ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
হযরত ইমাম হোসেন আঃ এর জন্য শিয়ারা এত কিছু করে
প্রশ্ন আসতে পারে যে , হযরত ইমাম হোসেন আঃ এর জন্য শিয়ারা এত কিছু করে ।
কিন্তু ওনার নাম কি পবিত্র কোরআনে আছে ? আসুন আমরা এর উত্তর কোরআন থেকে দেই
। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে , আমি তাকে ওসিয়াত করেছি সে যেনো তাঁর পিতা
মাতার সাথে সদ্ব্যব্যবহার করে । সে যখন তাঁর মায়ের গর্ভে আসে তখন তাঁর মা
শোক পেয়েছিলেন এবং সে যেদিন এই পৃথিবীতে আসে সেদিন ও তাঁর মা শোক পেয়েছিলেন
এবং সে তাঁর মায়ের গর্ভে আসার পর থেকে দুধ পান করা ছাড়ার আগ পর্যন্ত তাঁর
বয়স ছিল ৩০ মাস । এখন আমরা সবাই জানি একটি শিশু দুধ পান করে ২৪ মাস । তার
মানে আল্লাহ যেই শিশুর কথা বলেছেন সে শিশুটি জন্মগ্রহন করেছিল ৬ মাসে এবং
দুধ খেয়াছিল ২৪ মাস । আসুন আমরা দেখি কে সেই শিশু যে ৬ মাসে এ দুনিয়াতে
এসেছিল । আপনারা ইতিহাস খুজলে মাত্র ৩ জন শিশুর নাম পাবেন যারা ৬ মাসে এ
পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন । তারা হলেন হযরত ইয়াহিয়া বিন যাকারিয়া (আঃ), হযরত
ঈসা (আঃ) এবং হযরত হোসেন (আঃ) । আমরা এখন তিন জন শিশুর নাম পেলাম কিন্তু
আল্লাহ মাত্র একজন শিশুর নাম বলেছেন । আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এই শিশু
সম্পর্কে আবার বলেছেন . যখন তাঁর বয়স ৪০ বছর সে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিল
সে যেন তাঁর মাতা পিতার সাথে সদ্ব্যব্যবহার করতে পারেন । আসুন দেখি এই তিন
জনের মধ্যে তিনি কে ? হযরত ইয়াহিয়া বিন যাকারিয়ার বয়স যখন ৩৫ তখন তাকে জবাই
করে হত্যা করা হয় । তার মানে তিনি নন । আর হযরত ঈসা (আঃ) এর ত বাবা নেই ।
কিন্তু আল্লাহ বলেছেন সে তাঁর পিতা মাতার জন্য দোয়া করেছে । তার মানে
উপরিউক্ত দুই জনই বাদ । তার মানে আল্লাহ যার কথা বলেছেন তিনি আর কেউ নন
তিনি হযরত হোসেন (আঃ) । আমি এতক্ষণ উপরে এই কথাটাই প্রমান করেছি যে , হযরত
হোসেন (আঃ) এর কথা পবিত্র কোরআনে স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন । এখন ভাই আপনার
বিবেকের কাছে প্রশ্ন আপনি কি এখন হযরত হোসেন আঃ এর কথা কোরআনে নেই একথা
প্রমান করতে গিয়ে আল্লাহ এবং আল্লাহর বাণীকে অস্বীকার করবেন ?
(নাউযুবিল্লাহ) ভাই এখন আপনারা কি করবেন তা এখন আপনারাই ঠিক করুন ।
আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মদ ওয়া আলে মুহাম্মদ ।
0 comments: