ওহাবীরা বলে মাজার তো পাথরের এইটাকে চুমু দাও কেন ?
আরে পাগল, পাথর তো ”হাজার এ আসওয়াদ” ও তাহলে ওইটাকে চুমু দাও কেন ?
তখন ওহাবীদের থেকে উত্তর আসে ঐ পাথরের সাথে প্রিয় নবীর স্পর্ষ এর সংযোগ আছে তাই ।
আরে বোকা সংযোগ ছাড়া তো আর আওলিয়া হয় না। আর আমরা প্রেমের জন্য চুমু দেই চুমুর সাথে সম্পর্ক, কিন্তু চুমুর সাথে ইবাদতের কোন সম্পর্ক নাই। চুমু দেয়া মানে ইবাদাত করা না।
এবার আসুন দেখি ইবাদত কার করা হয়।
ইবাদত তো একমাত্র আল্লাহর তাই নয় কি ?
কোন ওহাবী বা সুন্নী কি কখনো বলেছে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা যায়।
এবার একটু ভাবুন তো আল্লাহ কে কি চুমু দিতে পারবেন ? কেউ কি দিয়েছেন ? এবার তো একমত যে আল্লাহ কে চুমু দেয়া যায় না। তাই নয় কি ?
তাহলে বুঝা যায় যাকে চুমু দিচ্ছেন সে আল্লাহ না, কারন চুমু আল্লাহ কে দেয়া ই যায় না।
প্রিয় নবীর ঠোট মোবারক এর স্পর্ষ লাগাতে যখন হাজারে আসোয়াদ কে চুমু দিতে পারেন তবে সেই রওজা শরীফে কেন নয় যেখানে প্রিয় নবীর সব লেগেছে ???
প্রমান পেলাম প্রিয় নবী পাথর কে ও চুমু দিয়েছেন। এবার দেখি বাশার কে চুমু দিয়েছেন কিনা ?
ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তালা আনহু কে কি চুমু দেন নি ?
ইমামে আকবর কে কি চুমু দেন নি ?
প্রিয় নবী শিক্ষা দিয়েছেন এমন হাজার পেলে চুমু দাও এমন বাশার পেলে ও চুমু দাও।
আমি আবারো বলছি চুমুর সম্পর্ক ইবাদতের সাথে নয়, চুমুর সম্পর্ক মোহাব্বতের সাথে প্রেমের সাথে তাজিম এর সাথে। এবং যেহেতু খোদা কে চুমু দেয়া যায় না সেহেতু যাকে চুমু দিচ্ছি সে তো খোদা ই না।
মজার কথা হল এক ওহাবী হুজুর বক্তব্য রাখলেন গাইরুল্লাহ কে চুমু দেয়া শিরক।
পর দিন দেখলাম উনি উনার ছোট বাচ্চা কে খোলা আকাশের নিচে বেধরক চুমু দিচ্ছেন।
আমি জিজ্ঞেস করলাম হুজুর আব্দুল্লাহ, আপনার কোলে কি আল্লাহ(আল্লাহ ক্ষমা করুন) না গাইরুল্লাহ ?
হুজুর কয় ভাই পাগলা আস্তাগফিরুল্লাহ আল্লাহ না এইটা আমার ছেলে কুতুবুল্লাহ।
তাইলে চুমু দিচ্ছেন যে শিরক হচ্ছে না ???
হুজুর বলেন আমি ওকে মহব্বতে চুমু দিয়েছি ইবাদতের উদ্দেশ্যে নয়।
জি হুজুর এই পয়েন্টে আপনি আমি তাই বলি আমি ও মোহব্বতে চুমু দেই অন্য কিছু না।
এরপর আর কি বলবেন ??? মন্তব্য করতে ভুলবেন না ।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: