Wednesday, August 26, 2015

আল্লাহর নিদর্শন "১৯"- (পর্ব-২)

★আমরা জানি কুরআনের সর্বপ্রথম সূরা নাজিল হয় সূরা আলাক্ব(৯৬) প্রথম পাঁচটি আয়াত সহ(১-৫)। এই পাঁচটি আয়াতে সর্বমোট ১৯ টি আরবি শব্দ আছে যা ১৯(১৯÷১৯=১) দ্বারা বিভাজ্য।
★এই পাঁচটি আয়াতে সর্বমোট ৭৬ টি আরবি অক্ষর আছে যা ১৯( ৭৬÷১৯=৪) দ্বারা বিভাজ্য।
★সর্বপ্রথম নাজিলকৃত এই সূরায়(৯৬) সর্বমোট ১৯ টি আয়াত আছে যা ১৯(১৯÷১৯=১) দ্বারা বিভাজ্য।
★ কুরআনের সর্বপ্রথম নাযিলকৃত সুরাটি(৯৬)
কুরআনের শেষ দিক থেকে ১৯তম সুরা যা ১৯(১৯÷১৯=১) দ্বারা বিভাজ্য।
১১৪, ১১৩, ১১২, ১১১, ১১০, ১০৯, ১০৮, ১০৭,
১০৬, ১০৫, ১০৪, ১০৩, ১০২, ১০১, ১০০, ৯৯, ৯৮,৯৭, ৯৬।
★কুরআনের সর্বপ্রথম নাজিলকৃত সূরাটিতে(৯৬) সর্বমোট ৩০৪ টি আরবি অক্ষর আছে যা ১৯(৩০৪÷১৯=১৬) দ্বারা বিভাজ্য।
★ কুরআনের সর্বশেষ নাযিলকৃত সুরা হচ্ছে ১১০ যাতে রয়েছে ১৯টি আরবি অক্ষর যা ১৯(১৯÷১৯=১) দ্বারা বিভাজ্য।
★ কুরআনের সর্বশেষ নাযিলকৃত সুরার প্রথম আয়াটি ১৯টি অক্ষরে গঠিত যা ১৯(১৯÷১৯=১) দ্বারা বিভাজ্য।
★ কুরআনের সর্বমোট ২৯টি আদ্যক্ষরযুক্ত সুরা
রয়েছে, যাতে ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন আদ্যক্ষরের সেট ব্যবহার হয়েছে (যেমন ২:১ এর আলিম-লাম-মিম;), যাতে ব্যবহৃত রয়েছে ১৪টি ভিন্ন
ভিন্ন আরবি অক্ষর। ২৯ + ১৪ + ১৪ = ৫৭ যা ১৯(৫৭÷১৯=৩) দ্বারা বিভাজ্য।
★ কুরআনের ২৯টি আদ্যক্ষরযুক্ত সুরার
সংখ্যার যোগফল (২+৩+৭ + ... + ৫০ + ৬৮
= ৮২২) এবং ১৪টি আদ্যক্ষর সেট, ৮২২+১৪
= ৮৩৬ যা ১৯(৮৩৬÷১৯=৪৪) দ্বারা বিভাজ্য।
★ কুরআনের প্রথম আদ্যক্ষরযুক্ত সুরা
(২) এবং শেষ আদ্যক্ষরযুক্ত সুরা (৬৮) এর
মাঝে রয়েছে মোট ৩৮টি আদ্যক্ষরবিহীন সুরা যা(৩৮÷১৯=২) দ্বারা বিভাজ্য।
★ কুরআনের প্রথম আদ্যক্ষরযুক্ত সুরা
(২) এবং শেষ আদ্যক্ষরযুক্ত সুরা (৬৮) এর
মাঝে রয়েছে আদ্যক্ষরযুক্ত সুরার
সেট, আদ্যক্ষরবিহীন সুরার সেট মোট
১৯টি যা ১৯(১৯÷১৯=১) দ্বারা বিভাজ্য।
★ কুরআনে মোট ৩০টি ভিন্ন ভিন্ন
সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে, যথা- ১, ২,
৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৯, ২০, ৩০, ৪০, ৫০, ৬০, ৭০, ৮০, ৯৯, ১০০, ২০০, ৩০০, ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৫০০০, ৫০০০০, ১০০০০০; যার যোগফল হচ্ছে ১৬২১৪৬ যা ১৯(১৬২১৪৬÷১৯=৮৫৩৪) দ্বারা বিভাজ্য।
চলবে ইন শা আল্লাহ....
কাকতালীয় কিছুই নয়। সব আল্লাহর নিদর্শন।
"তার উপরে ঊনিশ(১৯)"
"আমরা ফেরেশতাদের ছাড়া
জাহান্নামের প্রহরী নিযুক্ত করিনি
এবং তাদের সংখ্যা (১৯) কে আমরা
i)অবিশ্বাসীদের জন্য একটি পরীক্ষার
মাধ্যম বানিয়ে দিয়েছি,
ii)যেন এর মাধ্যমে যাদের ওপর আমার
কিতাব নাজিল হয়েছে তারা
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস স্থাপণ করতে পারে,
iii) যারা বিশ্বাস এনেছে তাদের
বিশ্বাসও এতে করে বৃদ্ধি পায়,
iv) এর ফলে কিতাবধারীরা এবং
বিশ্বাসীগণ যেন কোনরকম সন্দেহে
নিমজ্জিত না হতে পারে,
v)যাদের মনে সন্দেহের ব্যাধি রয়েছে
এর ফলে তারা এবং সত্য
প্রত্যাখানকারী ব্যক্তিরা বলবে, এ
উক্তি দ্বারা আল্লাহ কি বোঝাতে
চান? এভাবে আল্লাহ যাকে চান
তাকে বিপথগামী করেনন ,তিনি
যাকে চান তাকে সঠিক পথে
পরিচালিত করেন ; তোমার মালিকের
বাহিনী সম্পর্কে তিনি ছাড়া আর
কেউ জানে না,এ তো শুধু মানুষদের
উপদেশের জন্যই।"
"এটি (১৯)মহান নিদর্শনগুলোর অন্যতম"
(সুরা আল মুদ্দাসির আয়াত নং ৩০,৩১,৩৫)

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি

Share This
Previous Post
Next Post

0 comments: