তাবলীগ জামাতের ভাইরা ইসলাম প্রচারের জন্য অনেক চেষ্টা
করেন কিন্তু তারা কুরান ও সুন্নাহ পড়ার ব্যাপারে উদাসীণ। তারা তাদের
মুরুব্বীদের লেখা ফাজায়েল কিতাব পড়েই সন্তুষ্ট, কিন্তু আল্লাহর কিতাব কুরান
পড়ার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখা যায়না। যার ফলে তারা শিরক বেদাত কি বুঝতে
পারেন না আর ফাযায়েলের ভ্রান্ত বানোয়াট শিরকি কাহিনীগুলো চোখ বন্ধ করে
প্রচার করতে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় অনেক তাবলিগী ভাই নিজে থেকেই কাহিনী
বানিয়ে বানিয়ে বলেন - কুরান হাদীস থেকে সামান্য জ্ঞান থাকলে যেকেউ ধরতে
পারবেন আল্লাহর ঘর মসজিদের বসে এই মূর্খগুলো কি পরিমান ডাহা মিথ্যা কাহিনী
বলে বেড়ায়। যাই হোক কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো - পুরো লেখা মনোযোগ সহকারে পড়ার ও
বুঝে তারপর কমেন্ট করার আহবাহ রইলো.....
তাবলীগ জামায়াত কতৃক রাসূল (সাঃ) এর চরিত্রের প্রতি চরম লজ্জাকর অপবাদ এবং আল্লাহ্র সাথে শিরক:
ফাজায়েল আমলে এমন একটি লজ্জাজনক ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, যা লিখতেও বিব্রতবোধ করছি; কিন্তু ঈমানী দায়িত্ব বোধে বাধ্য হয়ে লিখতে হচ্ছে যাতে মানুষ এই জামায়াত দলটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে পারে। যাকারিয়া সাহেব ফাজায়েল দুরুদে লিখেছেনঃ
(১) এক বালক প্রতি পদক্ষেপেই পড়ছিলো – “আল্লাহুম্মা ছাল্লি’আলা মুহাম্মাদিন অলা আলে মুহাম্মাদিন”। ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ এরকম ভাবে দুরুদ পড়ার কারণ কি? সে বললঃ একবার আমি আমার মায়ের সাথে হজ্জে গিয়েছিলাম। পথে আমার মা মারা যান, তার মুখ কালো হয়ে যায় এবং পেট ফুলে যায়। মনে হলো সে অনেক বড় পাপ করেছে। তখন আমি আল্লাহ্র দরবারে হাত উঠিয়ে দু’আ করলাম। এই সময় হিজাজের দিক থেকে একখণ্ড মেঘ উড়ে আসলো এবং তা থেকে এক বাক্তি বের হয়ে আমার মায়ের মুখে হাত বুলালেন, আর অমনি তার মুখ উজ্জ্বল হয়ে গেল এবং পেটে হাত বুলালেন; অতপর পেটের ফুলাও চলে গেল। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ আপনার ওয়াসীলায় আমার মায়ের বিপদ কেটে গেল, আপনি কে? তিনি উত্তর দিলেনঃ আমি তোমার নবী মুহাম্মদ (সাঃ). আমি নবী (সাঃ) এর নিকট আরজ করলামঃ আমাকে কিছু উপদেশ দান করুন। নবী (সাঃ) বললেনঃ যখন কদম উঠাবে এবং রাখবে, তখনই পড়বে -“আল্লাহুম্মা ছাল্লি’আলা মুহাম্মাদিন অলা আলে মুহাম্মাদিন”।
[প্রমান দেখুন- ফাযায়েলে আমল - ফাযায়েলে দুরুদ, মূল লেখকঃ মাওঃ জাকারিয়া, পরিচ্ছেদ নং- ০৫, অধ্যায়ঃ দুরুদ শরীফ সম্পর্কিত কপিতয় ঘটনা, পৃষ্ঠা নং- ১০৭, প্রকাশনীঃ বাংলা ইসলামিক একাডেমী, কাকরাইলের মুরুব্বীদের এজাজতে লিখিত তাবলীগী নেছাব নং- ০৭ এবং ফাযায়েলে দুরুদ, পরিচ্ছেদ নং- ০৯, তাবলীগী কুতুবখানা, চকবাজার, ঢাকা কতৃক পরিবেশিত]
## প্রতিবাদ ও সংশোধনঃ
আমরা জানি আল্লাহ্র রাসূল (সা:) মহান, পূত পবিত্র চারিত্রিক বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন। তিনি তার সারা জীবনে একবারো গায়ের মাহরাম মহিলাদের পেট এবং দেহ তো দুরের কথা হাতও স্পর্শ করেননি। এমনকি তিনি যখন মহিলাদের থেকে বাইয়াত বা শপথ নিতেন তখনো শুধু মৌখিকভাবেই নিতেন।
আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ্র শপথ! রাসুল (সাঃ) এর হাত কখনো কোন (গায়ের মাহরাম) মহিলার হাত স্পর্শ করেনি। আল্লাহ্র শপথ! রাসূল (সাঃ) এর হাতের তালু কোন (গায়ের মাহরাম) মহিলাকে স্পর্শ করেনি। এমনকি তিনি মহিলাদের থেকে মৌখিকভাবেই শপথ নিতেন।
[প্রমান দেখুনঃ সহীহ বোখারী শরীফ (ইং-অনুঃ), ৭ম খন্ড , পৃষ্ঠাঃ ১৫৯, হাদীস নং- ২১১; সহীহ মুসলিম শরীফ, ৬ষ্ঠ খণ্ড, হাদীস নং- ৪৬৮৩, ৪৬৮৪, পৃষ্ঠাঃ ৪১৪ (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার), হাদীস নং- ৪৬৮১, ৪৬৮২ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ), ৪র্থ খন্ড, পর্ব নং- ৩৪, অনুচ্ছেদ নং- ২১, হাদীস নং- ৪৭২৮, ৪৭২৯, পৃষ্ঠা নং- ৪১৭ (হাদীস একাডেমী), ৩য় খণ্ড, হাদীস নং- ৪৬০৩, পৃষ্ঠাঃ ১০৩৯ (ইং-অনুঃ); সুনান ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ জিহাদ; মুসনাদে আহমদ]
** পাঠক লক্ষ্য করুন! এছাড়াও উক্ত ঘটনায় মহান আল্লাহ্র সাথে শিরক করা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে, বালকটি মা মারা যাওয়ার পর রাসূল (সাঃ) তার মার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন অথচ এই ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্র ছাড়া আর কারো নেই, এমনকি নবী-রাসূলগনেরও নেই।
আল্লাহ্ বলেনঃ
সকল জাতির জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট জীবনকাল। যখন তাদের সে নির্ধারিত সময় উপস্থিত হবে , তখন তারা সে সময়কে এক মুহূর্তের জন্য হলেও আগে পিছে করতে পারবে না। (সূরা আ’রাফ, আয়াত নং- ৩৪)
আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কারও মৃত্যু হতে পারে না; যেহেতু তার মেয়াদ অবধারিত।
(সূরা আল ইমরান , আয়াত নং- ১৪৫)
[ হে মুহাম্মদ, আপনি ] বলুনঃ আমি তোমাদের (মানুষদের) বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহ্র ভাণ্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি গায়েবের খবরও জানি না। আমি এমনও বলি না যে আমি ফেরেশতা (নূরের তৈরী). আমি তো শুধু ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে।
(সূরা নং ০৬, সূরা আন’আম, আয়াত নং ৫০, পারাঃ ০৭)
[ হে মুহাম্মদ, আপনি ] বলুনঃ আল্লাহ ছাড়া আমি (মুহাম্মদ) আমার নিজের জন্য কোন উপকারের ক্ষমতা রাখি না, আর না কোন অপকারের। আমি যদি গায়েব জানতাম তবে তো বহু কল্যাণ অর্জন করতে পারতাম এবং কোন ক্ষতিই আমাকে স্পর্শ করতে পারত না।
(সুরা নং-০৭, সূরা আ’রাফ, আয়াত নং- ১৮৮, পারাঃ ০৯]
মৃত্যুর পর শহীদদের আত্মা জান্নাতে দাখিল করে তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে আল্লাহ্ বলবেনঃ তোমরা কি আরো কিছু চাও? তারা বললঃ আর বেশী কি আমরা চাইতে পারি? আল্লাহ্ সেই একই প্রশ্ন তিনবার করলেন। যখন তারা বুঝতে পারলো যে উত্তর না দেয়া পর্যন্ত এই প্রশ্ন বার বার করা হবে, তখন তারা বললোঃ আল্লাহ্ আমাদের রূহকে আমাদের দেহে আবার ফিরিয়ে দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়ে দাও, যেন তোমার রাস্তায় আবার শহীদ হতে পারি।
তখন আল্লাহ বললেনঃ তা আর হবে না। তারপর তাদেরকে ঐ অবস্থায়ই রাখা হলো জান্নাতের আনন্দে। [সহীহ মুসলিম শরীফ , ৬ষ্ঠ খন্ড, হাদীস নং- ৪৭৩৩, পৃষ্ঠা নং- ৪৩৬ (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার) / ৪র্থ খন্ড, পর্ব নং- ৩৪, অনুচ্ছেদ নং- ৩৩, হাদীস নং- ৪৭৭৯, পৃষ্ঠা নং- ৪৩২ (হাদীস একাডেমী) / হাদীস নং- ৪৭৩২ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ); তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং- ১৬৩১; সুনানে ইবনে মাজাহ; বায়হাকী শরীফ]
** রাসুল (সাঃ) এর একটি ছেলে ৮ মাস বয়সে ইন্তিকাল করেছেন; তাতে তিনি ৩ দিন পর্যন্ত শোকে কাতর ছিলেন এবং দুঃখে কান্নাকাটি করেছেন কিন্তু তিনি তার নিজের ছেলের জীবন ফিরিয়ে আনতে পারেননি। অনেক সাহাবী যুদ্ধে নিহত হয়েছেন কিন্তু ১ সাহাবীর জীবনও তিনি ফিরিয়ে আনতে পারেননি।
তাবলীগ জামায়াত কতৃক রাসূল (সাঃ) এর চরিত্রের প্রতি চরম লজ্জাকর অপবাদ এবং আল্লাহ্র সাথে শিরক:
ফাজায়েল আমলে এমন একটি লজ্জাজনক ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, যা লিখতেও বিব্রতবোধ করছি; কিন্তু ঈমানী দায়িত্ব বোধে বাধ্য হয়ে লিখতে হচ্ছে যাতে মানুষ এই জামায়াত দলটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে পারে। যাকারিয়া সাহেব ফাজায়েল দুরুদে লিখেছেনঃ
(১) এক বালক প্রতি পদক্ষেপেই পড়ছিলো – “আল্লাহুম্মা ছাল্লি’আলা মুহাম্মাদিন অলা আলে মুহাম্মাদিন”। ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ এরকম ভাবে দুরুদ পড়ার কারণ কি? সে বললঃ একবার আমি আমার মায়ের সাথে হজ্জে গিয়েছিলাম। পথে আমার মা মারা যান, তার মুখ কালো হয়ে যায় এবং পেট ফুলে যায়। মনে হলো সে অনেক বড় পাপ করেছে। তখন আমি আল্লাহ্র দরবারে হাত উঠিয়ে দু’আ করলাম। এই সময় হিজাজের দিক থেকে একখণ্ড মেঘ উড়ে আসলো এবং তা থেকে এক বাক্তি বের হয়ে আমার মায়ের মুখে হাত বুলালেন, আর অমনি তার মুখ উজ্জ্বল হয়ে গেল এবং পেটে হাত বুলালেন; অতপর পেটের ফুলাও চলে গেল। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ আপনার ওয়াসীলায় আমার মায়ের বিপদ কেটে গেল, আপনি কে? তিনি উত্তর দিলেনঃ আমি তোমার নবী মুহাম্মদ (সাঃ). আমি নবী (সাঃ) এর নিকট আরজ করলামঃ আমাকে কিছু উপদেশ দান করুন। নবী (সাঃ) বললেনঃ যখন কদম উঠাবে এবং রাখবে, তখনই পড়বে -“আল্লাহুম্মা ছাল্লি’আলা মুহাম্মাদিন অলা আলে মুহাম্মাদিন”।
[প্রমান দেখুন- ফাযায়েলে আমল - ফাযায়েলে দুরুদ, মূল লেখকঃ মাওঃ জাকারিয়া, পরিচ্ছেদ নং- ০৫, অধ্যায়ঃ দুরুদ শরীফ সম্পর্কিত কপিতয় ঘটনা, পৃষ্ঠা নং- ১০৭, প্রকাশনীঃ বাংলা ইসলামিক একাডেমী, কাকরাইলের মুরুব্বীদের এজাজতে লিখিত তাবলীগী নেছাব নং- ০৭ এবং ফাযায়েলে দুরুদ, পরিচ্ছেদ নং- ০৯, তাবলীগী কুতুবখানা, চকবাজার, ঢাকা কতৃক পরিবেশিত]
## প্রতিবাদ ও সংশোধনঃ
আমরা জানি আল্লাহ্র রাসূল (সা:) মহান, পূত পবিত্র চারিত্রিক বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন। তিনি তার সারা জীবনে একবারো গায়ের মাহরাম মহিলাদের পেট এবং দেহ তো দুরের কথা হাতও স্পর্শ করেননি। এমনকি তিনি যখন মহিলাদের থেকে বাইয়াত বা শপথ নিতেন তখনো শুধু মৌখিকভাবেই নিতেন।
আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ্র শপথ! রাসুল (সাঃ) এর হাত কখনো কোন (গায়ের মাহরাম) মহিলার হাত স্পর্শ করেনি। আল্লাহ্র শপথ! রাসূল (সাঃ) এর হাতের তালু কোন (গায়ের মাহরাম) মহিলাকে স্পর্শ করেনি। এমনকি তিনি মহিলাদের থেকে মৌখিকভাবেই শপথ নিতেন।
[প্রমান দেখুনঃ সহীহ বোখারী শরীফ (ইং-অনুঃ), ৭ম খন্ড , পৃষ্ঠাঃ ১৫৯, হাদীস নং- ২১১; সহীহ মুসলিম শরীফ, ৬ষ্ঠ খণ্ড, হাদীস নং- ৪৬৮৩, ৪৬৮৪, পৃষ্ঠাঃ ৪১৪ (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার), হাদীস নং- ৪৬৮১, ৪৬৮২ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ), ৪র্থ খন্ড, পর্ব নং- ৩৪, অনুচ্ছেদ নং- ২১, হাদীস নং- ৪৭২৮, ৪৭২৯, পৃষ্ঠা নং- ৪১৭ (হাদীস একাডেমী), ৩য় খণ্ড, হাদীস নং- ৪৬০৩, পৃষ্ঠাঃ ১০৩৯ (ইং-অনুঃ); সুনান ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ জিহাদ; মুসনাদে আহমদ]
** পাঠক লক্ষ্য করুন! এছাড়াও উক্ত ঘটনায় মহান আল্লাহ্র সাথে শিরক করা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে, বালকটি মা মারা যাওয়ার পর রাসূল (সাঃ) তার মার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন অথচ এই ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্র ছাড়া আর কারো নেই, এমনকি নবী-রাসূলগনেরও নেই।
আল্লাহ্ বলেনঃ
সকল জাতির জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট জীবনকাল। যখন তাদের সে নির্ধারিত সময় উপস্থিত হবে , তখন তারা সে সময়কে এক মুহূর্তের জন্য হলেও আগে পিছে করতে পারবে না। (সূরা আ’রাফ, আয়াত নং- ৩৪)
আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কারও মৃত্যু হতে পারে না; যেহেতু তার মেয়াদ অবধারিত।
(সূরা আল ইমরান , আয়াত নং- ১৪৫)
[ হে মুহাম্মদ, আপনি ] বলুনঃ আমি তোমাদের (মানুষদের) বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহ্র ভাণ্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি গায়েবের খবরও জানি না। আমি এমনও বলি না যে আমি ফেরেশতা (নূরের তৈরী). আমি তো শুধু ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে।
(সূরা নং ০৬, সূরা আন’আম, আয়াত নং ৫০, পারাঃ ০৭)
[ হে মুহাম্মদ, আপনি ] বলুনঃ আল্লাহ ছাড়া আমি (মুহাম্মদ) আমার নিজের জন্য কোন উপকারের ক্ষমতা রাখি না, আর না কোন অপকারের। আমি যদি গায়েব জানতাম তবে তো বহু কল্যাণ অর্জন করতে পারতাম এবং কোন ক্ষতিই আমাকে স্পর্শ করতে পারত না।
(সুরা নং-০৭, সূরা আ’রাফ, আয়াত নং- ১৮৮, পারাঃ ০৯]
মৃত্যুর পর শহীদদের আত্মা জান্নাতে দাখিল করে তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে আল্লাহ্ বলবেনঃ তোমরা কি আরো কিছু চাও? তারা বললঃ আর বেশী কি আমরা চাইতে পারি? আল্লাহ্ সেই একই প্রশ্ন তিনবার করলেন। যখন তারা বুঝতে পারলো যে উত্তর না দেয়া পর্যন্ত এই প্রশ্ন বার বার করা হবে, তখন তারা বললোঃ আল্লাহ্ আমাদের রূহকে আমাদের দেহে আবার ফিরিয়ে দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়ে দাও, যেন তোমার রাস্তায় আবার শহীদ হতে পারি।
তখন আল্লাহ বললেনঃ তা আর হবে না। তারপর তাদেরকে ঐ অবস্থায়ই রাখা হলো জান্নাতের আনন্দে। [সহীহ মুসলিম শরীফ , ৬ষ্ঠ খন্ড, হাদীস নং- ৪৭৩৩, পৃষ্ঠা নং- ৪৩৬ (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার) / ৪র্থ খন্ড, পর্ব নং- ৩৪, অনুচ্ছেদ নং- ৩৩, হাদীস নং- ৪৭৭৯, পৃষ্ঠা নং- ৪৩২ (হাদীস একাডেমী) / হাদীস নং- ৪৭৩২ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ); তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং- ১৬৩১; সুনানে ইবনে মাজাহ; বায়হাকী শরীফ]
** রাসুল (সাঃ) এর একটি ছেলে ৮ মাস বয়সে ইন্তিকাল করেছেন; তাতে তিনি ৩ দিন পর্যন্ত শোকে কাতর ছিলেন এবং দুঃখে কান্নাকাটি করেছেন কিন্তু তিনি তার নিজের ছেলের জীবন ফিরিয়ে আনতে পারেননি। অনেক সাহাবী যুদ্ধে নিহত হয়েছেন কিন্তু ১ সাহাবীর জীবনও তিনি ফিরিয়ে আনতে পারেননি।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: