এক শ্রেণীর জালেম, আলেম বেশ ধরে নায়েবে রাসুল সেজে ইয়াজিদ এর মতবাদ তথা শুধু অনুষ্ঠান সর্বস্ব ধর্মকে মুহাম্মাদী ইসলাম বলে সমাজে চালাচ্ছে। তাদের দল সমাজে অনেক বেশী, যেমন ছিল কারবালায় ইয়াজিদ পন্থী মুসলমান এবং হুসাইন (রাঃ) পন্থী তথা মোহাম্মাদী ইসলাম পন্থী মুসলমান। কারবালায় ইয়াজিদের লোকসংখ্যা ৩০ হাজার। এরা সবাই কলেমা, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত পালন করতো। ইমামতি করতো, খুৎবাহ্ দিত। ঐ ৩০ হাজার ইয়াজিদদের সৈন্যদের মধ্যে আড়াইশত কোরআনের হাফেজ ছিল, তাফসিরকারকও ছিল। অপর পক্ষে হুসাই (রাঃ) এর পক্ষে ছিল মাত্র ৭২ জন। অথচ ইমাম হুসাইন (রাঃ) তাদেরকে মুসলমান বলে স্বীকার করেননাই। তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করেছিলেনঃ ”আলাইছা ফি মুসলিমুন?” তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই? সেনাপতি হুর তার ভাই, গোলামসহ ত্রিশ জন অনুচর নিয়ে ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর পক্ষে এসে যোগদান করলেন। এখানেই আসল ও নকল মুসলমানের পরিচয় করিয়ে দিলেন ইমাম হুসাইন (রাঃ)। ইমাম হুসাইন (রাঃ) শহীদ হবার পর ইয়াজিদ এবং তার সহযোগিরা ইসলামের মূল শিক্ষা বর্জন করে তাদের মতবাদ তাদেরর স্বার্থের অনুকুল্যে ব্যবহার এবং প্রচার করেছিল, প্রয়োজনে হাদীস তৈরী করতো। ফতোয়া দিত তার স্বার্থ ও তারপ্রচারিত মতবাদের পক্ষে। ঐ শিক্ষাই অদ্যাবধি অধিকাংশ মানুষ দিচ্ছে এবং গ্রহণ করছে আজও অবধি। কারণ ইয়াজিদ ও তার সতীর্থরা মৃত্যুর করাল গ্রাসে পতিত হলেও তাদের প্রেতাত্মা
উমাইয়া বংশের মালিক ইবনে মারওয়ান মদীনায় গিয়ে নবীজির রওজা মোবারকে থাকতো আর সর্বদা তাসবীহ্ তাহলীল ও কোরআন তেলওয়াত করতো। কিন্তু মূলে তার উদ্দেশ্য ছিল মসজিদে নব্বীতে উমাইয়া শয়তানির বিরুদ্ধে মদীনা লোকেরা কি বলে সে দিকে নজর রাখা এবং গোপনে তা দামেস্কে উমাইয়া রাজ দরবারে পাঠিয়ে দেয়া। এর মুনাফিকীর কারণে মদীনার বার হাজার চারশত সাতানব্বই জন লোক মারা যায়। তার মধ্যে ৭০০ জন ছিলো কোরআনের হাফেজ। শধু তায় নয় অবলিলায় অনেক মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয় ফলে এক হাজার মহিলা অবৈধ সন্তান প্রসব করেছিল। এরাই প্রবর্তন করেছিল জপ-তপ, হাজার বার, লক্ষ বার অজিফা জপ করার রীতি। তাদের দ্বারা এবং তাদের অনুসাররী মোল্লা-মৌলবীদের
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: