ফজরের পর ঘুমের অভ্যাস ত্যাগ করতেই হবে, যত কষ্টই হোক। এসময় পড়াশোনাসহ যেকোন কাজ করুন, বরকত পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের ভোরবেলার মধ্যে তাদের বরকত দাও।’ [আবু দাউদ: হাদিস নং- ২৬০৮]
ইবনুল কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, "দিনের প্রথম অংশটি একজন ব্যক্তির যৌবনকালের মত। ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠুন এবং আপনার সকালকে কাজে লাগান।"
যারা ফজরের সলাতই পড়েন না বা পড়তে পারেন না, তারা নিঃসন্দেহে লুজার, হতভাগা। কারণ তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কোনো দায় নেই। সহিহ হাদিসে এসেছে, ফজরের সলাত পড়লে ব্যক্তি আল্লাহর যিম্মায় চলে যায়।
যারা ফজরের সলাত পড়েন তাদেরও বড় একটি অংশ ফজরের পর আবার বিছানায় গা এলিয়ে দেন। এটি বাদ দিতে হবে। কারণ ফজরের পরের সময়টাতে রিযিক বণ্টিত হয় মর্মে সালাফগণের উক্তি আছে। এ সময়ে ঘুমানো মানে নিজের লস। এছাড়া মুসলমানদের ঐতিহ্যই হলো, ফজরের পর দীর্ঘ সময় নিয়ে যিকর করা ও কুরআন তিলাওয়াত করা। এগুলোর দ্বারা দিনটা শুরু করতে পারলে মনটা অন্যরকম প্রশান্তিতে ভরে ওঠে।
রাতের বেলায় অবশ্যই ১১/১২-টার মধ্যে ঘুমাতে হবে। সম্ভব হলে ১০-টার মধ্যে। তাহলে ইনশাআল্লাহ্ ফজরের পরের ঘুম বাদ দেওয়া সম্ভব হতে পারে। আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের আলস্য দূর করুন। আমীন।
🔎 Tasbeeh
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: