কেবলার দিকে পা দেয়া কি মাকরুহ? নাকি এটা জায়েজ। এতে অসুবিধে নেই? এই ব্যাপারটা নিয়ে মুহাক্কিক ও গবেষকদের ৩ রকম মত আছে।
১- কেবলার দিকে পা দেয়া বা পিঠ দেয়াতে কোন অসুবিধে নেই।
২- কেবলার দিকে পা দেয়া মাকরুহ।
৩- কাবা শরীফ সামনে থাকলে মাকরুহ। অন্যথায় মক্কার বাইরে, সাধারণ অবস্থায় মাকরুহ নয়।
১-/ কেবলার দিকে পা দেয়া জায়েজ। মাকরুহ নয়-
এ মত দিয়েছেন, অনেক আলেম। তারমধ্যে শায়েখ বিন বাজ, শায়খ সালেহ আল উসাইমিন, ইবনে রজব হানবলী রহ. প্রমুখ!
তাদের বক্তব্য হলো, কেবলার দিকে পা দেয়া যাবে না মর্মে কোন হাদিস নেই। তাছাড়া অনেক সময় প্রয়োজন হয় কেবলারর দিকে পা দেয়ার। যেমন অসুস্থ ব্যক্তিকেও কেবলার দিকে পা দিতে হয় অনেক সময়।
২-/ কাবা সামনে থাকলে কেবলার দিকে পা দেয়া মাকরুহ
আল্লামা ইবনুল মুফলিহ (ইমাম যাহাবী ও ইবনে তায়মিয়া রহ. এর ছাত্র ও হানবলী মাজহাবের ফকীহ) তার কিতাব আলআদাবুশ শারইয়্যাহ গ্রন্থে এই প্রসংগে লিখেন "অনেক হানাফী ফকীহগণ, কেবলার দিকে পা দেয়াকে না জায়েজ বলেছেন। এটা যদি সরাসরি কাবার সামনে হয়, তাহলে ঠিক আছে । কিন্তু কাবা থেকে বহু দূরে, আড়ালে যে আছে তার জন্যে কেবলার দিকে পা দেয়া নাজায়েজ হওয়ার দলীল নেই।"
৩-/ কেবলার দিকে পা দেয়া মাকরুহ।
এমত দিয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে উপমহাদেশ অঞ্চলের অনেক ফকীহ। তাদের দলীল হচ্ছে,
আল্লাহ্ বলেন,
ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
“এই কারণে যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শন সমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, এটা তো তার হৃদয়ের তাকওয়ারই পরিচয়।” [ সূরা হাজ্জ- ৩২]
ان الصفا والمرآة من شعائر الله
আল্লাহ তায়ালা (শায়াইর) হজ্বের নিদর্শন সমূহকে সম্মান করতে বলেছেন। সুতরাং সেটাকে যথাসম্ভব অসম্মান না করা উচিত। যেহেতু আমাদের অঞ্চলে কারো দিকে পা দেয়াটা অসম্মান, এমনকি সব আলেম একমত যে, সামনে পবিত্র কুরআন থাকলে, সেদিক পা দেয়া নাজায়েজ। তাছাড়া, কেবলার দিকে পেশাব পায়খানা করা নিষেধ। কেবলার দিকে থুতু ফেলা নিষেধ। এগুলো হাদিসেই এসেছে। এসবের কারণ হচ্ছে তার সম্মান রক্ষা করা।
একই কারণে কেবলার দিকে পা দেয়া মাকরুহ অর্থাৎ নাজায়েজ। কারণ পা দেয়াটা স্পষ্টত আদবের খেলাফ।
#এ কারণেই ঘুমানোর সময় ক্বিবলার দিকে পা দেয়া মাকরূহ।.
.
يكره مد الرجلين إلى القبلة في النوم وغيره عمدا.
.
[ রাদ্দুল মুহতার,খণ্ড ১, পৃ:৪৩১
ফুকাহাদের মতামত উল্লেখ করা হলো। আমাদের দেশের কিছু আলেম, আরবের আলেমদের অনুসরণ করে বলে থাকেন, পশ্চিম দিকে পা দেয়াতে নিষেধ নেই। আরবদের সংস্কৃতিতে আসলে পা দেয়া, পা লাগাকে ঐভাবে গুরুতর ভাবা হয় না, যেটা আমাদের দেশে ভাবা হয়। তাই এদেশের বেশিরভাগ আলেমগণ, পশ্চিম দিকে পা দেয়াকে নিষেধ করে থাকেন, সম্ভবত এই দেশের পরিবেশ সংস্কৃতি বিবেচনা করে। কারণ, আমরা কোন সম্মানিত ব্যক্তির দিকে পা দেয়া, তার সামনে আসন গেড়ে বসা, কারো গায়ে পা লেগে যাওয়াকে 'তীব্র অসম্মান' ভাবি। সুতরাং, কেবলার দিকেও পা না দেয়াই উচিত। এটা সতর্কতাও বটে! তাছাড়া প্রায় সবার ঐকমত্যে কেবলাকে অসম্মান করে পা দিলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। এই কারণে হলেও, কেবলার দিকে পা দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। -
১- কেবলার দিকে পা দেয়া বা পিঠ দেয়াতে কোন অসুবিধে নেই।
২- কেবলার দিকে পা দেয়া মাকরুহ।
৩- কাবা শরীফ সামনে থাকলে মাকরুহ। অন্যথায় মক্কার বাইরে, সাধারণ অবস্থায় মাকরুহ নয়।
১-/ কেবলার দিকে পা দেয়া জায়েজ। মাকরুহ নয়-
এ মত দিয়েছেন, অনেক আলেম। তারমধ্যে শায়েখ বিন বাজ, শায়খ সালেহ আল উসাইমিন, ইবনে রজব হানবলী রহ. প্রমুখ!
তাদের বক্তব্য হলো, কেবলার দিকে পা দেয়া যাবে না মর্মে কোন হাদিস নেই। তাছাড়া অনেক সময় প্রয়োজন হয় কেবলারর দিকে পা দেয়ার। যেমন অসুস্থ ব্যক্তিকেও কেবলার দিকে পা দিতে হয় অনেক সময়।
২-/ কাবা সামনে থাকলে কেবলার দিকে পা দেয়া মাকরুহ
আল্লামা ইবনুল মুফলিহ (ইমাম যাহাবী ও ইবনে তায়মিয়া রহ. এর ছাত্র ও হানবলী মাজহাবের ফকীহ) তার কিতাব আলআদাবুশ শারইয়্যাহ গ্রন্থে এই প্রসংগে লিখেন "অনেক হানাফী ফকীহগণ, কেবলার দিকে পা দেয়াকে না জায়েজ বলেছেন। এটা যদি সরাসরি কাবার সামনে হয়, তাহলে ঠিক আছে । কিন্তু কাবা থেকে বহু দূরে, আড়ালে যে আছে তার জন্যে কেবলার দিকে পা দেয়া নাজায়েজ হওয়ার দলীল নেই।"
৩-/ কেবলার দিকে পা দেয়া মাকরুহ।
এমত দিয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে উপমহাদেশ অঞ্চলের অনেক ফকীহ। তাদের দলীল হচ্ছে,
আল্লাহ্ বলেন,
ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
“এই কারণে যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শন সমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, এটা তো তার হৃদয়ের তাকওয়ারই পরিচয়।” [ সূরা হাজ্জ- ৩২]
ان الصفا والمرآة من شعائر الله
আল্লাহ তায়ালা (শায়াইর) হজ্বের নিদর্শন সমূহকে সম্মান করতে বলেছেন। সুতরাং সেটাকে যথাসম্ভব অসম্মান না করা উচিত। যেহেতু আমাদের অঞ্চলে কারো দিকে পা দেয়াটা অসম্মান, এমনকি সব আলেম একমত যে, সামনে পবিত্র কুরআন থাকলে, সেদিক পা দেয়া নাজায়েজ। তাছাড়া, কেবলার দিকে পেশাব পায়খানা করা নিষেধ। কেবলার দিকে থুতু ফেলা নিষেধ। এগুলো হাদিসেই এসেছে। এসবের কারণ হচ্ছে তার সম্মান রক্ষা করা।
একই কারণে কেবলার দিকে পা দেয়া মাকরুহ অর্থাৎ নাজায়েজ। কারণ পা দেয়াটা স্পষ্টত আদবের খেলাফ।
#এ কারণেই ঘুমানোর সময় ক্বিবলার দিকে পা দেয়া মাকরূহ।.
.
يكره مد الرجلين إلى القبلة في النوم وغيره عمدا.
.
[ রাদ্দুল মুহতার,খণ্ড ১, পৃ:৪৩১
ফুকাহাদের মতামত উল্লেখ করা হলো। আমাদের দেশের কিছু আলেম, আরবের আলেমদের অনুসরণ করে বলে থাকেন, পশ্চিম দিকে পা দেয়াতে নিষেধ নেই। আরবদের সংস্কৃতিতে আসলে পা দেয়া, পা লাগাকে ঐভাবে গুরুতর ভাবা হয় না, যেটা আমাদের দেশে ভাবা হয়। তাই এদেশের বেশিরভাগ আলেমগণ, পশ্চিম দিকে পা দেয়াকে নিষেধ করে থাকেন, সম্ভবত এই দেশের পরিবেশ সংস্কৃতি বিবেচনা করে। কারণ, আমরা কোন সম্মানিত ব্যক্তির দিকে পা দেয়া, তার সামনে আসন গেড়ে বসা, কারো গায়ে পা লেগে যাওয়াকে 'তীব্র অসম্মান' ভাবি। সুতরাং, কেবলার দিকেও পা না দেয়াই উচিত। এটা সতর্কতাও বটে! তাছাড়া প্রায় সবার ঐকমত্যে কেবলাকে অসম্মান করে পা দিলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। এই কারণে হলেও, কেবলার দিকে পা দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। -
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: