ছাত্রাবস্থায় বিয়ের চিন্তা, ফ্যান্টাসি নয়, প্রয়োজন কার্যকরী পদক্ষেপের। আজকের লেখায় পয়েন্টভিত্তিক আলোচনার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ। আমাদের এ সমাজে, "প্রেম করা আবেগের নয় কিন্তু বিয়ে করাই আবেগের।
যে সমস্যা গুলো আগেও অনেক আলোচিত হয়েছেঃ
০১. বিয়ে করলে খাওয়াবি কি বউকে?মোহরানা কোত্থেকে দিবি?
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি! অন্তত কিছু তো ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে! রিজিকের জন্য আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার কাছে চাইতে হবে! সে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ১০ম বা ইন্টার থেকেই টিউশনি ভিত্তিক টাকা উপার্জনের চেষ্টা করা উচিত! আপনি যদি টিউশনি করেও প্রতি মাসে(ইন্টার লাইফে)
৭০০০/- বা কমবেশি কামাতে পারেন তাহলে একটা সাপোর্ট পাওয়া যাবে!
এ টিউশনি থেকে সম্পুর্ণ টাকা বা কিছু পরিমাণ অর্থ প্রতিমাসে জমা করুন!মোহরানার নিয়্যতে!
প্রতিমাসে যদি ৩,০০০/- বা ৭,০০০/- করেও জমান তাহলে ১০ মাস পর ৩০,০০০/- অথবা ৭০,০০০ টাকা হয়ে যাবে!
[*উল্লেখ্য আর্থিক ইনকাম কম বেশি হতে পারে।
*যাদের ইন্টার শেষ তারা এখন থেকেই শুরু করতে পারি চাইলে ]
এরপর জোর দিয়ে কথা বলা যাবে!
যত বেশি সম্ভব হালাল রোজগারের দিকে ঝুঁকে পড়া উচিত!
মোহরানার তো ব্যবস্থা হয়ে গেলো,এবার খাওয়ানোর ব্যাপারে আসলে একটা ব্যবস্থা করা যায়!
প্রথমত,বিয়েটা দুভাবে করা যায় ছাত্রাবস্থায়!
০১. বউ বউয়ের বাপের বাড়িতে থাকুক! পড়াশোনা চলুক!শুধু আকদটা হয়ে যাবে।হালালভাবে প্রেম করুক!
ছেলে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ঘরে তুলুক!
০২. দ্বিতীয়ত,বিয়ে করেই ঘরে তুলতে পারবে!
এক্ষেত্রে বউকে ছাড় দিতে হবে কিছুটা!
নতুবা স্বামীর উপর চাপ বেড়েই যাবে!
অযাচিত খরচ কমাতে হবে চাহিদা হালকা কমাতে হবে!
একটু কষ্ট করে চলতে হতে পারে।
তবে এতটুকু নিশ্চিত থাকেন দ্বীনের জন্য বিয়ে করলে আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালাই তার রিজিকের দায়িত্ব নিবেন,সো টেনশন কিসের?
[আল্লাহু আলাম]
০২. কোন মেয়ের বাবা দিবে কি বিয়ে?
এক্ষেত্রে মেয়েদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য!
দ্বীনদার পাত্র বাছাইয়ের উপায় বলেছিলাম যেখানে বলেছিলাম আক্বীদাগত ব্যাপারে ছাড় না দিতে,
সব যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে মেয়ের পরিবার চাইলেই ছেলেকে প্রস্তাব পাঠাতে পারে, আবার ছেলেও পারে!
তবে এটা একটু রিস্কি! এ কারণেই যে, দ্বীনদারিতা বাহ্যত দেখা গেলেও লেবাসের আড়াল হতেও পারে(আস্তাগফিরুল্লাহ)। তবে সহজভাবে দ্বীনদারিতা বোঝার উপায়,তার আক্বীদার অবস্থান দেখে!
সেজন্য আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে!
ছেলেদেরও উচিত কোন মেয়েকে ভালো লাগলে, প্রস্তাব দেয়া।
যদি বৈধ উপায়ে জানা যায় যে, মেয়ে রাজি!
তবে মেয়ের বাবা, চাচা যদি থেকে থাকে তাহলে কৌশলে তাদের সাথে যোগাযোগ করা, ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা, দ্বীনের বিভিন্ন ব্যাপার শেয়ার করা!
আস্থা অর্জন করার চেষ্টা করা!
প্রস্তাবে যদি মেয়ে অথবা ছেলে রাজি না হয়, তাহলে সুন্দরভাবে নিষেধ করা উচিত! দোষত্রুটি না বলে! এতে রাগও করা উচিত না!
বরং স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা উচিত!
এটা ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে!
প্রধান ভয় থাকে আল্লাহ!সে যদি রাজি না হয়!
আরে ভাই!শোন রাজি না হলে সমস্যা আছে?তুমি কি হারাম কিছুর জন্য প্রস্তাব দিচ্ছো?তো!
একই ব্যাপার মেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য! শরঈভাবে!
এক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা ছেলে আর মেয়েকেই পালন করতে হয়।কারণ,এদের দুজন দ্বীনের জন্য অবৈধ সম্পর্ক না করে বিয়ে করতে চাইলে আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার সাহায্যে পারবেন ইনশাআল্লাহ!
এতে সাময়িক বাঁধা হতে পারে এই জাহেলী সমাজ!
তবে পিতামাতার আস্থা অর্জন করার চেষ্টা আগে করা উচিত!
এরপর বিয়ের কথাটা বলা উচিত!
এরপরও বাঁধার সম্মুখীন হলে আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার পরীক্ষা হিসেবে নিন!
তাঁর কাছে চাইতেই থাকুন!
এ পোষ্ট মূলত দ্বীনের পথে চলার চেষ্টাকারী দের জন্য!
অবৈধ প্রেমঘটিত বিয়েকে উৎসাহিত করি না!
এতে দুনিয়াবি লোভ থাকে!
কিন্তু দ্বীনদারিতার জন্য যারা অবৈধ সম্পর্ক না করে বিয়ে করতে চাই,তাদের জন্যই এ পোষ্ট!
সৌন্দর্যের চেয়ে দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য দিন!
আর সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে চক্ষুশীতলকারি চান!সূরা ফুরক্বানের ৭৪ নং আয়াত!
শুনুন!
আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার নিকট বিশ্বাস রেখে চান যে আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা দিবেনই!
তবে কাউকে নাম ধরে চাওয়া অনুচিত!
কেউ যদি চায়, "হে আল্লাহ!সে যদি আমার জন্য উত্তম হয়ে থাকে তবে এনে দাও!নতুবা উত্তম কাউকে দাও!"
ফিত্না থেকে বাঁচতে নিজ থেকেই পদক্ষেপ নিন
!
ফ্যান্টাসিতে না ভুগে কার্যকরী পদক্ষেপ নিন!
বেশি বেশি এস্তেগফার(আস্তাগফিরুল্লাহ) করুন,
দরুদ(স্বলাতে যেটা পড়েন ওটাই পড়ুন! বানোয়াট দরুদ নয়) পাঠ করুন,
আক্বীদাগতভাবে নিজে পরিশুদ্ধ হোন!
শির্ক বিদাত পরিত্যাগ করুন!
ইল্ম অর্জন করুন,
রিজিলের তালাশ করুন,
নফল স্বলাত পড়ুন এবং নফল স্বলাতের সিজদায় দোয়া করতে থাকুন!
মনে করে সিরিয়া, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আরাকান,উইঘুর সহ বিশ্বে নির্যাতিত সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করুন!
বেশি বেশি সূরা ফুরক্বানের ৭৪ নং আয়াত পড়ুন।
যে সমস্যা গুলো আগেও অনেক আলোচিত হয়েছেঃ
০১. বিয়ে করলে খাওয়াবি কি বউকে?মোহরানা কোত্থেকে দিবি?
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি! অন্তত কিছু তো ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে! রিজিকের জন্য আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার কাছে চাইতে হবে! সে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ১০ম বা ইন্টার থেকেই টিউশনি ভিত্তিক টাকা উপার্জনের চেষ্টা করা উচিত! আপনি যদি টিউশনি করেও প্রতি মাসে(ইন্টার লাইফে)
৭০০০/- বা কমবেশি কামাতে পারেন তাহলে একটা সাপোর্ট পাওয়া যাবে!
এ টিউশনি থেকে সম্পুর্ণ টাকা বা কিছু পরিমাণ অর্থ প্রতিমাসে জমা করুন!মোহরানার নিয়্যতে!
প্রতিমাসে যদি ৩,০০০/- বা ৭,০০০/- করেও জমান তাহলে ১০ মাস পর ৩০,০০০/- অথবা ৭০,০০০ টাকা হয়ে যাবে!
[*উল্লেখ্য আর্থিক ইনকাম কম বেশি হতে পারে।
*যাদের ইন্টার শেষ তারা এখন থেকেই শুরু করতে পারি চাইলে ]
এরপর জোর দিয়ে কথা বলা যাবে!
যত বেশি সম্ভব হালাল রোজগারের দিকে ঝুঁকে পড়া উচিত!
মোহরানার তো ব্যবস্থা হয়ে গেলো,এবার খাওয়ানোর ব্যাপারে আসলে একটা ব্যবস্থা করা যায়!
প্রথমত,বিয়েটা দুভাবে করা যায় ছাত্রাবস্থায়!
০১. বউ বউয়ের বাপের বাড়িতে থাকুক! পড়াশোনা চলুক!শুধু আকদটা হয়ে যাবে।হালালভাবে প্রেম করুক!
ছেলে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ঘরে তুলুক!
০২. দ্বিতীয়ত,বিয়ে করেই ঘরে তুলতে পারবে!
এক্ষেত্রে বউকে ছাড় দিতে হবে কিছুটা!
নতুবা স্বামীর উপর চাপ বেড়েই যাবে!
অযাচিত খরচ কমাতে হবে চাহিদা হালকা কমাতে হবে!
একটু কষ্ট করে চলতে হতে পারে।
তবে এতটুকু নিশ্চিত থাকেন দ্বীনের জন্য বিয়ে করলে আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালাই তার রিজিকের দায়িত্ব নিবেন,সো টেনশন কিসের?
[আল্লাহু আলাম]
০২. কোন মেয়ের বাবা দিবে কি বিয়ে?
এক্ষেত্রে মেয়েদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য!
দ্বীনদার পাত্র বাছাইয়ের উপায় বলেছিলাম যেখানে বলেছিলাম আক্বীদাগত ব্যাপারে ছাড় না দিতে,
সব যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে মেয়ের পরিবার চাইলেই ছেলেকে প্রস্তাব পাঠাতে পারে, আবার ছেলেও পারে!
তবে এটা একটু রিস্কি! এ কারণেই যে, দ্বীনদারিতা বাহ্যত দেখা গেলেও লেবাসের আড়াল হতেও পারে(আস্তাগফিরুল্লাহ)। তবে সহজভাবে দ্বীনদারিতা বোঝার উপায়,তার আক্বীদার অবস্থান দেখে!
সেজন্য আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে!
ছেলেদেরও উচিত কোন মেয়েকে ভালো লাগলে, প্রস্তাব দেয়া।
যদি বৈধ উপায়ে জানা যায় যে, মেয়ে রাজি!
তবে মেয়ের বাবা, চাচা যদি থেকে থাকে তাহলে কৌশলে তাদের সাথে যোগাযোগ করা, ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা, দ্বীনের বিভিন্ন ব্যাপার শেয়ার করা!
আস্থা অর্জন করার চেষ্টা করা!
প্রস্তাবে যদি মেয়ে অথবা ছেলে রাজি না হয়, তাহলে সুন্দরভাবে নিষেধ করা উচিত! দোষত্রুটি না বলে! এতে রাগও করা উচিত না!
বরং স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা উচিত!
এটা ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে!
প্রধান ভয় থাকে আল্লাহ!সে যদি রাজি না হয়!
আরে ভাই!শোন রাজি না হলে সমস্যা আছে?তুমি কি হারাম কিছুর জন্য প্রস্তাব দিচ্ছো?তো!
একই ব্যাপার মেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য! শরঈভাবে!
এক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা ছেলে আর মেয়েকেই পালন করতে হয়।কারণ,এদের দুজন দ্বীনের জন্য অবৈধ সম্পর্ক না করে বিয়ে করতে চাইলে আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার সাহায্যে পারবেন ইনশাআল্লাহ!
এতে সাময়িক বাঁধা হতে পারে এই জাহেলী সমাজ!
তবে পিতামাতার আস্থা অর্জন করার চেষ্টা আগে করা উচিত!
এরপর বিয়ের কথাটা বলা উচিত!
এরপরও বাঁধার সম্মুখীন হলে আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার পরীক্ষা হিসেবে নিন!
তাঁর কাছে চাইতেই থাকুন!
এ পোষ্ট মূলত দ্বীনের পথে চলার চেষ্টাকারী দের জন্য!
অবৈধ প্রেমঘটিত বিয়েকে উৎসাহিত করি না!
এতে দুনিয়াবি লোভ থাকে!
কিন্তু দ্বীনদারিতার জন্য যারা অবৈধ সম্পর্ক না করে বিয়ে করতে চাই,তাদের জন্যই এ পোষ্ট!
সৌন্দর্যের চেয়ে দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য দিন!
আর সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে চক্ষুশীতলকারি চান!সূরা ফুরক্বানের ৭৪ নং আয়াত!
শুনুন!
আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার নিকট বিশ্বাস রেখে চান যে আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা দিবেনই!
তবে কাউকে নাম ধরে চাওয়া অনুচিত!
কেউ যদি চায়, "হে আল্লাহ!সে যদি আমার জন্য উত্তম হয়ে থাকে তবে এনে দাও!নতুবা উত্তম কাউকে দাও!"
ফিত্না থেকে বাঁচতে নিজ থেকেই পদক্ষেপ নিন
!
ফ্যান্টাসিতে না ভুগে কার্যকরী পদক্ষেপ নিন!
বেশি বেশি এস্তেগফার(আস্তাগফিরুল্লাহ) করুন,
দরুদ(স্বলাতে যেটা পড়েন ওটাই পড়ুন! বানোয়াট দরুদ নয়) পাঠ করুন,
আক্বীদাগতভাবে নিজে পরিশুদ্ধ হোন!
শির্ক বিদাত পরিত্যাগ করুন!
ইল্ম অর্জন করুন,
রিজিলের তালাশ করুন,
নফল স্বলাত পড়ুন এবং নফল স্বলাতের সিজদায় দোয়া করতে থাকুন!
মনে করে সিরিয়া, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আরাকান,উইঘুর সহ বিশ্বে নির্যাতিত সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করুন!
বেশি বেশি সূরা ফুরক্বানের ৭৪ নং আয়াত পড়ুন।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: