উত্তর -
মানবজাতির সর্বপ্রথম হাজ্বী হলেন হযরত আদম (আঃ) ।
হাদিস ও ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী , তওবা কবুল হওয়ার পর তথা বেহশত-সদৃশ বাগান থেকে পৃথিবীতে আসার পর , তিনি এই হজ্ব পালন করেছিলেন জিলহজ মাসেই ।
ইব্রাহিমের বংশধরদের মধ্যে হজ্বের প্রচলন হল কিভাবে ?
ইব্রাহিম (আঃ) ও তাঁর পুত্র ইসমাইল (আঃ) মহান আল্লাহর নির্দেশে কাবা ঘর পুনর্নির্মাণ করেন এবং জিলহজ মাসে হজ্ব আদায় করেন । এরপর থেকে তাঁদের বংশধররা শত শত বছর ধরে হজ্ব পালন করে আসছিলেন মক্কার কাবা ঘরে । কিন্ত ধীরে ধীরে আরব উপদ্বীপের মানুষ কুফর ও শির্কে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং তারা কাবা ঘরে নানা মূর্তি বসিয়ে সে সবের উপাসনা শুরু করে । অবশ্য অহংকার প্রকাশের জন্য হজ্ব অনুষ্ঠানের প্রথাও তারা চালু রেখেছিল বিকৃতভাবে ।কিভাবে জিলহজ মাসে হজ্ব প্রথা চালু হয় ?
আরবরা জিলকদ ও জিলহজ মাসকে পবিত্র বা হারাম মাস বলে গণ্য করত । কিন্ত তারা চালাকি করে মহরম মাসকে পবিত্র মাসের তালিকা থেকে বের করে নেয় । অন্যদিকে সফর মাসকে পবিত্র বলে ঘোষণা করে । এভাবে তারা তিনটি মাসকে পবিত্র বলে ঘোষণা করার পাশাপাশি মহররম মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ , বিবাদ ও লুটপাট করাকে নিজেদের জন্য বৈধ বা হালাল করে নেয় । পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী , আরবের কাফিররা একেক বছর একেক মাসকে হালাল ও হারাম বলে ঘোষণা করত । এভাবে তারা হজ্বের মাসে প্রচলিত খোদায়ী প্রথাগুলোকে বিলুপ্ত করে দেয় । কিন্ত ইসলামের নবী (সাঃ) এর আবির্ভাবের ফলে ও তাঁর নেতৃত্বে মক্কা জয়ের সুবাদে আবারও জিলহজ মাসে হজ্ব প্রথা চালু হয় এবং হজ্ব ফিরে পায় তার অতীতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আসল ও যথাযথ রূপ । আরবরা অষ্টম হিজরিতে হজ্ব আদায় করেছিল জিলকদ মাসে । কিন্ত তারা নবম ও দশম হিজরিতে জিলহজ মাসেই হজ আদায় করে । বিশ্বনবী (সাঃ) জীবনের প্রথম ও শেষ বিদায় হজ্ব পালন করেছিলেন দশম হিজরির জিলহজ মাসে । সেই থেকে জিলহজ মাসেই হজ আদায় করাকে ওয়াজিব করা হয় ।(লেখাটি সংগৃহীত)
***আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম***
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: