়ীফ এবঙ সাধারণ পর্যায়ের যয়ীফের মাঝে আকাশ-পাতাল ব্যবধান এই বিষয়টা তারা আদেৌ জানে  কি না সন্দেহ আছে। যয়ীফ হাদীস কোন ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য এবং এ বিষয়ে উলামায়ে কেরাম যেসমস্ত নীতিমালা উল্লেখ করেছেন, সেগুলো সম্পর্কে তারা আলোচনা তো দূরে থাক, কেউ আলোচনা করলে তার সমালোচনায় নিজেরকে সর্বশক্তি ব্যয় করে।
এই পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বর্তমান সালাফীদের অন্যতম অনুসরণীয় ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহ. এর জিলাউল আফহাম থেকে কয়েকটি উদাহরণ উল্লেখ করবো। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, জিলাউল আফহাম ফি ফাযলিস সালাতি ওয়াস সালামি আলা খাইরিল আনাম। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রহ.(৬৯১-৭৫১ হি:) এটি রচনা করেছেন। যায়েদ বিন আহমাদ আন-নুশাইরী এর তাহকীকে এবং সউদী মুফতী বোর্ডের সদস্য ড. বকর আবু যায়েদের তত্ত্বাবধানে এটি প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও মাশহুর বিন হাসান এটি তাহকীক করে প্রকাশ করেছেন।  শায়খ শুয়াইব আরনাউত ও আব্দুল কাদের আরনাউত কিতাবটি তাহকীক করেছেন। ১৪১৩ হি: মাকতাবাতুল মুয়ায়্যাদ, রিয়াদ থেকে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। শায়খ শুয়াইব আরনাউত ও আব্দুল কাদের আরনাউত বিভিন্ন কিতাব তাহকীক করার ক্ষেত্রে খুবই প্রসিদ্ধ। উক্ত শায়খদের তাহকীক অনুযায়ী নিচের তাহকীক উল্লেখ করা হলো।


এই কিতাবে মোট ৫১৯ টি হাদীস ও আসার রয়েছে। আমি শায়খ আরনাউতের তাহকীকের উপর ভিত্তি করে ইবনুল কাইয়্যিম রহ. এর ১০৪ টি হাদীস যাচাই করেছি। এই হাদীসগুলোর মাঝে সহীহ, হাসান, যয়ীফ, মওযু (জাল) হাদীস রয়েছে।
১. ইবনুল কাইয়্যিম  রহ. মুরসাল ও মওকুফ হাদীস শিরোনামে ৩০ টি মুরসাল ও মউকুফ হাদীস উল্লেখ করেছেন।
২. আমি  ১০৪ টি মুত্তাসিল হাদীস দেখার সুযোগ পেয়েছি। একশ চারটি হাদীসের মধ্যে সহীহ ও হাসান  রয়েছে। এছাড়াও অনেক হাদীস রয়েছে যেগুলোর হুকুম সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় গণনার মধ্যে যুক্ত করা হয়নি। পরবর্তীতে শায়খ মাশহুর হাসানের তাহকীক দেখেছি। শায়খ শুয়াইব আরনাউতের তাহকীকের চেয়ে শায়খ মাশহুর হাসানের তাহকীকে যয়ীফ হাদীসের সংখ্যা বেশি। এখানে শায়খ শুয়াইব আরনাউত যে সমস্ত হাদীসের উপর যে হুকুম আরোপ করেছেন, তা উল্লেখ করা হলো।
১. ১০৪ টি হাদীসের মাঝে মুরসাল, মওকুফ ও মাকতু হাদীস: ৮ টি (১০৩, ১০২,৭৪, ৬২, ৫৫,২৯, ১০,৪০)
২. ১০৪ টি হাদীসের মাঝে যয়ীফ হাদীস: ৩০ টি ( ১০০, ১০১, ৯৭, ৯৪, ৯৩,৮৯,৮৭,৮৩,৭৮,৭১,৭০,৬৯,৬৮,৬৭,৫৭,৫৬, ৫৪, ৫০, ৩৩, ৩৪,৩৫,৩১,২৫,২৪,২২,২৩,২০,২১,১৩,১১)
৩. ১০৪ টি হাদীসের মাঝে জাল হাদীস: ৬ টি (চারটি শায়খ শুয়াইব ও শায়খ আব্দুল কাদের আর নাউত মওযু বলেছেন। এর মাঝে দু’টি হাদীস এর একটি ইমাম যাহাবী মওযু বলেছেন। হাদীস নং ৮৭। একটি হাদীস ইমাম সানআনী জাল বলেছেন। হাদীস নং ৬৭। অবশিষ্ট চারটি জাল হাদীস হলো, ৯৬, ৯৫, ৭৩, ১২)
সুতরাং যাদের নিকট মুরসাল হাদীসে যয়ীফ হাদীসের অন্তর্ভূক্ত তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ১৩৫ টি হাদীসের মাঝে প্রায় ৬৮ টি হাদীস যয়ীফের অন্তর্ভূক্ত হবে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট, ফাযায়েলে দুরুদের উপর ইতোপূর্বে যারা গ্রন্থ রচনা করেছেন, তাদের প্রায় সকলের কিতাবেই যয়ীফ হাদীস রয়েছে। সুতরাং ফাযায়েলের কিতাবে যয়ীফ হাদীস উল্লেখ করা দোষণীয় হলো পূববর্তী সকল মুহাদ্দিসই এই দোষে দুষ্ট হবেন। এমনকি ইমাম বোখারী  রহ. এর দোষ থেকে মুক্ত নন।  ইমাম বোখারী রহ. আল-আদাবুল মুফরাদে অনেক যয়ীফ হাদীস উল্লেখ করেছেন। বিশেষভাবে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে যেহেতু যয়ীফ হাদীস আমল যোগ্য, সুতরাং হাদীসটি যদি মারাত্মক পর্যাযের যয়ীফ না হয়, তাহলে তা ফাযায়েলের কিতাবে উল্লেখ করা যাবে। তবে হাদীসটি যদি মারাত্মক পর্যায়ের দুর্বল হয়, তবে তা ফাযায়েলের ক্ষেত্রেও উল্লেখ করা যাবে না। এ আলোচনা থেকে স্পষ্ট, পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসগণ ফাযায়েলে দুরুদের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদীস উল্লেখ করেছেন।

দ্বিতীয় পদ্ধতি:

 ফাযায়েলে দুরুদের ক্ষেত্রে হাদীস ও আসার উল্লেখের পাশাপাশি মুহাদ্দিসগণ এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ফাযায়েলের কিতাব রচনার ক্ষেত্রে অনেকেই এজাতীয় ঘটনা তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং ফাযায়েলের কিতাবে হাদীস ও আসারের পাশাপাশি এসম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য ঘটনা উল্লেখ করা কোন দোষণীয় নয়।বিষয়টি আরও স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য ইবনুল কাইয়্যিম রহ. এর জিলাউল আফহাম থেকে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করছি।

ঘটনা-১: জাফর ইবনে আলী আয-জাফরানী থেকে বর্ণিত তিনি বলেনে, আমার মামা হাসান ইবনে মুহাম্মাদকে বলতে শুনেছি, আমি আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. কে স্বপ্নে দেখলাম, তিনি আমাকে বললেন, হে আবু আলী, আমরা গ্রন্থ রচনার সময় রাসূল স. এর উপর যে দুরুদ লিখেছি, এটা আমাদের সামনে কিভাবে উজ্জল হয়, তা যদি তুমি দেখতে। সূত্র: জিলাউল আফহাম, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম, পৃ.৪৮৬। এছাড়াও ইবনে বাশকুয়ালের সূত্রে ইমাম সাখাবী রহ. রচিত আল-কাউলুল বাদী, পৃ.২৩৯-২৪০।

ঘটনা-২: আবুল হাসান আলী ইবনে মাইমুনী রহ. বলেন, আমি শায়খ আবু আলী হাসান ইবনে উয়াইনাকে তার মৃত্যুর পর স্বপ্নে দেখলাম। তার দু’হাতের আঙ্গুলে স্বর্ণ বা যাফরান দ্বারা লিখিত একটা জিনিস দেখলাম। আমি তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে বললাম, হে উস্তাদ, আপনার আঙ্গুলে উজ্জল একটি বস্তু দেখছি, এটা কী? তিনি বললেন, হে ছেলে,এটা রাসূল স. এর হাদীস লেখার কারণে। সূত্র: জিলাউল আফহাম, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম, পৃ.৪৮৭।এছাড়াও আবুল কাসেম তাইমী রহ. তার আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, খ.২, পৃ.১০৩৩।

ঘটনা-৩: খতীব বাগদাদী রহ. উল্লেখ করেছেন, আমার নিকট মক্কী ইবনে আলী বর্ণনা করেছে, তিনি বলেন, আমার নিকট আবু সুলাইমান আল-হাররানী বর্ণনা করেছে, তিনি বলেন, আমার নিকট আবুল ফজর নাম্নী জিয়ার এর অধিবাসী এক ব্যক্তি যিনি অধিক পরিমাণ নামায ও রোযা আদায় করতেন, তিনি বলেন, আমি হাদীস লিখতাম, কিন্তু রাসূল স. এর উপর দুরুদ লিখতাম না। তখন রাসূল স. কে স্বপ্নে দেখলাম, তিনি আমাকে বললেন, তুমি যখন আমার আমার কথা লিখো কিংবা আমার নাম উল্লেখ করো, তখন আমার উপর দুরুদ পড়ো না কেন? কিছুদিন পরে আমি আবার রাসূল স. আবার স্বপ্ন দেখলাম। তিনি আমাকে বললেন, আমার নিকট তোমার দুরুদ পেৌছেছে। যখন তুমি আামাকে স্মরণ করবে কিংবা আমার কথা লিখবে, তখন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলবে। সূত্র: জিলাউল আফহাম, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম, পৃ.৪৮৭-৪৮৮।এছাড়াও খতীব বাগদাদী রহ. রচিত আল-জামে লিআখলাকির রাবী ওয়াস সামে, বর্ণনা নং ৫৭০।

ঘটনা-৪: মুহাম্মাদ ইবনে আবি সুলাইমান রহ. বলেন, আমি আমার পিতাকে স্বপ্নে দেখলাম। আমি তাকে বললাম, আল্লাহ আপনার সাথে কী আচরণ করেছেন? তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিয়েছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কিভাবে মাফ করলেন? তিনি বললেন, প্রত্যেক হাদীসে রাসূল স. এর নামে দুরুদ লেখার কারণে। সূত্র: জিলাউল আফহাম, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম, পৃ.৪৮৮। ঘটনাটি খতীব বাগদাদী রহ. শরফু আসহাবিল হাদীস (বর্ণনা নং ৬৭) ও আল-জামে লিআখলাকির রাবী (বর্ণনা নং ৫৬৯) –তে উল্লেখ করেছেন।

ঘটনা-৫: সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা বলেন, আমার নিকট খালেদ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমার এক সহপাঠী ছিলো। সে আমার সাথে হাদীস অন্বেষণ করতো। সে মৃত্যুবরণ করলো। আমি তাকে স্বপ্নে দেখলাম। তার গায়ে সবুজ কাপড় ছিলো, যা পরিধান করে সে চলা-ফেরা করছিলো।  আমি তাকে বললাম, তুমি আমার সঙ্গে হাদীস অন্বেষণ করতে না? সে বললো, হ্যা। আমি তাকে বললাম, তোমার এ অবস্থা হলো কিভাবে? সে বললো, যখনই রাসূল স. এর আলোচনা হতো, আমি তার নিচে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখতাম। এর বিনিময়ে আল্লাহ আমাকে এই প্রতিদান দান করেছেন। সূত্র: জিলাউল আফহাম, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম, পৃ.৪৮৮-৪৮৯।

ঘটনা-৬: খতীব বাগদাদী রহ. বলেন, আমার নিকট বুশরা ইবনে আব্দুল্লাহ আর-রুমী বর্ণনা করেছে, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ আল-আসকারীকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আমি আবু ইসহাক দারিমী যিনি নাহশাল নামে পরিচিত তাকে বলতে শুনেছি, আমি হাদীস বের করার সময় লিখতাম قال النبي صلي الله عليه وسلم تسليما । তিনি বলেন, আমি রাসূল স. কে স্বপ্নে দেখলাম। তিনি যেন আমার কিছু লেখা নিয়ে দেখলেন। অত:পর বললেন, এটি সুন্দর। সূত্র: জিলাউল আফহাম, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম, পৃ.৪৮৯-৪৯০। এছাড়াও তারীখে বাগদাদ, খন্ড-৬, পৃ.৬৯।

এজাতীয় অনেক ঘটনা ফাযায়েলে দুরুদের কিতাব সমূহে রয়েছে। অধিকাংশ মুহাদ্দিস ফাযায়েলে দুরুদের আলোচনা প্রসঙ্গে  বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করেছেন। সুতরাং ফাযায়েলে দুরুদের ব্যাপারে বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করা এবং সেগুলো কিতাবে উল্লেখ করা কোন দোষণীয় বিষয় নয়। বরং পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসগণের ফাযায়েলের কিতাব লেখার অন্যতম একটি পদ্ধতি হলো সংশ্লিষ্ট ঘটনা উল্লেখ করা।
উল্লেখ্য, ফাযায়েলের কিতাবে উল্লেখিত এ সমস্ত ঘটনার উল্লেখ করা কোন জরুরি বিষয় নয়। বরং স্বাভাবিকভাবে যেহেতু ঘটনা বর্ণনা করা হয়, সে হিসেবে নির্ভরযোগ্য ঘটনা উল্লেখ অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বুঝতে সহায়ক হয়। ফাযায়েলে দুরুদের কিতাবে শায়খ যাকারিয়া কান্ধলবী রহ. যে ঘটনাগুলো উল্লেখ করেছেন, সেগুলো সম্পর্কে শায়কের দৃষ্টিভঙ্গি তার নিজের মুখেই শুনুন। তিনি লিখেছেন,

‍‌[[ দুরুদ শরীফের বিষয় আল্লাহ পাকের হুকুম এবং নবীয়ে কারীম স. এর পবিত্র বাণী সমূহের পর কেচ্ছা-কাহিণীর উল্লেখ তেমন কোন গুরুত্ব রাখে না। কিন্তু মানুষের স্বভাব হইলো, বুজুর্গানের ঘটনাবলীতে অধিক উৎসাহিত হয়। তাই পূর্বের বুজুর্গেরা দুরুদ সম্পর্কীয় অনেক কেচ্ছা-কাহিনীও বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন।]]

ফাযায়েলে দুরুদ, পৃ.৮০
শায়খ রহ. স্পষ্ট বক্তব্যে  উল্লেখ করেছেন, আল্লাহর নির্দেশ ও রাসূল স. এর হাদীসের পরে বিভিন্ন ঘটনা কোন গুরুত্ব রাখে না। শায়খের নিকট এগুলো কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। বরং তিনি এক্ষেত্রে পূর্বের বুজুর্গ ও মুহাদ্দিসদের অনুসরণ করেছেন। তিনি এসমস্ত ঘটনা দ্বারা কোন আক্বিদা বর্ণনা তো দূরে থাক, স্বাভাবিকভাবে ফাযায়েলে দুরুদের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেননি, তাহলে কিভাবে এজাতীয় ঘটনার কারণে তার উপর অভিযোগ আরোপ করা হবে? যদি শায়খের উপর অভিযোগ করা হয়, তবে এজাতীয় ঘটনা বর্ণনা করার কারণে পূর্ববর্তী অনেক মুহাদ্দিস একই দোষে দুষ্ট হবেন। তাদের ব্যাপারে অভিযোগ না করে শুধু শায়খের উপর কেন এতো আক্রোশ?
উক্ত আলোচনা থেকে ফাযায়েলে দুরুদের উপর পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসগণের গৃহীত দু’টি পদ্ধতি আলোচনা করেছি। পরবর্তী আরও চমকপ্রদ আলোচনা নিয়ে ইনশাআল্লাহ তাদের অপপ্রচারের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি

Share This
Previous Post
Next Post

0 comments: