Monday, August 29, 2016

হযরত আলী (আ.)-এর জীবনের স্মরণীয় কিছু দিক (১ম অংশ)

লেখক: আল্লামা সাইয়্যেদ মোর্তজা আসকারী
অনুবাদ : আবুল কাসেম

হযরত আলী (আ.)-এর জীবনের স্মরণীয় কিছু দিক

হযরত আলী (আ.) হলেন ইসলামের অনন্য এক ব্যক্তিত্ব। আমরা এ প্রবন্ধে তাঁর জীবনের স্মরণীয় কিছু দিক তুলে ধরব।
হযরত আলী নবী (সা.) কর্তৃক প্রশিক্ষিত
হযরত আলী (আ.) হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধর। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর নিকট লালিত-পালিত ও প্রশিক্ষিত হয়েছেন। তাঁদের পূর্বপুরুষ হাশিম তাঁর সন্তানদের গ্রীষ্মকালে ব্যবসার জন্য ইরান ও সিরিয়ায় এবং শীতকালে ইয়েমেন ও আফ্রিকায় প্রেরণ করতেন। এ রীতি পরবর্তীকালে অব্যাহত থাকে এবং হযরত আবদুল মুত্তালিবের সন্তানরাও ঐ ঋতুতে এরূপ ব্যবসায়িক সফরে বের হতেন। কিন্তু দু’বছর হযরত আবু তালিব ব্যবসার উদ্দেশ্যে মদিনার বাইরে যেতে পারেননি। এ কারণে তাঁর অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে এবং তিনি পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। আর মহানবী (সা.) তাঁর অপর চাচা হযরত আব্বাসের নিকট গিয়ে হযরত আবু তালিবের সাহায্যে এগিয়ে আসার প্রস্তাব করেন। তারা উভয়ে আবু তালিবের নিকট গিয়ে প্রস্তাব রাখেন তাঁর সন্তানদেরকে তাঁদের দায়িত্বে অর্পণ করার। তখন আবু তালিব আকিলকে নিজের কাছে রেখে বাকি সন্তানদের দায়িত্ব তাঁদের ওপর অর্পণ করেন। রাসূল (সা.) হযরত আলীকে নিজের জন্য বেছে নেন এবং হযরত আব্বাস জাফরকে সঙ্গে নিয়ে যান। তখন থেকে রাসূল (সা.) হযরত আলীর লালন-পালন ও প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নেন। এ সম্পর্কে স্বয়ং আলী (আ.) বলেন : ‘যখন আমি শিশু ছিলাম তখনই তিনি আমার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আমাকে তাঁর পবিত্র বুকে চেপে ধরতেন,তাঁর কাছে টেনে নিতেন এবং তাতে আমি তাঁর পবিত্র শরীরের ঘ্রাণ নিয়েছি। অনেক সময় তিনি কিছু চিবিয়ে আমার মুখে দিতেন। তিনি আমার কথায় কখনও কোন মিথ্যা পাননি এবং আমার কোন কাজে দুর্বলতা পাননি। সে সময় থেকেই আমি তাঁকে অনুসরণ করে চলতাম যেভাবে একটি উষ্ট্রশাবক তার মাকে অনুসরণ করে। তিনি প্রতিদিন সুন্দর নৈতিক চরিত্রের নতুন নতুন দিক আমার নিকট প্রকাশ করতেন এবং আমাকে তা অনুসরণ করার নির্দেশ দিতেন...।’

আলী (আ.) প্রথম ওহী অবতীর্ণের সাক্ষী
মহানবী (সা.) নবুওয়াতের কয়েক বছর পর থেকেই প্রতি বছর এক মাস হেরা পর্বতের গুহায় ইতিকাফে (ইবাদতের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান) বসতেন। তাঁর পূর্বেও তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব সেখানে ইবাদতের জন্য যেতেন। যখন মহানবী (সা.) হেরা পর্বতের গুহায় অবস্থান করতেন হযরত আলী (আ.) সেখানে তাঁর জন্য খাদ্য,পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে যেতেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর ওপর প্রথম ওহী অবতীর্ণের ও সাক্ষী ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন : ‘যখন আল্লাহর রাসূলের ওপর প্রথম ওহী অবতীর্ণ হয়েছিল তখন আমি শয়তানের আর্তনাদ শুনেছিলাম। আমি বললাম : হে আল্লাহর রাসূল! এ আর্তনাদ কিসের? তিনি বললেন : শয়তান পূজিত হওয়ার সকল আশা হারিয়ে ফেলেছে,এটি তারই আর্তনাদ। হে আলী! আমি যা কিছু দেখি তুমিও তা-ই দেখ এবং আমি যা শুনি,তুমিও তা-ই শোন;কিন্তু তুমি নবী নও;বরং তুমি আমার স্থলাভিষিক্ত ও দায়িত্বশীল।’

আলী (আ.) রাসূলের সঙ্গে প্রথম নামায আদায়কারী
মহানবী (সা.)-এর ওপর প্রথম ওহী অবতীর্ণ হওয়ার পর তিনি গৃহে ফিরে আসেন। জীবরাঈল (আ.) ঐ দিনই তাঁর নিকট নামাযের বিধান নিয়ে অবতীর্ণ হন এবং তাঁকে ওজু করা ও নামায পড়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দেন। তখনই রাসূল (সা.) হযরত খাদীজা ও হযরত আলীকে নিয়ে জামায়াতের সাথে নামায আদায় করেন। তাবারী তাঁর ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন : ‘ইয়াহিয়া ইবনে আরিফ কিন্দী বলেন : আমি হজ্বের জন্য মক্কায় গিয়ে আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের অতিথি হলাম। তাঁর গৃহ কাবাঘরের নিকটেই ছিল। মধ্যাহ্নের সময় এক ব্যক্তিকে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখলাম তার সঙ্গে একজন নারী ও একজন বালক ছিল। অতঃপর বালকটি তার ডান পাশে এবং ঐ নারী তার পেছনে দাঁড়ানো। তারপর তারা উপুড় হল,এরপর সোজা হয়ে দাঁড়াল ও মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। আমি এ দৃশ্য দেখে আশ্চর্য হলাম। আব্বাস এলে তাঁকে ঘটনাটি বললাম। তখন তিনি বললেন : তুমি কি জানতে পেরেছ তারা কে ছিল? আমি বললাম : না। তিনি বললেন : সে হল আমার ভ্রাতুষ্পুত্র মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ্। সে বলে যে,তার ওপর আসমান থেকে ওহী অবতীর্ণ হয়। যে তার ডান পাশে ছিল সে হল আলী,আর তার পেছনে যে নারী ছিল সে ছিল তার স্ত্রী খাদিজা। আমি পৃথিবীর ওপর এ তিনজন ব্যতীত অন্য কাউকে এ ধর্মের অনুসারী হিসাবে চিনি না।’

ইসলামের প্রথম আহ্বান ও হযরত আলীর নেতৃত্বের ঘোষণা
তাবারী তাঁর ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন : ‘নবুওয়াতের তৃতীয় বর্ষে পবিত্র কুরআনের
وَ أَنْذِرْ عَشِيْرَتَكَ الْأَقْرَبِيْنَ (তোমার নিকটাত্মীয়দের ভয় প্রদর্শন কর)  আয়াতটি অবতীর্ণ হলে মহানবী (সা.) হযরত আলীকে এক পাত্র ঘোল ও একটি দুম্বার রান কিনে তা রান্না করে আবদুল মুত্তালিবের পরিবারের সকলকে দাওয়াত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। হযরত আলী রাসূলুল্লাহর নির্দেশ মত সবকিছু প্রস্তুত করে সকলকে ডাকলেন। তাঁরা সকলে এলে রাসূল (সা.) ঐ রান এবং ঘোল থেকে কিছু খেলেন। অতঃপর অতিথিদের সামনে তা পরিবেশনের নির্দেশ দিলেন। তারা সকলে পেট ভরে খেল;কিন্তু তার পরও খাদ্য যে রকম ছিল তেমনই অবশিষ্ট রইল। আবু লাহাব এ দৃশ্য দেখে বলল : ‘আশ্চর্য যাদু দেখাল মুহাম্মদ!’ সে এ কথা বলার পর সকলেই স্থান ত্যাগ করে চলে গেল। তারা চলে গেলে রাসূল (সা.) হযরত আলীকে বললেন : ‘দেখলে সে কী করল? তুমি তাদের জন্য আবার আয়োজন কর ও তাদের সবাইকে দাওয়াত দাও।’ এবার তারা খাদ্য গ্রহণ শুরু করতেই মহানবী (সা.) বললেন : ‘তোমাদের মধ্যে কে আমাকে আমার ধর্ম প্রচারের কাজে সাহায্য করতে রাজী আছ? আমি তাকে আমার ভাই,সহযোগী ও আমার স্থলাভিষিক্ত হিসাবে মনোনীত করব।’ কিন্তু তারা তাঁর আহ্বানে সাড়া দিল না। একমাত্র হযরত আলী (আ.) উঠে দাঁড়িয়ে বললেন : ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে সাহায্য করব।’ মহানবী (সা.) তখন হযরত আলীকে উচুঁ করে উঠিয়ে ধরে বললেন : ‘এ হচ্ছে তোমাদের মধ্যে আমার ভাই,সহযোগী,স্থলাভিষিক্ত ও প্রতিনিধি। তোমরা তার কথা শুনবে ও তার আনুগত্য করবে।’ তারা উঠে যেতে যেতে আবু তালিবকে উপহাস করে বলল : ‘তোমার ভ্রাতুষ্পুত্র তোমাকে তোমার ছেলের আদেশ মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছে।’

হযরত আলী মহানবী (সা.)-এর শয্যায়
হযরত আবু তালিবের ইন্তেকালের পর মহানবী (সা.) ও মুসলমানদের ওপর মুশরিকদের নিপীড়ন বৃদ্ধি পেলে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মদিনায় হিজরত করার নির্দেশ আসল। কুরাইশরা তাদের পরামর্শের জন্য যে স্থানে সমবেত হত সেখানে সমবেত হয়ে মহানবী (সা.)-কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল। এ হত্যায় যেন কোন বিশেষ গোত্রকে দায়ী না করা যায় এজন্য সকল গোত্র থেকে একজন করে লোক মনোনীত করা হল। বনি হাশিম থেকে আবু লাহাব মনোনীত হল। মহানবী (সা.) জীবরাঈল (আ.) কর্তৃক এ বিষয়ে খবর পেলেন এবং যে রাতে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে সে রাতেই হিজরতের নির্দেশ পেলেন। আল্লাহর রাসূল (সা.) ঐ রাতে আলীকে তাঁর শয্যায় এমনভাবে শায়িত হতে বললেন যেন মুশরিকরা মনে করে স্বয়ং রাসূল সেখানে শুয়ে রয়েছেন। আলী (আ.) তাঁকে প্রশ্ন করলেন : ‘এতে কি আপনার জীবন রক্ষা পাবে?’ রাসূল (সা.) বললেন : ‘হ্যাঁ,এতে আমার জীবন রক্ষা পাবে।’ হযরত আলী রাসূল (সা.)-এর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে তাঁর শয্যায় নিশ্চিতভাবে শুয়ে পড়লেন। রাসূল (সা.) অলৌকিকভাবে তাঁর ঘর অবরোধকারী মুশরিকদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সওর পর্বতের দিকে চলে গেলেন। মুশরিকরা আবু লাহাবের পরামর্শে ভোর বেলায় তাঁকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাই যখন ভোর হল তারা একযোগে রাসূলের শয়নকক্ষে প্রবেশ করল। কিন্তু তাদের প্রত্যাশার বিপরীতে হযরত আলীকে সেখানে দেখে হতচকিত হয়ে গেল। তারা তাঁকে প্রশ্ন করল : ‘মুহাম্মাদ কোথায়?’ আলী বললেন : ‘তোমরা কি তাঁকে আমার হাতে অর্পণ করেছিলে?’

রাসূল (সা.)-এর আমানতের দায়িত্ব পালন
কুরাইশরা একে অপরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখত না;কিন্তু এর বিপরীতে তাদের শত্রু মহানবী (সা.)-এর ওপর তাদের পূর্ণ আস্থা ছিল। এ কারণে তাদের সোনা-রূপা ও অর্থ-সম্পদ তাঁর কাছে আমানতস্বরূপ রাখত,এমনকি তারা তাঁকে ‘আমীন’ বা বিশ্বস্ত বলে ডাকত। মহানবী (সা.) যখন হিজরত করেন তখন তাঁর নিকট গচ্ছিত আমানতসমূহ হযরত আলী (আ.)-এর হাতে অর্পণ করে তা তাদের প্রকৃত মালিকদের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। হযরত আলী কাবা ঘরের নিকট দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে ঘোষণা দিলেন যে,যারা নবী (সা.)-এর নিকট আমানত রেখেছে তারা যেন তা তাঁর নিকট থেকে গ্রহণ করে। তিনি তিন দিন ধরে সকলের আমানত ফিরিয়ে দিলেন।

হযরত আলীর প্রতীক্ষায় মহানবী (সা.)
হযরত আলী (আ.)-এর ওপর অপর যে দায়িত্ব মহানবী (সা.) হিজরতের সময় অর্পণ করেছিলেন তা হল তাঁর কন্যা ফাতিমা,ফুফু ফাতিমা বিনতে আবদুল মুত্তালিব এবং হযরত আলীর মাতা ফাতিমা বিনতে আসাদকে সঙ্গে নিয়ে মদিনায় হিজরত করা। মহানবী (সা.) মদিনায় নিকটবর্তী কোবা নামক স্থানে পৌঁছে আলী (আ.)-এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। হযরত আবু বকর তাঁকে মদিনার দিকে রওয়ানা দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকলে তিনি বলেন : ‘আলী আসুক,তারপর যাব।’ চারশ’ আশি কিলোমিটার পথ উত্তপ্ত মরুভূমির ওপর উটের রশি ধরে টেনে টেনে আসতে আলীর পা ফেটে গিয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল। রাসূল (সা.) তাঁর মুখের লালা সেখানে লাগিয়ে দিলে তিনি আরোগ্য লাভ করেন। অতঃপর তাঁদের সঙ্গে নিয়ে তিনি মদিনায় প্রবেশ করেন। এ ঘটনা আলী (আ.)-এর প্রতি মহানবী (সা.)-এর তীব্র ভালবাসার প্রমাণ।

হযরত আলীর বীরত্ব ও সাহসিকতা
বদর যুদ্ধ : বদর যুদ্ধে এক হাজার কুরাইশ যোদ্ধা সশস্ত্র অবস্থায় তিনশ’ তেরজন মুসলমান সেনার মুখোমুখি হল। মহানবী (সা.)-এর সঙ্গীরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। কারণ,তাঁরা কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলাকে অবরোধ করার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন-যুদ্ধের জন্য নয়। মহানবী (সা.) কুরাইশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বদর অভিমুখে যাত্রা করলেন। এক অসম যুদ্ধে মুসলমানরা জয়ী হল। এ যুদ্ধে সত্তরজন কুরাইশ নিহত হয়। এর মধ্যে ৩৫ জন বড় যোদ্ধা ও গোত্রপতি আলী (আ.)-এর হাতে নিহত হয়। তৃতীয় হিজরিতে কুরাইশরা বদর যুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য মদিনায় দিকে যাত্রা করে। মহানবীও তাদের মোকাবিলা করার জন্য মদিনা থেকে বের হলে দু’দল উহুদ প্রান্তরে পরস্পরের মুখোমুখি হল। সে সময় যুদ্ধে ঐ ব্যক্তির হাতেই পতাকা অর্পণ করা হত যে সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা এবং যদি তার হাত থেকে পতাকা পড়ে যেত তবে তারপর যে শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা তার হাতে তা দেওয়া হত। উহুদের যুদ্ধে কুরাইশদের নয় জন শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা যারা একের পর এক পতাকা ধারণ করেছিল তারা আলী (আ.)-এর এর হাতে নিহত হয় যা কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
(চলবে)

তথ্যসূত্র
1. তারিখে কামিল,২য় খণ্ড,পৃ.
2. নাহজুল বালাগা,খুতবাতুল কাসেয়াহ,খুতবা নং
3. প্রাগুক্ত
4. প্রাগুক্ত
5. সূরা শুয়ারা : ২১৪
6. তাবারী,২য় খণ্ড,পৃ.
(ঢাকা থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রত্যাশা’,১ম বর্ষ ২য় সংখ্যা)

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি

Share This
Previous Post
Next Post

0 comments: