রুশদীর উদ্দেশ্যে ইমাম খোমেনীর(রঃ) ফতোয়া একটি ইসলামসম্মত আদেশ
‘দি স্যাটানিক ভার্সেস’ নামে ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বই লেখার দায়ে সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে ইসলামী বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেইনী (রহ.) তাঁর ধর্মীয় কর্তব্য অনুসারে যে খোদায়ী আদেশ জারি করেছিলেন তার পর অনেক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।
মরহুম ইমামের এই আদেশ থেকে এটা আবশ্যক বলে বিবেচিত হয় যে, অভিন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিষয়াবলিতে একে অপরের সাথে হাত মিলানো মুসলিম সমাজের কর্তব্য। আদেশ থেকে আরো প্রকাশিত হয় যে, মুসলিম সমাজ যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের অধিকার ও ধর্ম রক্ষায় সক্ষম।
সালমান রুশদীর এই বইটি কোনো অজ্ঞতাবশত বা কাল্পনিক কাহিনীর বই নয়। এটি হচ্ছে নির্যাতিত জাতিসমূহের বিরুদ্ধে শয়তানি শক্তিসমূহের সুগভীর অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চক্রান্তের একটি অংশ।
মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে হোতারা এ কথা প্রচার করার চেষ্টা করে যে, সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদ- দিয়ে যে ধর্মীয় আদেশ জারি করা হয়েছে তা আবেগের বশবর্তী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদি ত হয়ে করা হয়েছে।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক মারউইন জবিন বলেছেন, ইমাম খোমেইনীর ঐ আদেশ ছিল বিদেশে একটি
চাঞ্চল্য সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক কৃতিত্ব অর্জনের একটি পন্থা।
পশ্চিমা জগতের কতিপয় প্রচারমাধ্যমে বলা হয়, সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ জারির উদ্দেশ্য ছিল ১৯৮৮ সালে ইরাকী শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার পর ইরানী সমাজের সম্ভাব্য অনৈসলামী মনোভাবের বিস্তাররোধ। পাশ্চাত্যের কতিপয় রাজনৈতিক পণ্ডিত লিখেছিলেন, ইরানের ভেতরে-বাইরে ইসলামী বিপ্লবের ভাবধারা চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে এই আদেশ জারি করা হয়।
অবশ্য এ কথা সত্য যে, সালমান রুশদী নিজেই স্বীকার করে যে, সে একজন কাফের বা নাস্তিক। তার বইসমূহের একটিতে সে আল্লাহ তাআলা, পবিত্র কুরআন, মহানবী (সা.), হযরত ইবরাহীম (আ.), হযরত ইসমাঈল (আ.), হযরত বেলাল (রা.) ও মহানবী (সা.)-এর পত্নিগণ সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তি করে। একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও সে এমনটি করেছে। এতে আরো প্রমাণিত হয় যে, রুশদী ইসলামের বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর ও অপরাধমূলক উক্তি করেছে তা করেছে ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যমূলকভাব ে সুস্থ মনে- কোনো অবচেতন মনে নয়।
তাই রুশদীকে মুরতাদ বলে বিবেচনা করা হয়েছে এবং ইসলামের বিভিন্ন মাযহাবের বিশ্বাস অনুসারে সকল ইসলামী কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একমত যে, সালমান রুশদীকে যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তা যথার্থ।
প্রকৃত কথা হচ্ছে, সালমান রুশদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ইমাম খোমেইনী (রহ.) ইসলামী বিশ্বের শীর্ষ নেতা ও কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইসলামের নীতি প্রয়োগ করেছেন এবং ধর্মীয় কর্তব্য পালন করেছেন মাত্র।
তাই ইমাম খোমেইনী যা করেছেন, সত্যিকার অর্থে তা ধর্মীয় কর্তব্যবোধে উদ্দীপ্ত হয়েই করেছেন। এই ধর্মীয় আদেশ বাতিল হতে পারে না। তাঁর এই দীনি আদেশ রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে নয়, নয় অঞ্চলবিশেষ বা বিশ্বের স্বার্থে। এ ধরনের আদেশ ইতিহাসের গভীরে প্রোথিত একটি সত্য।
মহানবী (সা.)-এর আহলে বাইতের সদস্য ষষ্ঠ ইমাম জাফর সাদেক (আ.)-এর বরাত দিয়ে আবু আইয়ুব বলেছেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি নবুওয়াতকে অস্বীকার করলে এবং নবুওয়াতের সত্যতা অমান্য করলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। শাফেয়ী মাযহাবে বিশ্বাস করা হয় যে, মুরতাদ হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে ইসলামের সাথে তার সংযোগ ছিন্ন করেছে এবং এই সংযোগ বিচ্ছিন্নতা হতে পারে ইচ্ছাকৃত অথবা মুখের কথায় অথবা নাস্তিকের মতো কাজের মাধ্যমে।
ইসলামের মালেকী মাযহাবে বিশ্বাস করা হয় যে, ইসলামের কোনো একটি নীতিকে যে অমান্য করে সে মুরতাদ। হযরত ইবরাহীম (আ.) বলেছেন, যে নবী ও ফেরেশতাকুলকে অবমাননা করে সে মুরতাদ।
হানাফী মাযহাবে বলা হয়েছে, ইসলামের মৌলিক বিধান, যেমন নামায, রোযা, যাকাত ইত্যাদি অস্বীকারকারী ব্যক্তি মুরতাদ।
হাম্বলী মাযহাবে বিশ্বাস করা হয় যে, আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকারকারী, খোদার সাথে শরীককারী এবং পবিত্র কুরআন ও নবীকে অমান্যকারী ব্যক্তি মুরতাদ।
ইসলামের শাফেয়ী, হানাফী, হাম্বলী ও মালেকী মাযহাবে বিশ্বাস করা হয় যে, কোনো ব্যক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামকে পরিত্যাগ করলে তার মুরতাদ হওয়া প্রমাণিত হয় এবং তখন তার মৃত্যুদণ্ড অপরিহার্য। মহানবী (সা.)-এর রায়ের ভিত্তিতেই এই বিধান প্রণীত হয়েছে এবং ইসলামের বিধানকে পালন করা ছাড়া এ জাতীয় মৃত্যুদণ্ডাদেশে র পশ্চাতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।
সালমান রুশদীর প্রতি যেসব লোক সহানুভূতি প্রকাশ করতে চায় তাদের এ কথা জানা দরকার যে, সে সারা বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানকে অবমাননা করেছে।
আর এটাও অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে, এসব সহানুভূতি প্রকাশ করা হচ্ছে স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচারের নামে। প্রকৃতপক্ষে সালমান রুশদীর এই কাজ স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচারের প্রকৃতিবিরুদ্ধ।
‘দি স্যাটানিক ভার্সেস’ নামে ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বই লেখার দায়ে সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে ইসলামী বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেইনী (রহ.) তাঁর ধর্মীয় কর্তব্য অনুসারে যে খোদায়ী আদেশ জারি করেছিলেন তার পর অনেক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।
মরহুম ইমামের এই আদেশ থেকে এটা আবশ্যক বলে বিবেচিত হয় যে, অভিন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিষয়াবলিতে একে অপরের সাথে হাত মিলানো মুসলিম সমাজের কর্তব্য। আদেশ থেকে আরো প্রকাশিত হয় যে, মুসলিম সমাজ যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের অধিকার ও ধর্ম রক্ষায় সক্ষম।
সালমান রুশদীর এই বইটি কোনো অজ্ঞতাবশত বা কাল্পনিক কাহিনীর বই নয়। এটি হচ্ছে নির্যাতিত জাতিসমূহের বিরুদ্ধে শয়তানি শক্তিসমূহের সুগভীর অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চক্রান্তের একটি অংশ।
মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে হোতারা এ কথা প্রচার করার চেষ্টা করে যে, সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদ- দিয়ে যে ধর্মীয় আদেশ জারি করা হয়েছে তা আবেগের বশবর্তী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদি
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের
পশ্চিমা জগতের কতিপয় প্রচারমাধ্যমে বলা হয়, সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ জারির উদ্দেশ্য ছিল ১৯৮৮ সালে ইরাকী শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার পর ইরানী সমাজের সম্ভাব্য অনৈসলামী মনোভাবের বিস্তাররোধ। পাশ্চাত্যের কতিপয় রাজনৈতিক পণ্ডিত লিখেছিলেন, ইরানের ভেতরে-বাইরে ইসলামী বিপ্লবের ভাবধারা চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে এই আদেশ জারি করা হয়।
অবশ্য এ কথা সত্য যে, সালমান রুশদী নিজেই স্বীকার করে যে, সে একজন কাফের বা নাস্তিক। তার বইসমূহের একটিতে সে আল্লাহ তাআলা, পবিত্র কুরআন, মহানবী (সা.), হযরত ইবরাহীম (আ.), হযরত ইসমাঈল (আ.), হযরত বেলাল (রা.) ও মহানবী (সা.)-এর পত্নিগণ সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তি করে। একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও সে এমনটি করেছে। এতে আরো প্রমাণিত হয় যে, রুশদী ইসলামের বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর ও অপরাধমূলক উক্তি করেছে তা করেছে ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যমূলকভাব
তাই রুশদীকে মুরতাদ বলে বিবেচনা করা হয়েছে এবং ইসলামের বিভিন্ন মাযহাবের বিশ্বাস অনুসারে সকল ইসলামী কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একমত যে, সালমান রুশদীকে যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তা যথার্থ।
প্রকৃত কথা হচ্ছে, সালমান রুশদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ইমাম খোমেইনী (রহ.) ইসলামী বিশ্বের শীর্ষ নেতা ও কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইসলামের নীতি প্রয়োগ করেছেন এবং ধর্মীয় কর্তব্য পালন করেছেন মাত্র।
তাই ইমাম খোমেইনী যা করেছেন, সত্যিকার অর্থে তা ধর্মীয় কর্তব্যবোধে উদ্দীপ্ত হয়েই করেছেন। এই ধর্মীয় আদেশ বাতিল হতে পারে না। তাঁর এই দীনি আদেশ রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে নয়, নয় অঞ্চলবিশেষ বা বিশ্বের স্বার্থে। এ ধরনের আদেশ ইতিহাসের গভীরে প্রোথিত একটি সত্য।
মহানবী (সা.)-এর আহলে বাইতের সদস্য ষষ্ঠ ইমাম জাফর সাদেক (আ.)-এর বরাত দিয়ে আবু আইয়ুব বলেছেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি নবুওয়াতকে অস্বীকার করলে এবং নবুওয়াতের সত্যতা অমান্য করলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। শাফেয়ী মাযহাবে বিশ্বাস করা হয় যে, মুরতাদ হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে ইসলামের সাথে তার সংযোগ ছিন্ন করেছে এবং এই সংযোগ বিচ্ছিন্নতা হতে পারে ইচ্ছাকৃত অথবা মুখের কথায় অথবা নাস্তিকের মতো কাজের মাধ্যমে।
ইসলামের মালেকী মাযহাবে বিশ্বাস করা হয় যে, ইসলামের কোনো একটি নীতিকে যে অমান্য করে সে মুরতাদ। হযরত ইবরাহীম (আ.) বলেছেন, যে নবী ও ফেরেশতাকুলকে অবমাননা করে সে মুরতাদ।
হানাফী মাযহাবে বলা হয়েছে, ইসলামের মৌলিক বিধান, যেমন নামায, রোযা, যাকাত ইত্যাদি অস্বীকারকারী ব্যক্তি মুরতাদ।
হাম্বলী মাযহাবে বিশ্বাস করা হয় যে, আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকারকারী, খোদার সাথে শরীককারী এবং পবিত্র কুরআন ও নবীকে অমান্যকারী ব্যক্তি মুরতাদ।
ইসলামের শাফেয়ী, হানাফী, হাম্বলী ও মালেকী মাযহাবে বিশ্বাস করা হয় যে, কোনো ব্যক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামকে পরিত্যাগ করলে তার মুরতাদ হওয়া প্রমাণিত হয় এবং তখন তার মৃত্যুদণ্ড অপরিহার্য। মহানবী (সা.)-এর রায়ের ভিত্তিতেই এই বিধান প্রণীত হয়েছে এবং ইসলামের বিধানকে পালন করা ছাড়া এ জাতীয় মৃত্যুদণ্ডাদেশে
সালমান রুশদীর প্রতি যেসব লোক সহানুভূতি প্রকাশ করতে চায় তাদের এ কথা জানা দরকার যে, সে সারা বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানকে অবমাননা করেছে।
আর এটাও অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে, এসব সহানুভূতি প্রকাশ করা হচ্ছে স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচারের নামে। প্রকৃতপক্ষে সালমান রুশদীর এই কাজ স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচারের প্রকৃতিবিরুদ্ধ।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: