মাহরাম ছাড়া সফরের দূরত্বে যাওয়া সম্পূর্ন নাজায়েজ... যেখানে হজ্জ্বের সফরেই মাহরাম ছাড়া যাওয়ার বিধান নেই সেখানে অন্যক্ষেত্রে তো প্রশ্নই আসেনা।
মেয়েদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে কিছু গুণ ও কিছু হুকুম দিয়েছেন।
সুরা নূর এর ২৩ নং আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, জাগতিক চাকচিক্য ও বিষয়াদি থেকে গাফেল থাকা মুমিনা নারীদের সৌন্দর্য।
যদিও আধুনিকতার ছোয়ায়, আমরা অনেক বিষয়কে 'ইসলামীকরণ' করার চেষ্টা করেছি। যেমন স্ত্রী নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, শপিং য়ে যাওয়া। ফিকহী দৃষ্টিকোণ থেকে না জায়েজ নয়, কিন্তু ইসলামী মেজাজের সাথে মিলে না।
সুরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, মেয়েরা ঘরে থাকবে। এটাই আদি ও অকৃত্রিম ইসলাম। প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে না ইসলাম, কিন্তু তাই বলে বাইরে ঘুরঘুর করাটা কিন্তু ইসলামের মেজাজ বা আদর্শ না।
আমাদের মুসলিমরা কিছু বামধারার নারীবাদীদের প্রচারণায় এতটাই প্রভাবিত হয়ে গেছে যে, ঘরে থাকার বিধান যখন কাউকে বলা হয়, তখন এটা হজম করতে তার নিদারুণ কষ্ট হয়। যদিও বিধানটা কোন পুরুষের দেয়া নয়, স্বয়ং আল্লাহরই দেয়া।
বলছিলাম, ঘর থেকে বের হওয়া নিয়ে। প্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া যাবে। দ্বীনি প্রয়োজন, চিকিৎসার প্রয়োজন। ইত্যাদি।
৪৮ মাইল তথা সফরের দূরত্বে হলে মাহরাম আবশ্যক। মাহরাম ছাড়া সফর করা জায়েজ নয়।
৪৮ মাইলের কম দূরত্বে যদি ফেতনার আশংকা না থাকে, তবে বিশেষ প্রয়োজনে একা বের হতে পারবে। তবে চেষ্টা করা উচিত মাহরাম ছাড়া বের না হতে।
মাসালা তো শেষ হলো। কিন্তু আফসোস এর সাথে বলতে হয়, মার্কেট থেকে নিয়ে বিভিন্ন ফিসক ও পাপের আখড়াতেও দ্বীনি বোনদেরকে অযথা সময় নষ্ট করতে দেখা যায়। কেও কেও আছেন, মার্কেটে গেলে প্রয়োজন আর অপ্রয়োজন এর সংজ্ঞা ভুলে যান। অথচ হাদিসে আছে, রাসূল সা. বলেন "আল্লাহর নিকট সবচাইতে অপছন্দের জায়গা হচ্ছে মার্কেট আর শপিংমল/বাজার"! সহীহ মুসলিম এর হাদিস।
জান্নাতের সৌন্দর্যে বিমোহিত হওয়ার তীব্র ইচ্ছা যার, এই পার্থিব চাকচিক্যে তিনি আকর্ষণ বোধ করতে পারেন না। আল্লাহ আমাদের বুঝার ও হৃদয় দিয়ে ইসলামের আদর্শ গ্রহণ করার তাওফিক দিন। আমীন।
মা তার দুই সন্তান একজন সাবালিকা মেয়ে ও আরেকজন নাবালেগ ছেলে একসাথে সফরের অধিক দূরত্বে যেতে পারবে?
ছেলে বালেগ না হলে জায়েয হবেনা।
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলটি
0 comments: