Tuesday, September 15, 2020

বিভিন্ন সূরা ও আয়াতের ফজিলত

সহীহ হাদীসের আলোকে, পবিত্র কুরআন মাজিদের বিভিন্ন সূরা ও আয়াতের ফজিলত .. 

🔘সূরা ফাতিহা

🔘সূরা মূলক

🔘সূরা বাকারা শেষ দুই আয়াত

🔘আয়াতুল কুরসী

🔘সূরা আল-ক্বাহাফ

🔘সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস

উপরোক্ত সূরা এবং আয়াতের সংক্ষিপ্ত ফজিলত নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ-

🔳ফজিলত ০১

🔳সূরা ফাতিহা

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-

'সূরা ফাতিহা' কে আল্লাহ তা'আলা তাঁর ও বান্দার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন, বান্দা যখন নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করে প্রতিটি আয়াতের জবাব আল্লাহ তা'আলা নিজে জবাব দেন।'

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-

'সুরা ফাতিহা রোগ সারায়।'

🔳ফজিলতঃ-০২

🔳সূরা মূলক

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-

'সূরা মুলক' তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষ অবধি পাঠককে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।'

🔳ফজিলতঃ-০৩

🔳সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-

'যে ব্যক্তি রাতে 'সূরা বাকারা'র শেষ ২টি আয়াত পাঠ করবে ,তার জন্য ঐ রাতে অপ্রীতিকর জিনিসের মোকাবেলায় ঐ দুইটি আয়াতই যথেষ্ট হবে বা তাহাজ্জুদের সালাত থেকে যথেষ্ট হবে।'

🔳ফজিলতঃ-০৪

🔳আয়াতুল কুরসী

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-

'কুরআনের সবচেয়ে বড় মর্যাদাপূর্ণ আয়াত 'আয়াতুল কুরসী'। যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত তার কাছে শয়তান আসতে পারবে না।'

'যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না।'

🔳ফজিলতঃ-০৫

🔳সূরা আল-ক্বাহাফ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-

'যে ব্যাক্তি 'সূরা আল্-কাহাফ'-এর প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত করে সে দাজ্জালের ফিৎনা হতে নিরাপদ থাকবে।'

শেষ ১০ আয়াতের ব্যাপারেও উল্লিখিত ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে।

'যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে 'সূরা আল-কাহাফ' পাঠ করবে, তার জন্য মহান আল্লাহ দুই জুম’আর মাঝে নূর আলোকিত করবেন'

🔳ফজিলতঃ-০৬

🔳সূরা ইখলাস, সুরা ফালাক্ব এবং সুরা নাস

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-

'সূরা ইখলাস' কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য 'কুল হু ওয়াল্লাহু আহাদ' এর প্রতি ভালবাসা পাঠককে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।'

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-

'যে ব্যাক্তি সকাল-সন্ধ্যায় 'সুরা ইখলাস' সুরা ফালাক্ব এবং 'সুরা নাস' তিনবার করে পড়লো ঐ ব্যাক্তিকে যে কোন (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য এটা যথেষ্ট হবে।'

🔘ফুটনোটঃ-

১) মুসলিম ৯০৪, মিশকাত ৮২৩, বুখারী ৫৭৩৬

২) আবু দাউদ ১৪০০, ইবনু মাজাহ ৩৭৮৬

৩) রিয়াযুস স্বলেহীন ১০২৪, বুখারী ৪০০৮ 

৪) বুখারী ২৩১১, সহীহ আল্ জামে ৬৪৬৪

৫) মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ ও মুসনাদে আহমদ, ইমাম নাসাঈ ও বায়হাকী

৬) মুসলিম ৮১২, তিরমিযী ২৯০১, তিরমিযী ৩৫৭৫, আবূ দাউদ ৫০৮২, নাসায়ী ৫৪২৮, ৫৪২৯। 


ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি

Share This
Previous Post
Next Post

2 comments: