যখন কোনটা হাদীসে উল্লেখিত খোরাসান, এটা নিয়ে Confusion হবে, তখন এ সংক্রান্ত হাদীসে উল্লেখিত
অন্যান্য অঞ্চলের নামগুলোও দেখতে হবে। যেমন -
খোরাসান ছাড়াও,
রেই
কাযভিন
তালেকান
ফার্স, প্রভৃতি।
এখন খোরাসান বলতে ইসলামী ইরানকে নাকি আফগানিস্তানকে বোঝানো হয়েছে, এটা নিয়ে যদি Confusion থাকে, তাহলে বাকি অঞ্চলগুলো কোন দেশে অবস্থিত, এটা দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
রেই প্রদেশ ইসলামী ইরানে অবস্থিত। তেহরান শহর রেই অঞ্চলে অবস্থিত।
তালেকানও ইসলামী ইরানে অবস্থিত।
কাযভিন ইসলামী ইরানে অবস্থিত।
ফার্স অঞ্চল মধ্য ইরানকে বলা হয়।
আর তাছাড়া যেই হাদীসে খুরাসানীদের পরিচয় দেয়া হয়েছে, সেই হাদীসে খুরাসানীদেরকে হযরত সালমান ফার্সী (রাঃ) এর জাতি বলা হয়েছে। আর সবাই জানে যে হযরত সালমান ফার্সী (রাঃ) ইরানী ছিলেন ...
এখনও যদি Confusion থাকে যে খুরাসানী কারা, তাহলে আর কিছুই বলার নাই ...
খোরাসান ছাড়াও,
রেই
কাযভিন
তালেকান
ফার্স, প্রভৃতি।
এখন খোরাসান বলতে ইসলামী ইরানকে নাকি আফগানিস্তানকে বোঝানো হয়েছে, এটা নিয়ে যদি Confusion থাকে, তাহলে বাকি অঞ্চলগুলো কোন দেশে অবস্থিত, এটা দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
রেই প্রদেশ ইসলামী ইরানে অবস্থিত। তেহরান শহর রেই অঞ্চলে অবস্থিত।
তালেকানও ইসলামী ইরানে অবস্থিত।
কাযভিন ইসলামী ইরানে অবস্থিত।
ফার্স অঞ্চল মধ্য ইরানকে বলা হয়।
আর তাছাড়া যেই হাদীসে খুরাসানীদের পরিচয় দেয়া হয়েছে, সেই হাদীসে খুরাসানীদেরকে হযরত সালমান ফার্সী (রাঃ) এর জাতি বলা হয়েছে। আর সবাই জানে যে হযরত সালমান ফার্সী (রাঃ) ইরানী ছিলেন ...
এখনও যদি Confusion থাকে যে খুরাসানী কারা, তাহলে আর কিছুই বলার নাই ...
হযরত
ইমাম মাহদী (আঃ) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ {তাঁর জন্য আমার শ্রবনশক্তি
কুরবান হোক} এর সকল হাদীস এক করলে 'কাল পতাকাবাহী' দুইটি দলের উল্লেখ
পাওয়া যায়!
এই দুই দলের মধ্যে কিছু পার্থক্যও লক্ষ্য করা যায়; যেমনঃ
- একটির আবির্ভাব হবে পরে, আর আরেকটির আবির্ভার হবে আগে।
- একটি হবে বড় কাল পতাকাবাহী দল, আরেকটি হবে ছোট ছোট কাল পতাকাবাহী দলসমূহ।
- একটি হবে ঐক্যবদ্ধ একটি দল, আরেকটি হবে পরষ্পর বিরোধী বহু দল।
- একটি আসবে খুরাসান থেকে সাইয়্যিদ এ খুরাসান (যিনি হবেন সাইয়্যিদ ও তাঁর জন্মস্থান হবে খুরাসান) এর নেতৃত্বে এবং শুয়াইব ইবনে সালেহ (যাঁর জন্মস্থান হবে রেই অঞ্চলে) এর সেনাপতিত্বে, আর আরেকটি আসবে অজ্ঞাত স্থান থেকে (হতে পারে বিভিন্ন জায়গা থেকে) ও বিভিন্ন নেতার অধীনে।
- একটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে ইসরাইলকে ধ্বংস করা, আরেকটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করা।
- একটির আবির্ভাবের সময়কাল হবে ঠিক সুফিয়ানী ও হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এর আবির্ভাবের অল্প কিছুকাল আগে, আর আরেকটির আবির্ভাবের সময়কাল হবে সুফিয়ানী ও হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এর আবির্ভাবের অনেক আগে।
- একটির অগ্রগতির রুট হবে পূর্ব দিকের খুরাসান থেকে ইরাকের উপর দিয়ে এগিয়ে গিয়ে সিরিয়া পার হয়ে ইসরাইল সীমান্ত, আর আরেকটির রুট হবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান।
- একটির সাহায্যকারী হবে হলুদ পতাকাধারীগণ, আর আরেকটির শত্রু হবে হলুদ পতাকাধারীগণ।
- একটি হবে আহলে বাইত ভক্ত, আর আরেকটি হবে আহলে বাইত বিদ্বেষী।
- একটি হবে ইয়ামানী (হাদীসে উল্লেখিত ইয়েমেনের ইসলামী বিপ্লবের নেতা) ও মিশরীর (হাদীসে উল্লেখিত মিশরের ইসলামী বিপ্লবের নেতা) সমর্থক, আর আরেকটি হবে ইয়ামানী ও মিশরীর বিরোধী।
- একটি হবে সর্বদা সফল ও বিজয়ী, আর আরেকটি হবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিফল ও পরাজিত।
- একটি হবে সুফিয়ানীর আনুগত্যকারী, আর আরেকটি হবে সাইয়্যিদ এ খুরাসানীর আনুগত্যকারী।
- একটি হবে হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এর সাহায্যকারী ও সমর্থক, আর আরেকটি হবে হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এর ক্ষতিকারী ও বিরুদ্ধাচারী।
- একটি হবে সত্যিকারের কাল পতাকাবাহী দল, আর আরেকটি হবে ভন্ড কাল পতাকাবাহী দল।
এখন দু'টি কাল পতাকাবাহী দলের বৈশিষ্ট্য ও তাদের মধ্যকার পার্থক্যগুলো খেয়াল করলেই বোঝা যাবে যে কারা হবে প্রকৃত কাল পতাকাবাহী দল আর কারা হবে ভন্ড কাল পতাকাবাহী দল। আর এটা খুবই স্বাভাবিক যে, হাদীসে যেহেতু হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এর সমর্থক ও সাহায্যকারী হিসেবে কাল পতাকাবাহীদের উল্লেখ আছে, সুতরাং ভন্ডরা এই প্রতীককে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে ও মানুষকে ধোকা দেবার চেষ্টা করবে! তাই হাদীসসমূহে সত্য কাল পতাকাবাহীদের পাশাপাশি ভন্ড কাল পতাকাবাহীদের সম্পর্কেও জানানো হয়েছে ...
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এর সমর্থক ও সাহায্যকারী সত্য কাল পতাকাবাহীদের চেনার ও ভন্ড কাল পতাকাবাহীদের থেকে বেঁচে থাকার তউফিক দান করুন!!
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: