Friday, May 15, 2020

রামাদানে যেসব ভুল করা যাবে না

রামাদানে যেসব ভুল করা যাবে না
[এক.]
সাহরি খাওয়ার পর ফজরের সলাত আদায় না করে বিছানায় যাবেন না। শরীর তখন প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকে, ফলে কখন-যে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যাবেন আর ফজরের নামাজ মিস করে ফেলবেন, তা টেরই পাবেন না।

[দুই.]
পুকুরে বা নদীতে সাঁতার কাটা থেকে বিরত থাকা উচিত। অনিচ্ছাসত্ত্বেও যদি পানি ঢুকে যায়, রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। অতএব, সতর্ক থাকা দরকার। তাছাড়া ফরজ গোসল বা সাধারণ অজুতে গড়গড় করে কুলি করবেন না এবং নাকের ভেতর পানি দেওয়ার সময়ও যথাযথ সতর্ক থাকবেন, যাতে পানি ভেতরে চলে না যায়।

[তিন.]
বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত ইউটিউব সার্ফিং করা থেকে বিরত থাকুন। ভালো কিছু দেখতে গেলেও অনেক আজে বাজে ভিডিওর সাজেশন আসবে। ইচ্ছা না থাকলেও কৌতূহল মেটাতে গিয়ে হয়ত দেখতে থাকবেন—রোজার মর্যাদা কমবে, অন্তর শক্ত হতে থাকবে এবং মানসিক প্রশান্তি নষ্ট হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না—গান শুনে, মুভি বা নাটক দেখে রোজার সর্বনাশ করা যাবে না।

[চার.]
ফেইসবুক অ্যাপের videos আইকনটি হাইড করে দিন। কারণ, এই আইকনটি ফিতনার দরজা খুলে দেয়। ক্লিক করবেন তো মহাসমুদ্রে গিয়ে পড়বেন। হরেক রকমের ভিডিও দেখতে দেখতে রোজার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য বিনষ্ট হবে।

[পাঁচ.]
অনেকেই রোজার দিনগুলো অতিরিক্ত ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন। এটা একদমই উচিত নয়। রোজার প্রতিটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কবরবাসীরা একটি দিনের জন্য দুনিয়াতে ফিরতে পারতো, তবে তারা রমাদানের কোনো একটি দিন চাইতো।

[ছয়.]
ইফতারকে সুস্বাদু ও জাঁকজমকপূর্ণ করতে গিয়ে অনেকেই ইফতারের পূর্বের মহামূল্যবান সময়টা নষ্ট করে ফেলেন। অথচ ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দু‘আ কবুল হয়। এ সময়ে বেশি করে ইস্তিগফার ও দু‘আ করা উচিত।

[সাত.]
অনেকেই রামাদানে দ্রুত কুরআন খতম করতে গিয়ে তিলাওয়াতের হক আদায় করেন না। বেশি খতমের আকাঙ্ক্ষায় এমনভাবে তিলাওয়াত করবেন না যে, পড়া সহিহ হয় না। এতে তেমন ফায়দা হবে না। যেটুকু পড়বেন, ধীরে-সুস্থে, আগ্রহ সহকারে, ভালোবাসা নিয়ে পড়বেন। পরিমাণ কম হলেও আল্লাহ্ এতে বেশি খুশি হবেন। রমাদানে কোয়ান্টিটির চেয়ে কোয়ালিটিকে প্রধান্য দিন।

[আট.]
রামাদান মাসে অনেকের খরচ বেড়ে যায়। এত এত আইটেম আর এত এত দামি খাবার খান, ফলে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ হয়ে যায়। এছাড়া শেষ দিকে ঈদের শপিংয়ের জন্য সেইরকম তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। এগুলো একদম অনুচিত। রামাদানের মূল কনসার্ন হওয়া উচিত ইবাদত, গুনাহ মাফ করানো এবং তাকওয়া অর্জন করা।

[নয়.]
রোজার সময় কাটানোর জন্য অনেকে বিভিন্ন অলস খেলাধুলায় (লুডু, দাবা, কেরাম) লিপ্ত হন, যেগুলোতে ন্যূনতম শরীরচর্চাও হয় না। এই খেলাগুলো এমনিতেই শরিয়ত সমর্থন করে না, আবার এসব খেলে রোজার সময় কাটান অনেকে। আবার কারো দিন কাটে সোশাল মিডিয়াতে ফান-ট্রল করে, গান শুনে, মুভি দেখে। এগুলো সবই রোজার শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক—আত্মাকে কলুষিত করে।

[দশ.]
অনেকে রামাদানের অর্জনকে ঈদের দিনেই শেষ করে দেন। আড্ডা, গান, নেশা, নাটক-মুভি, গিবত, কুদৃষ্টি—সবকিছু যেন আগের রূপে ফিরে আসে। তারা ভুলে যান—কষ্টকর রোজা, তাহাজ্জুদের নামাজ, আন্তরিক মুনাজাত, পবিত্র কুরআনের মধুর তিলাওয়াত আর ইফতারের আনন্দের কধা। দীর্ঘ এক মাসের শারীরিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণ সব বৃথা করে দেন। এটি খুবই দুঃখজনক।

Monday, September 7, 2015

আহলে বাইত ও ১২ ইমাম

আহলে বাইত ও ১২ ইমাম
কোরআনে উল্লেখিত আহলে বাইতের পরিচয় হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম ও ১২ ইমাম আলাইহিস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা শিক্ষা নেয়া মু’মিন-মুসলমানগণ উনাদের দায়িত্ব-কর্তব্য।

আহলে বাইত ৪ জন:
১. সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কারমাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম।
২. সাইয়্যিদুনা হযরত ফাতিমাতুয্ আলাইহাস সালাম।
৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম।
৪. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম।

নবী বংশের ১২ ইমাম যাদের আমরা অনেকে চিনি আসুন তাদের নাম জানি খুব শিঘ্রই তাদের জীবনী ইতিহাস প্রকাশ করা হবে ইনশা আল্লাহ

আর ১২ ইমাম হচ্ছেন:
১. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী ইবনে আবূ তালিব আলাইহিস সালাম।
২. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান ইবনে আলী আলাইহিস সালাম।
৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন ইবনে আলী আলাইহিস সালাম।
৪. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী আওসাত যাইনুল আবিদীন ইবনে ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম।
৫. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম বাকির ইবনে যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম।
৬. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক ইবনে বাকির আলাইহিস সালাম।
৭. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মূসা কাযিম ইবনে জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম।
৮. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী রিযা ইবনে মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম।
৯. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মুহম্মদ তক্বী ইবনে আলী রিযা আলাইহিস সালাম।
১০. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী নক্বী ইবনে মুহম্মদ তক্বী আলাইহিস সালাম।
১১. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আসকারী ইবনে আলী নক্বী আলাইহিস সালাম।
১২. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মুহম্মদ আহমদ মাহদী আলাইহিস সালাম ইবনে হাসান আসকারী আলাইহিস সালাম।

উনাদের প্রত্যেকেরই  সম্পর্ক নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সরাসরি রক্তজ সম্পর্ক হে আল্লাহ পাক, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ মুহব্বত আমাদের অন্তরে দান করুন। (আমীন)