আমরা যদি ভালো উদ্দেশ্যে বা বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করি, তাহলে তা কি ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ আছে? কোনোরূপ খারাপ ঘটনা আমাদের মধ্যে ঘটবে না, শুধু মোবাইলে কথা হবে। এভাবে সম্পর্ক কি রাখা যাবে? যদি পরিবার সমর্থন থাকে তাহলে?
উত্তরঃ বিয়ের আগে
☆প্রেমিকঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি।
☆প্রেমিকাঃ আমিও তোমাকে ভালোবাসি।
☆শয়তানঃ আর আমি তোদের দু'জনকেই ভালোবাসি!
রেফারেন্সঃরাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যেখানে দু'জন বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে একত্রিত হয়, সেখানে তৃতীয়জন হয় শয়তান।``
(সহীহ তিরমিযী, ১১৭১)
এখানে নির্জনে নারী-পুরুষ'কে একত্রিত হতে স্পষ্টত নিষেধ করা হয়েছে।
এখন ধরুন, আপনি বা আমি যদি কারো সাথে মোবাইলে কথা বলি সেটাও কি নির্জনে একত্রিত হওয়া নয় কি ?
কারন আমরা মোবাইলে কথা বলার সময় নির্জনেই কথা বলি। নির্জনেই ম্যাসেজ আদান প্রদান করি এবং দু'জনের মধ্যে কোনোরূপ বাধা থাকে না। (যাদের প্রেম করার এক্সপেরিয়েন্স আছে তারা বিষয়টি ভালোভাবেই বুঝবেন। একসময় কথাবার্তা কতটা অশালীন মূহুর্তে পৌছায়)। যার দ্বারা মুখের ও অন্তরের যিনা হয়। যা স্পষ্ট হারাম।
আল্লাহ্ বলেন, "তোমরা অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেও না"-[আল ইসার ১৭ঃ৩২]
এ বিষয়ে আরো দ্রষ্টব্য-(সহীহ বুখারিঃ৬৩৪৩ ও মুসলিমঃ২৬৫৭)
অশ্লীলতা তো দুরের কথা, এক্ষেত্রে বিনা প্রয়োজনে শালীন'ভাবে কথাবার্তা বলারও বৈধতা নাই মাহরাম নারী-পুরুষের মধ্যে। না প্রেম হিসেবে, না বন্ধুত্ব আর না দোস্ত-দোস্ত বলে ডাকা। কোনটার'ই বৈধতা নেই।
আপনি কীভাবে অপর একটি মেয়ে'কে বা ছেলে'কে "love you jan" বলার সাহস রাখেন?
আপনি তো মুসলিম তাই না?
একটা সাধারন ছেলে বা মেয়ে কীভাবে আপনার জান (জীবন) হতে পারে? আর যদি তাই হয়, তাহলে আপনি ১০০% শিরকের মধ্যে নিমজ্জিত আছেন।
ড. বিলাল ফিলিপ্স রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "স্রষ্টা'র চাইতে সৃষ্টি'কে বেশি ভালোবাস'র নাম'ই শিরক।'' আপনি গালফ্রেন্ডে'র সাথে সারাদিনে ৩০-৪০ বার ফোন দিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু নামাজ'র মাধ্যমে আল্লাহ পাক উনার সাথে ৫ বার কথা বলার সময় পাচ্ছেন না।এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি স্রষ্টা'র চাইতে সৃষ্টি'কে বেশি পরোয়া করলেন। অবশ্যই অবশ্যই আপনি শিরক করলেন।
সুতরাং কোনো non মাহরাম (যার সাথে বিবাহ সম্পর্ক হালাল) নারী বা পুরুষে'র সাথে নির্জনে একত্রিত হওয়া যাবে না। না বাস্তবে, না virtual word এ, আর না মোবাইলে কথা বলার মাধ্যমে।
ইহা স্পষ্ট হারাম আর ব্যভিচারে'র শামিল। ব্যভিচার না করলেও আপনার আমলনামা'য় পাপ লিপিবদ্ধ হবে।
আল্লাহ বলেন, "আমি আমার বান্দা'দের যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করব, কিন্তু শিরকের গুনাহ ব্যতিত।''
(সূরা নিসাঃ৪৮)
অনেকে আবার পরিবারে'র অনুমতি নিয়ে'ই প্রেম করে।ভবিষ্যতে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে এরকম'টা অনেক পরিবার থেকে ঠিক করে রাখা হয়। আফসোস! এসব মূর্খ পরিবারে'র জন্য। যারা তাদের সন্তান'কে যিনা করার অনুমতি দিল এবং যিনা'র পাপে জর্জরিত হলো।
(প্রেম করা এবং অতীব প্রয়োজন ছাড়া কথা বলাও যে ব্যভিচারে'র শামিল তা আগে'ই প্রমান করা হয়েছে)...!!
আরেক'টা কথা মনে রাখা উচিত, "বিয়ের উদ্দেশ্যে যদি প্রেম করা বৈধ হয়, তাহলে হজ্বে'র উদ্দেশ্যে ব্যাংক ডাকাতি করাও বৈধ।''(নাউযুবিল্লাহ্)
"বিয়ের উদ্দেশ্যে যদি প্রেম করা বৈধ হয়, তাহলে কুরবানির উদ্দেশ্যে গরু চুরিও বৈধ" (নাউজুবিল্লাহ)
অতএব, পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও সামাজিক ভাবে প্রেম নামক ব্যভিচার'কে প্রতিরোধ করুন।
জান, প্রান, টুনি পাখি এমন'কি দোস্ত বলেও ডাকা বন্ধ করুন।
বিঃদ্রঃ এতসব জানার পরেও, শোনার পরেও কেউ যদি এই পথ থেকে ফিরে আসার চেষ্টা না করে, তাহলে বুঝতে হবে সে মুসলমান কি না সন্দেহ আছে। তার মুসলমান হওয়াতে ঘাটতি আছে।
আল্লাহ্ আমাদের সহ সবাই'কে হেদায়েত নসিব করুন। তরুন-তরুনী'দের পার্কে'র দিক থেকে দ্বীনি খেদমতে'র পথে ধাবিত হওয়ার তৌফিক দান করুন।
উত্তরঃ বিয়ের আগে
☆প্রেমিকঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি।
☆প্রেমিকাঃ আমিও তোমাকে ভালোবাসি।
☆শয়তানঃ আর আমি তোদের দু'জনকেই ভালোবাসি!
রেফারেন্সঃরাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যেখানে দু'জন বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে একত্রিত হয়, সেখানে তৃতীয়জন হয় শয়তান।``
(সহীহ তিরমিযী, ১১৭১)
এখানে নির্জনে নারী-পুরুষ'কে একত্রিত হতে স্পষ্টত নিষেধ করা হয়েছে।
এখন ধরুন, আপনি বা আমি যদি কারো সাথে মোবাইলে কথা বলি সেটাও কি নির্জনে একত্রিত হওয়া নয় কি ?
কারন আমরা মোবাইলে কথা বলার সময় নির্জনেই কথা বলি। নির্জনেই ম্যাসেজ আদান প্রদান করি এবং দু'জনের মধ্যে কোনোরূপ বাধা থাকে না। (যাদের প্রেম করার এক্সপেরিয়েন্স আছে তারা বিষয়টি ভালোভাবেই বুঝবেন। একসময় কথাবার্তা কতটা অশালীন মূহুর্তে পৌছায়)। যার দ্বারা মুখের ও অন্তরের যিনা হয়। যা স্পষ্ট হারাম।
আল্লাহ্ বলেন, "তোমরা অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেও না"-[আল ইসার ১৭ঃ৩২]
এ বিষয়ে আরো দ্রষ্টব্য-(সহীহ বুখারিঃ৬৩৪৩ ও মুসলিমঃ২৬৫৭)
অশ্লীলতা তো দুরের কথা, এক্ষেত্রে বিনা প্রয়োজনে শালীন'ভাবে কথাবার্তা বলারও বৈধতা নাই মাহরাম নারী-পুরুষের মধ্যে। না প্রেম হিসেবে, না বন্ধুত্ব আর না দোস্ত-দোস্ত বলে ডাকা। কোনটার'ই বৈধতা নেই।
আপনি কীভাবে অপর একটি মেয়ে'কে বা ছেলে'কে "love you jan" বলার সাহস রাখেন?
আপনি তো মুসলিম তাই না?
একটা সাধারন ছেলে বা মেয়ে কীভাবে আপনার জান (জীবন) হতে পারে? আর যদি তাই হয়, তাহলে আপনি ১০০% শিরকের মধ্যে নিমজ্জিত আছেন।
ড. বিলাল ফিলিপ্স রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "স্রষ্টা'র চাইতে সৃষ্টি'কে বেশি ভালোবাস'র নাম'ই শিরক।'' আপনি গালফ্রেন্ডে'র সাথে সারাদিনে ৩০-৪০ বার ফোন দিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু নামাজ'র মাধ্যমে আল্লাহ পাক উনার সাথে ৫ বার কথা বলার সময় পাচ্ছেন না।এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি স্রষ্টা'র চাইতে সৃষ্টি'কে বেশি পরোয়া করলেন। অবশ্যই অবশ্যই আপনি শিরক করলেন।
সুতরাং কোনো non মাহরাম (যার সাথে বিবাহ সম্পর্ক হালাল) নারী বা পুরুষে'র সাথে নির্জনে একত্রিত হওয়া যাবে না। না বাস্তবে, না virtual word এ, আর না মোবাইলে কথা বলার মাধ্যমে।
ইহা স্পষ্ট হারাম আর ব্যভিচারে'র শামিল। ব্যভিচার না করলেও আপনার আমলনামা'য় পাপ লিপিবদ্ধ হবে।
আল্লাহ বলেন, "আমি আমার বান্দা'দের যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করব, কিন্তু শিরকের গুনাহ ব্যতিত।''
(সূরা নিসাঃ৪৮)
অনেকে আবার পরিবারে'র অনুমতি নিয়ে'ই প্রেম করে।ভবিষ্যতে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে এরকম'টা অনেক পরিবার থেকে ঠিক করে রাখা হয়। আফসোস! এসব মূর্খ পরিবারে'র জন্য। যারা তাদের সন্তান'কে যিনা করার অনুমতি দিল এবং যিনা'র পাপে জর্জরিত হলো।
(প্রেম করা এবং অতীব প্রয়োজন ছাড়া কথা বলাও যে ব্যভিচারে'র শামিল তা আগে'ই প্রমান করা হয়েছে)...!!
আরেক'টা কথা মনে রাখা উচিত, "বিয়ের উদ্দেশ্যে যদি প্রেম করা বৈধ হয়, তাহলে হজ্বে'র উদ্দেশ্যে ব্যাংক ডাকাতি করাও বৈধ।''(নাউযুবিল্লাহ্)
"বিয়ের উদ্দেশ্যে যদি প্রেম করা বৈধ হয়, তাহলে কুরবানির উদ্দেশ্যে গরু চুরিও বৈধ" (নাউজুবিল্লাহ)
অতএব, পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও সামাজিক ভাবে প্রেম নামক ব্যভিচার'কে প্রতিরোধ করুন।
জান, প্রান, টুনি পাখি এমন'কি দোস্ত বলেও ডাকা বন্ধ করুন।
বিঃদ্রঃ এতসব জানার পরেও, শোনার পরেও কেউ যদি এই পথ থেকে ফিরে আসার চেষ্টা না করে, তাহলে বুঝতে হবে সে মুসলমান কি না সন্দেহ আছে। তার মুসলমান হওয়াতে ঘাটতি আছে।
আল্লাহ্ আমাদের সহ সবাই'কে হেদায়েত নসিব করুন। তরুন-তরুনী'দের পার্কে'র দিক থেকে দ্বীনি খেদমতে'র পথে ধাবিত হওয়ার তৌফিক দান করুন।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: