বিয়ের কথা শুনলেই আমাদের মাঝে লজ্জা লজ্জা একটা ভাব আসে। কুমারি মেয়েরা তো লজ্জায় লাল হয়ে যায় - অবিবাহিত ছেলেরাও কম লজ্জাশীল নয়। আবার নিজের বিয়ের প্রয়োজনের কথা এই লজ্জা হাজার গুন বৃদ্ধি করে দেয়।
বিয়ের কথা বলাটা একটু লজ্জার বলেই অবিবাহিত ছেলে মেয়ে উভয়কেই বিয়ে করিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে অভিভাবকদের। সুরা নুরে আল্লাহ তা'আলা অভিভাবকদের স্পষ্টভাবে এই নির্দেশ দিয়েছেন যে তোমাদের অধীনস্থদের মধ্যে যারা বিবাহহীন আছে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করো।
এছাড়া আল্লাহর রাসুল প্রিয়নবি মুহাম্মদ (স') এর অনেক হাদিস রয়েছে : যেখানে সন্তান এর হক হিসেবে একটি হক বর্নিত হয়েছে বালেগ হলে তার বিয়ের ব্যবস্থা করাকে।অন্যথায় সন্তানের গুনাহের ভাগ পিতার আমলনামায় যুক্ত হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
সন্তানের বিয়ের ব্যবস্থা করাটা অভিভাবকদের দায়িত্ব। তেমনি ভাবে ছেলেদের জন্য বালেগ হওয়ার পর বিয়ের জন্য অভিভাবকদের সম্মতিকে শর্ত রাখা হয়নি। বরং সুরা নিসাতে পুরুষদের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: তোমাদের যে নারী পছন্দ হয় তাকে বিয়ে করে নাও।
পুরুষরা নারীদের থেকে কম লজ্জাশীল। আর অপরদিকে বালেগ হওয়ার পর পুরুষ নিজেই নিজের অভিভাবক। আল্লাহ প্রথমেই অভিভাবকদের নির্দেশ দিয়েছেন বালেগ হওয়ার পর বিয়ে করিয়ে দিতে যেহেতু বিয়ে শুধু দুজন ব্যক্তির মিলন নয় দুইটি পরিবারের মিলন। দুজনের বিয়ে হলেও অনেক গুলো নতুন সম্পর্ক তৈরি হয় এই বিয়েকে কেন্দ্র করে। তার প্রভাব বাকি জীবনে স্পষ্টভাবে বিদ্যমান থাকে। এছাড়া পরিবারের মান সম্মান ইত্যাদি এর সাথে জরিত। পিতার অবাধ্য হয়ে যদি কোনো ছেলে বিয়ে করে ফেলে (শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন বিয়ে বৈধ হলেও) সামাজিক ভাবে সেই বাবাকে অনেক অপমানের স্বীকার হতে হয়। সমাজের নানান লোক নানা কথা বলে বেড়ায়।
তাই প্রথমেই দায়িত্ব হলো অভিভাবক এর। যাতে সন্তানের বিয়ের বয়স হলেই বিয়ে দেয়।
অন্যথায় সন্তান নিজে নিজে বিয়ে করার অধিকার রাখে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে একা একা বিয়ে করার ক্ষেত্রে তার পরিবারের মান সম্মান ধুলায় মিটে যায়।
ফলে হাদিসে মেয়েদের একাকী বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবককে শর্ত হিসেবে রাখা হয়েছে। একা বিয়ের ক্ষেত্রে কঠিন হুমকি দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন হাদিস থেকে মেয়েদের ক্ষেত্রেও একটা শেষ সুযোগ রাখা হয়েছে। একাকী বিয়ে করার। অনেক হাদিস থেকে স্পষ্ট প্রমান হয় মেয়েরা নিজেরাও রাসুল (স:) এর কাছে এসে তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলেছেন অভিভাবক ছাড়াই।অভিভাবক যখন মেয়ের বয়স হওয়ার পরও বিয়ের ব্যবস্থা করে না কিংবা অভিভাবক ফাসেক হয় তখন হাম্বলী মাজহাবে সেই অভিভাবক এর অভিভাবকত্ব বাতিল হয়। ক্ষেত্র বিশেষ মেয়ে নিজের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজেই নেয়ার অধিকার পায়। হানাফী মাজহাবে ছেলে দ্বীনদার হলে অভিভাবক ছাড়াই মেয়ে একা একা বিয়ে করে নিতে পারে।
কোন দ্বীনদার ছেলেকে কোনো মেয়ের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়াও কোনো নিন্দনীয় বিষয় নয় ইসলামের দৃষ্টিতে।
সহজ কথা হলো : ইসলাম কারো অধিকারই নষ্ট করেনি। আবার কারো জন্য গুনাহ করার সুযোগ রাখেনি। অভিভাবক যখন নিজে সন্তানের বিয়ের ক্ষেত্রে অবহেলা করে তখন সন্তানকে নিজে নিজে বিয়ে করার অধিকার প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু কারো অপেক্ষায় থেকে গুনাহ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
আমাদের সমাজে বিয়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনাই হচ্ছে না।ছেলে মেয়েরা তাদের অধিকার কি তা জানছে না। সন্তানদের হক আদায় অধিকাংশ বাবা মাই করছে না।
কিন্তু বিপরিত দিকে অবৈধ প্রেম প্রিতির আলোচনা বেশ জোরে সোরে হচ্ছে ।
আমরা মুসলিম। আমাদের নারীপুরুষের ভালোবাসার একমাত্র পদ্ধতি হলো বিয়ে। পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বিয়ে ছাড়াই শুধু মুখে প্রেমের বুলি কিংবা লীভটুগেদার ইত্যাদি নারী পুরুষের ভালোবাসার প্রমান বহন করে থাকে। আমরা যদি সেই পশ্চিমা সংস্কৃতি গা ভাসাই সেটা নিয়েই আলোচনা করি তাহলে আমাদের সমাজের বর্তমান প্রজম্ম সেই সংস্কৃতি গ্রহন করবে।
বর্তমান গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড নামক পশ্চিমা সভ্যতার পাপাচারের সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে নারী পুরুষের ভালোবাসার আল্লাহর দেয়া একমাত্র বৈধ পদ্ধতি বিয়ে নিয়েই আমাদের আলোচনা বেশি করা জরুরি।
দেখুন প্রেমের আলোচনাকে পশ্চিমা মিডিয়া বেশ স্বাভাবিক করে দিয়েছে।কিন্তু বিয়ের আলোচনাকে একটি সামাজিক ট্যাবুতে পরিনত করেছে। যা আলোচনা হয় তাও বিয়ে মানে বন্দিত্ব - বউ মানে পুরুষের জন্য আজাব - ইত্যাদিকে হাইস্যরসাত্মক ভাবে উপস্থাপন করছে -।
অপরদিকে নারীদের মাজে তৈরি করে দিচ্ছে নারী স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনার সংস্কৃতি।
বিয়ের ভালো দিক নিয়েই আলোচনাই হচ্ছে না। বিয়ে যে মুসলমানদের ইবাদত তা মুসলিম সমাজের যুবকযুবতিরা ভুলতে বসেছে।
তাই এমন অবস্থায় লজ্জার মুখোশ পড়ে বসে থাকায় কোনো লাভ নাই। বরং বিয়ে নিয়ে আমাদের সবার সাথে ব্যাপক আলোচনা দরকার। বিয়ের ট্যাবুকে ভেঙ্গে ফেলা দরকার। বাবা মা বন্ধু বান্ধব সবার সাথেই ফ্রি ভাবে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
এই সমাজকে এই ম্যাসেজটা পৌছানো দরকার- যে যুবকযুবতির সমস্যার সমাধান প্রেমের মাজে নেই। বরং সমাধান আছে বিয়েতে। আর বিয়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি ইবাদত।
বিয়ের কথা বলাটা একটু লজ্জার বলেই অবিবাহিত ছেলে মেয়ে উভয়কেই বিয়ে করিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে অভিভাবকদের। সুরা নুরে আল্লাহ তা'আলা অভিভাবকদের স্পষ্টভাবে এই নির্দেশ দিয়েছেন যে তোমাদের অধীনস্থদের মধ্যে যারা বিবাহহীন আছে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করো।
এছাড়া আল্লাহর রাসুল প্রিয়নবি মুহাম্মদ (স') এর অনেক হাদিস রয়েছে : যেখানে সন্তান এর হক হিসেবে একটি হক বর্নিত হয়েছে বালেগ হলে তার বিয়ের ব্যবস্থা করাকে।অন্যথায় সন্তানের গুনাহের ভাগ পিতার আমলনামায় যুক্ত হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
সন্তানের বিয়ের ব্যবস্থা করাটা অভিভাবকদের দায়িত্ব। তেমনি ভাবে ছেলেদের জন্য বালেগ হওয়ার পর বিয়ের জন্য অভিভাবকদের সম্মতিকে শর্ত রাখা হয়নি। বরং সুরা নিসাতে পুরুষদের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: তোমাদের যে নারী পছন্দ হয় তাকে বিয়ে করে নাও।
পুরুষরা নারীদের থেকে কম লজ্জাশীল। আর অপরদিকে বালেগ হওয়ার পর পুরুষ নিজেই নিজের অভিভাবক। আল্লাহ প্রথমেই অভিভাবকদের নির্দেশ দিয়েছেন বালেগ হওয়ার পর বিয়ে করিয়ে দিতে যেহেতু বিয়ে শুধু দুজন ব্যক্তির মিলন নয় দুইটি পরিবারের মিলন। দুজনের বিয়ে হলেও অনেক গুলো নতুন সম্পর্ক তৈরি হয় এই বিয়েকে কেন্দ্র করে। তার প্রভাব বাকি জীবনে স্পষ্টভাবে বিদ্যমান থাকে। এছাড়া পরিবারের মান সম্মান ইত্যাদি এর সাথে জরিত। পিতার অবাধ্য হয়ে যদি কোনো ছেলে বিয়ে করে ফেলে (শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন বিয়ে বৈধ হলেও) সামাজিক ভাবে সেই বাবাকে অনেক অপমানের স্বীকার হতে হয়। সমাজের নানান লোক নানা কথা বলে বেড়ায়।
তাই প্রথমেই দায়িত্ব হলো অভিভাবক এর। যাতে সন্তানের বিয়ের বয়স হলেই বিয়ে দেয়।
অন্যথায় সন্তান নিজে নিজে বিয়ে করার অধিকার রাখে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে একা একা বিয়ে করার ক্ষেত্রে তার পরিবারের মান সম্মান ধুলায় মিটে যায়।
ফলে হাদিসে মেয়েদের একাকী বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবককে শর্ত হিসেবে রাখা হয়েছে। একা বিয়ের ক্ষেত্রে কঠিন হুমকি দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন হাদিস থেকে মেয়েদের ক্ষেত্রেও একটা শেষ সুযোগ রাখা হয়েছে। একাকী বিয়ে করার। অনেক হাদিস থেকে স্পষ্ট প্রমান হয় মেয়েরা নিজেরাও রাসুল (স:) এর কাছে এসে তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলেছেন অভিভাবক ছাড়াই।অভিভাবক যখন মেয়ের বয়স হওয়ার পরও বিয়ের ব্যবস্থা করে না কিংবা অভিভাবক ফাসেক হয় তখন হাম্বলী মাজহাবে সেই অভিভাবক এর অভিভাবকত্ব বাতিল হয়। ক্ষেত্র বিশেষ মেয়ে নিজের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজেই নেয়ার অধিকার পায়। হানাফী মাজহাবে ছেলে দ্বীনদার হলে অভিভাবক ছাড়াই মেয়ে একা একা বিয়ে করে নিতে পারে।
কোন দ্বীনদার ছেলেকে কোনো মেয়ের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়াও কোনো নিন্দনীয় বিষয় নয় ইসলামের দৃষ্টিতে।
সহজ কথা হলো : ইসলাম কারো অধিকারই নষ্ট করেনি। আবার কারো জন্য গুনাহ করার সুযোগ রাখেনি। অভিভাবক যখন নিজে সন্তানের বিয়ের ক্ষেত্রে অবহেলা করে তখন সন্তানকে নিজে নিজে বিয়ে করার অধিকার প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু কারো অপেক্ষায় থেকে গুনাহ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
আমাদের সমাজে বিয়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনাই হচ্ছে না।ছেলে মেয়েরা তাদের অধিকার কি তা জানছে না। সন্তানদের হক আদায় অধিকাংশ বাবা মাই করছে না।
কিন্তু বিপরিত দিকে অবৈধ প্রেম প্রিতির আলোচনা বেশ জোরে সোরে হচ্ছে ।
আমরা মুসলিম। আমাদের নারীপুরুষের ভালোবাসার একমাত্র পদ্ধতি হলো বিয়ে। পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বিয়ে ছাড়াই শুধু মুখে প্রেমের বুলি কিংবা লীভটুগেদার ইত্যাদি নারী পুরুষের ভালোবাসার প্রমান বহন করে থাকে। আমরা যদি সেই পশ্চিমা সংস্কৃতি গা ভাসাই সেটা নিয়েই আলোচনা করি তাহলে আমাদের সমাজের বর্তমান প্রজম্ম সেই সংস্কৃতি গ্রহন করবে।
বর্তমান গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড নামক পশ্চিমা সভ্যতার পাপাচারের সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে নারী পুরুষের ভালোবাসার আল্লাহর দেয়া একমাত্র বৈধ পদ্ধতি বিয়ে নিয়েই আমাদের আলোচনা বেশি করা জরুরি।
দেখুন প্রেমের আলোচনাকে পশ্চিমা মিডিয়া বেশ স্বাভাবিক করে দিয়েছে।কিন্তু বিয়ের আলোচনাকে একটি সামাজিক ট্যাবুতে পরিনত করেছে। যা আলোচনা হয় তাও বিয়ে মানে বন্দিত্ব - বউ মানে পুরুষের জন্য আজাব - ইত্যাদিকে হাইস্যরসাত্মক ভাবে উপস্থাপন করছে -।
অপরদিকে নারীদের মাজে তৈরি করে দিচ্ছে নারী স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনার সংস্কৃতি।
বিয়ের ভালো দিক নিয়েই আলোচনাই হচ্ছে না। বিয়ে যে মুসলমানদের ইবাদত তা মুসলিম সমাজের যুবকযুবতিরা ভুলতে বসেছে।
তাই এমন অবস্থায় লজ্জার মুখোশ পড়ে বসে থাকায় কোনো লাভ নাই। বরং বিয়ে নিয়ে আমাদের সবার সাথে ব্যাপক আলোচনা দরকার। বিয়ের ট্যাবুকে ভেঙ্গে ফেলা দরকার। বাবা মা বন্ধু বান্ধব সবার সাথেই ফ্রি ভাবে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
এই সমাজকে এই ম্যাসেজটা পৌছানো দরকার- যে যুবকযুবতির সমস্যার সমাধান প্রেমের মাজে নেই। বরং সমাধান আছে বিয়েতে। আর বিয়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি ইবাদত।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: