আজকের আলোচনায় ফাযায়েলে আমলে বর্ণিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মিথ্যাচার সম্পর্কে আলোচনা করবো। ফাযায়েলে আমলের ঘটনাটি হলো,
হাফেজ আবু নাইম হযরত সুফিয়ান ছুরী রহ. থেক বর্ণনা করেন যে আমি এক সময় কোথাও বাহিরে যাইতেছিলাম, তখন দেখিলাম যে একজন যুবক যখন কোন কদম উঠাইতেছে অথবা রাখিতেছে তখনই পড়িতেছে_ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন অআলা আলি মুহাম্মাদিন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তুমি কি এই আমল কোন কিতাবী প্রমাণের দ্বারা করিতেছ, না নিজের ইচ্ছামত করিতেছ। যুবক বলিল, আপনি কে? আমি বলিলাম সুফিয়ান ছুরী। সে বলিল, ইরাকওয়ালা সুফিয়ান। আমি বলিলাম, হ্যা। যুবক বলিল, আপনার আল্লাহর মা’রেফত হাছিল আছে কি? বলিলাম, হ্যা আছে।সে বলিল, কিভাবে আছে? আমি বলিলাম, রাত্র হইতে দিন বাহির করে, দিন হইতে রাত্র,মায়ের পেটে বাচ্চার সুরত দান করে।সে বলিল, আপনি কিছুই চেনেন নাই।আমি বলিলাম, তাহলে তুমি কিভাবে আল্লাহর মা’রেফত হাছিল করিলে? যু্বক বলিল, কোন কাজের জন্য দৃঢ় আশা পোষণ করি, কিন্তু তবুও তা ত্যাগ করিতে হয়। আর কোন কাজ করিবার ইচ্ছা করি কিন্তু তা করিতে পারি না, ইহা দ্বারা বুঝিয়া লইলাম যে, নিশ্চয় একজন আছে। যিনি আমার কাজ সম্পাদন করেন।আমি বলিলাম, তোমার এই দুরুদ পড়ার ভেদ কি?সে বলিল, আমার মায়ের সহিত হজ্জ্বে গিয়েছিলাম। পথিমধ্যে আমার মা মারা যান। তাহার মুখ কালো হয়ে যায় এবং পেট ফুলিয়া যায়।মনে হইল, তিনি বহুত বড় পাপ করিয়াছেন।তাই আমি আল্লাহর দরবারে হাত উঠাইলাম। তখন দেখিলাম যে হিজাজের দিক হইতে এক খন্ড মেঘ আসিল আর সেখান থেকে একজন লোক জাহের হইল, তিনি আমার মায়ের মুখে হাত ফিরাইলেন যদ্বারা তাহার মুখ রওশন হইয়া গেল এবং পেটে হাত ফিরাইলেন যদ্বারা ফুলা একেবারেই চলিয়া গেল। আমি আরজ করিলাম, আপনি কে? যাহার উছিলায় আমার মায়ের মছিবত কাটিয়া গেল। তিনি বলিলেন, আমি তোমার নবী মুহাম্মাদ স.। আমি আরজ করিলাম, হুজুর আমাকে কিছু অছিয়ত করুন। হুজুর স. বলিলেন, যখন কদম উঠাইবে এবং রাখিবে তখনই পড়িবে, আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিন ও আলা আলি মুহাম্মাদিন।
নিচের স্ক্রিনশটটি লক্ষ্য করুন,
এই ঘটনার উপর মুরাদ বিন আমজাদ যে অভিযোগ করেছেন,
(রাসূল স. এর বরযখী জীবন ছেড়ে দুনিয়াতে এসে কারো বিপদের গায়েবী খবর জানার ধারণা উল্লেখিত আয়াতে রব্বানীর আলোকে শিরক নয় কি? তার ইন্তেকালের পর মেঘের মধ্যে তার উড়ে এসে কারও বিপদ উদ্ধার করার ধারণাও শিরক। সর্বপরি, কথা হলো, দুরুদের ফযীলত বর্ণনায় কুরআন ও সহীহ হাদীস কি যথেষ্ট নয়? তিনি বইয়ের কলেবর বাড়ানোর জন্য এই অযথা অপচেষ্টা কেন করেছেন আমাদের বুঝে আসে না।)
নিচের স্ক্রিনশটটি লক্ষ্য করুন,
Tablig Jamat + Chormonai er Postmortem
তাবলীগ জামাত+চরমোনাইয়ের পোস্টমর্টেম পেজে এই ঘটনা সম্পর্কে লিখেছে,
তাবলীগ জামাতের কিতাবে রাসুল (সাঃ)-এর উপর নির্লজ্জ, মিথ্যা ও জঘন্যতম অপবাদঃ
জনৈক যুবকের বর্ণনা ‘’আমি আমার মায়ের সহিত হজ্বে গিয়াছিলাম। পথিমধ্যে আমার মা মারা যান। তাহার মুখ কালো হইয়া যায় এবং পেট ফুলিয়া যায়। মনে হইল তিনি বহুত বড় পাপ করিয়াছেন। তাই আমি আল্লাহ্র দরবারে হাত উঠাইলাম। তখন দেখিলাম হেজাজের দিক একটা মেঘখণ্ড আসিল আর সেখান হইতে একজন লোক জাহের হইল। তিনি আমার মায়ের মুখে হাত ফিরাইলেন যদ্বারা তাহার মুখ রওশান হইয়া গেল এবং পেটে হাত ফিরাইলেন যদ্বারা ফুলা একেবারেই চলিয়া গেল। আমি আরজ করিলাম আপনি কে যাঁহার উসিলায় আমার মায়ের মুসিবত কাটিয়া গেল? তিনি বললেন, আমি তোমার নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ফাজায়েলে আমল; ফাজায়েলে দরুদ; জাকারিয়া সাহারানপুরি; অনুবাদক মোঃ ছাখাওয়াত উল্লাহ; তাবলীগী কুতুবখানা, চক বাজার, ঢাকা; জানুয়ারি ২০০৮ ই; পৃষ্ঠা নঃ ১১৮-১১৯
উপরোক্ত আজগুবি গল্পটি মধ্যে কুরআন ও হাদীসের সাথে মারাত্মকভাবে সাংঘরসিক। উপরোক্ত বানোয়াট কাহিনীর মাধ্যমে আমরা যা বুঝতে পারি # রাসুল (সাঃ) গায়েব জানেন # মৃত্যুর পর রাসুল (সাঃ) যেকোনো জায়গায় উপস্থিত হতে পারেন # মৃত্যুর পর রাসুল (সাঃ) জীবিতদের সাহায্য করার ক্ষমতা রাখেন # রাসুল (সাঃ) গায়রে মাহরাম অর্থাৎ অপরিচিত বা বেগানা মহিলাকে স্পর্শ করেছেন। উপরোক্ত চারটি পয়েন্টই কুরআন ও হাদীস বিরোধী আকিদাহ। তবে আমরা আজকে শুধুমাত্র রাসুল (সাঃ) গায়রে মাহরাম অর্থাৎ অপরিচিত বা বেগানা মহিলাকে স্পর্শ করেছেন কি না সেই বিষয়টি উল্লেখ করব ইন শা আল্লাহ্।
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) কোনদিন তাঁর হাত দিয়ে কোন (বেগানা) মহিলাকে স্পর্শ করেননি। মুসলিম ৪৭২৯
আয়িশাহ (রাঃ) হতে আরও বর্ণিত আছে , তিনি বলেন, আল্লাহ্র কসম! রাসুল (সাঃ)-এর হাত কোনদিন কোন (অপরিচিত) মহিলার হাতকে স্পর্শ করেনি’’ মুসলিম ৪৭২৮
হে আমার মুসলিম ভাই! তুমি এখন চিন্তা করে দেখ, আমাদের নিস্পাপ, পুত পবিত্র রাসুল (সাঃ)-কে কিভাবে অপবাদ দেয়া হচ্ছে, যেখানে তিনি জীবিত অবস্থায় কোন বেগানা মহিলাকে স্পর্শ করেননি, সেখানে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি কবর থেকে উঠে অপরিচিত কোন মহিলাকে স্পর্শ করেছেন! (নাউজুবিল্লাহ) হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি তারা যা অপবাদ আরোপ করে তোমার প্রেরিত রাসুলের প্রতি, তা থেকে মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পূর্ণ মুক্ত। অসংখ্য ও অগণিত দরুদ ও সালাম শেষ নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপর বর্ষিত হোক।
এই ঘটনা সম্পর্কে তাদের অভিযোগ ও দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করেছেন। এর দ্বারা তারা বেশ কয়েকটি আক্বিদার প্রমাণ পেয়েছে,
# রাসুল (সাঃ) গায়েব জানেন # মৃত্যুর পর রাসুল (সাঃ) যেকোনো জায়গায় উপস্থিত হতে পারেন # মৃত্যুর পর রাসুল (সাঃ) জীবিতদের সাহায্য করার ক্ষমতা রাখেন # রাসুল (সাঃ) গায়রে মাহরাম অর্থাৎ অপরিচিত বা বেগানা মহিলাকে স্পর্শ করেছেন।
তাদের এই কথাগুলো দ্বারা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, যারা উক্ত ঘটনা বর্ণনা করে তারা শিরক করেছে, রাসূল স. এর নামে জঘন্য অপবাদ দিয়েছে। সুতরাং এই ঘটনা বইয়ে লেখা এবঙ সেগুলো প্রচার করা হলো শিরকের প্রচার এবং তাবলীগ হলো শিরকী মতবাদ।
আমি তাদের অভিযোগ গুলো আলোচনার পূর্বে এই ঘটনা কে কে উল্লেখ করেছেন, তা আলোচনা করবো।
## ফাযায়েলে দুরুদের উপর শায়খ যাকারিয়া রহ. কি প্রথম কিতাব রচনা করেছেন?
শায়খ যাকারিয়া কান্ধলবী রহ. ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস। তিনি মুয়াত্তায়ে মালেকের উপর বিখ্যাত শরাহ আওজাযুল মাসালিক লিখেছেন। আরব-অনারব সকলেই তার সুউচ্চ ইলমী মর্যাদার সাক্ষ্য প্রদান করেছে। শেষ জীবনে তিনি হিজরত করে মদীনায় গমন করেন। ১ম শা’বান ১৪০২ হি: সনে তিনি তিনি মদীনায় ইন্তেকাল করেন। যুগশ্রেষ্ঠ এই মহা মণীষীকে জান্নাতুল বাকীতে সমাহিত করা হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শায়খ যাকারিয়া কান্ধলবী রহ. ফাযায়েলে দুরুদের উপর প্রথম লেখক নন। সালাফে-সালেহীনের যুগ থেকে এর উপর স্বনন্ত্র কিতাব রচিত হয়েছে। শায়খ যাকারিয়া রহ. এক্ষেত্রে অন্যান্য মুহাদ্দিসগণের অনুকরণ করেছেন। সুতরাং শায়খ যাকারিয়া রহ. ফাযায়েলে দুরুদের উপর রচনার ক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি নন, যার কারণে তিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন। আমাদের পরবর্তী আলোচনায পাঠকের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠবে, এক্ষেত্রে শায়খ যাকারিয়া রহ. এর ভূমিকা কী ছিলো। ফাযায়েলে দুরুদের উপর রচিত কিতাব সমূহে রাসূল স. এর দুরুদের ফযিলত সংক্রান্ত হাদীস বর্ণনার পাশাপাশি সাহাব, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীনের বক্তব্য ও এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে যারা কিতাব রচনা করেছেন, তারা প্রত্যেকেই ছিলেন সে যুগের বিখ্যাত মুহাদ্দিস। সকল হাদীসের কিতাবে ফাযায়েলে দুরুদের উপর হাদীস রয়েছে। এখানে ফাযায়েলে দুরুদের উপর লিখিত স্বতন্ত্র্য কিতাবগুলো উল্লেখ করবো।
১. আস-সালাতু আলান নাবী স.।হাফেয ইবনে আবিদ দুনিয়া রহ. (২০৮-২৮১) রহ. এটি রচনা করেছেন। দেখুন, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, খ.১৩, পৃ.৪০২
২.ফাযলুস সালাতি আলান নাবী স.। হাফেজ ইসমাইল ইবনে ইসহাক আল-কাজী রহ.এটি রচনা করেছেন। কিতাবটি অনেকেই তাহকীক করে প্রকাশ করেছেন। শায়খ আলবানীর তাহকীকে ১৩৮৩ হি: আল-মাকতাবুল ইসলামী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। আব্দুল হক তরকুমানীর তাহকীকে ১৪১৭ হি: প্রকাশিত হয়েছে। হুসাইন মুহাম্মাদ আলী শুকরা এর তাহকীকে দারুল মদিনাতিল মুনাওয়ারা থেকে ১৪২১ হি: তে প্রকাশিত হয়েছে। আসআদ সালেম তাইয়্যিম এর তাহকীকে ১৪২৩ হি: দারুল উলুম জর্দান থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
৩. আস-সালাতু আলান নাবী স.। ইমাম ইবনে আবি আসিম রহ. (মৃত: ২৮৭ হি) এটি রচনা করেছেন। হামদী বিন আব্দুল মাজিদ আস-সালাফী এর তাহকীকে দারুল মা’মুন থেকে ১৪১৫ হি: তে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
৪. আস-সালাতু আলান নাবী স.। হাফেজ আবুশ শায়েখ ইসপাহানী রহ. (মৃত: ৩৬৯ হি:) এটি রচনা করেছেন।
৫. ফাযলুল উজু ওয়াস সালাত আলান নাবী ও ফাযলু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ইমাম আবু জাফর উমর ইবনে আহমাদ ইবনে শাহিন রহ. (মৃত: ৩৮৫ হি) এটি রচনা করেছে।
৬.আল-ই’লাম বিফাযলিস সালাতি আলা খাইরিল আনাম। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আন-নামিরী আল-গারনাতী আল-মালেকী রহ. (মৃত: ৫৪৪ হি:)
৭. আল-কুরবা ইলা রাব্বিল আলামীন বিস সালাতি আলা মুহাম্মাদ সাইয়্যিদিল মুরসালিন। হাফেজ আবুল কাসেম খালাফ ইবনে আব্দুল মালেক ইবনে বাশকুয়াল রহ. (মৃত:৫৭৮) কিতাবটি রচনা করেছেন।
৮.আস সালাতু আলানা নাবী স.। হাফেয আবু মুসা আল-মাদিনী মুহাম্মাদ ইবনে উমর ইবনে আহমাদ আল-ইসপাহানী রহ. (মৃত:৫৮১ হি:)
৯. আস-সালাতু আলান নাবী, হাফেয যিয়াউদ্দীন আল-মুকাদ্দেসী, (মৃত:৬৪৩ হি:)
১০.নুজহাতুল আসফিয়া। আলী ইবনে ইব্রাহীম আন-নাফাযী আল-গারনাতী (মৃত:৫৫৭হি:) কিতাবটি রচনা করেছেন।
১১. আল-ফাওয়াইদুল মুতানাসিরা। আমের ইবনে হাসান আয-যুবাইর আস-সূসী রহ. (মৃত. ১০২৩ হি: এর পর) এটি রচনা করেছেন।
১২.জিলাউল আফহাম ফি ফাযলিস সালাতি ওয়াস সালামি আলা খাইরিল আনাম। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রহ.(৬৯১-৭৫১ হি:) এটি রচনা করেছেন। যায়েদ বিন আহমাদ আন-নুশাইরী এর তাহকীকে এবং সউদী মুফতী বোর্ডের সদস্য ড. বকর আবু যায়েদের তত্ত্বাবধানে এটি প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও মাশহুর বিন হাসান এটি তাহকীক করে প্রকাশ করেছেন।
তাম্বিহুল আনাম ফি বয়ানি উলুবি মাকামি নাবিয়্যিনা আলাইহি আফজালুস সালাতি ওয়াস সালাম। ইবনে আজুম রহ. (মৃত: ৯৬০ হি) এর রচনা এটি।
১৩. আস-সালাতু ওয়াল বিশার ফিস সালাতি আলা সাইয়্যিদিল বাশার। আল্লামা ফাইরুজাবাদী রহ. (মৃত.৮১৭ হি) এটি রচনা করেছেন।
১৪. ফাযলুস সালাতি আলান নাবী স.। আহমাদ ইবনে ফারেস রহ. (মৃত:৩৯৫ হি) এটি রচনা করেছেন।
১৫.ফাযলুস সালাতি আলান নাবী স.। আবুল ফাতাহ ইবনুস সাইয়্যিদ আল-ইয়ামারী, (মৃত: ৭৩২ হি:)
১৬.ফাযলুস সালাতি আলান নাবী স.। মুহিব আত-ত্ববারী রহ.(মৃত: ৬৯৪ হি:)
১৭.ফাযলুস সালাতি আলান নাবী স.। হাফেজ আবু আহমাদ আদ-দিমইয়াতী, (মৃত: ৭০২ হি:)
১৮.ফাযলুস সালাতি আলান নাবী স.।হাফেজ আব্দুস সামাদ ইবনে আসাকির (মৃত:৬৮৬ হি:)
১৯.ফাযলুস সালাতি আলান নাবী স.। হাফেজ ইবনে মুহলিহ রহ. (মৃত:৮০৩ হি:)
২০. বুলুগুল ওতার ফিস সালাতি আলা খাইরিল বাশার। ইবনে তুলুন রহ. (মৃত:৯৫২ হি:)
২১. আল ফাজরুল মুনির ফিস সালাতি আলাল-বাশিরিন নাযীর। হাফেজ ইবনে সাদকা আল-লাখমী আল-ফাকিহানী রহ.
২২. ইকদুল জাওহার ফিস সালাতি আলাশ শাফিয়িল মুশাফফা ইউমাল মাহশার। আল্লামা যানজী রহ.।
২৩. মাসালিকুল হুনাফা ইলা মাশারিয়িস সালাতি আলান নাবিয়্যিল মুসতফা। হাফেজ কাসতাল্লানী রহ. (মৃত: ৯২৩ হি) এটি রচনা করেছেন।
মু’জামুল মাউজাতুল মাতরুকা ফিত তা’লিফিল ইসলামী নামক কিতাবে (পৃ.৫২৯-২৬২) আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ আল-হাবশী রাসূল স. এর দুরুদ ও সালাম সংক্রান্ত ৫৩ টি কিতাবের নাম উল্লেখ করেছেন। নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুন,
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করছি, পরবর্তী আলোচনাগুলোতে ইনশাআল্লাহ এই উল্লেখিত কিতাবের সঙ্গে ফাযায়েলে দুরুদের সম্পর্ক এবং উক্ত ঘটনায় বর্ণিত অভিযোগ বিশ্লেষণ করা হবে।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: